আপনার বইমেলায় ঘুরে ঘুরে বই ঘাটাঘাটির অভিজ্ঞতা পড়ছিলাম। বেশ সুন্দর সময় দিয়ে আপনি বই পছন্দ করেন। একটা কথা না বলে পারছি না সাধারণ মানুষ অনেকেই ভাবেন যে মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধটা দ্রৌপদীর কারণেই হয়েছিল। আসলে তা নয়। যুদ্ধ তো হতোই। দ্রৌপদী সামান্য উপলক্ষ। এবং যেকোনো নারীকে হয়তো সহজেই দোষ দিয়ে ফেলা যায় যেমন বাড়ির কোন সন্তান ভালো ফলাফল করলে তাকে বলা হয় বাবার সন্তান আর ভুল ত্রুটি কিছু করলে বলে যেমন মা তার তেমন ছা। যদিও আমি একেবারেই নারীবাদী মানুষ নয় এবং নারীবাদী কথাটাও সমর্থন করি না। আপনাকে মনে রাখতে হবে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের পর দূর্যোধন বা কৌরবদের ১৪ বছর সময় দেয়া হয়েছিল নিজেদের শুধরে নিতে। যা নিতান্তই কম নয়। পুরো হস্তিনাপুর নিয়ে যাদের সন্তুষ্টি ছিল না ইন্দ্রপ্রস্থও হস্তগত করতে চেয়েছিল। লোভটা তাদেরই বেশি অথচ কর্ম ক্ষমতা নেই। তাই দ্রৌপদীকে কখনোই দায়ী করা যায় না কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের কারণে। হ্যাঁ দ্রৌপদীর প্রতি অন্যায়গুলোর শাস্তি দেখানো হয়েছে। যুদ্ধ তো হতোই।