আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা -৭০| নেপালী স্টাইলে ঝোল মোমো ও টমেটোর চাটনি|

in আমার বাংলা ব্লগ16 days ago

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,


সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


Happy Birthday Greeting Polaroid Collage Instagram Story _20250325_140204_0000.png



1000234046.png


1000234048.png




আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।



গত হ্যাং আউটে ঘোষণা করা হয়েছিল আমার বাংলা ব্লগের ৭০ তম প্রতিযোগিতাটি। আমরা প্রত্যেকেই জানি চলতি মাস হল রমজান মাস। আমার প্রায় প্রতিটা মুসলিম বন্ধুবান্ধব এই মাসটি রোজা পালন করেন। ঈশ্বরের প্রতি তাঁদের এই ত্যাগ এবং সমর্পণ দেখে আমি বরাবরই অভিভূত হই৷

বেশ কিছুদিন যাবৎ অনেকের রোজা রাখার অভিজ্ঞতা পড়েছি। কেউ কেউ লুকিয়ে জল খেতেন, ইফতারের জন্য অপেক্ষা। সত্যিই তো খিদে সহ্য করে থাকা কি খুব সহজ? তবে আপনাদের অনেকের পোস্টেই ইফতারের লোভনীয় সব রেসিপি দেখেছি। লাইফস্টাইল ব্লগে দেখেছি নানান খাবার দাবার ও পরিবারের সবার এক সাথে ইফতারের সুখ। আহা কী অপূর্ব এই উৎসব। এভাবে পরিবার পরিজনদের একসাথে বেঁধে রাখা কি খুব কম? না, একেবারেই না।

যখন প্রতিযোগিতা ঘোষণা করা হল, আমি সেই দিনগুলোতে চরম ব্যস্ত। তাই এবারেও ভেবেছিলাম অংশগ্রহণ করতে পারব না৷ কিন্তু বাড়িতে বাচ্চা কাচ্চা থাকায় নানান খাবার দাবার বানানো হচ্ছে। এর মাঝেই একদিন আমার এক নেপালী বন্ধু এসে হাজির। কথায় কথায় তার থেকে মোমো বানানো শিখলাম। এমনিতেই আমি মোমো বানাতে পারি। কিন্তু নেপালীদের মতো অতো জুসি আর অথেন্টিক হয় না৷ তাই ওকে সেদিন বললাম দেখিয়ে দিতে। ওমা! মোমোর জিনিসপত্র রেডি করছি আরও পাঁচজন বন্ধুবান্ধব ফোন করে বলল, মাংস কিনে আসছি, তোমরা একা একা মোমো কিভাবে খাও! বুঝুন ঠ্যালা! এরা কি গন্ধ পেয়ে যায় নাকি! সেদিন এতো ভিড়ের মধ্যে ব্লগ করা হয়নি। এদিকে ছানাপোনারাও মনের মতন খায়নি। গতকাল তাদের বায়না আবার মোমো খাবে। তো ঠিক করলাম এবার চাটনির পাশাপাশি ঝোল মোমোও বানাবো।

সন্ধে তে বসে কাটাকাটি করছি, ভাবলাম ছবি তুলে নিই, আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়া যাবে। কারণ মোমো অনেকেই বানায় ঠিকই কিন্তু অথেন্টিক বা সেই স্বাদের মোমো কি সকলে পারেন? আমার মনে হয় না। বাঙালিরা তো বিশেষ করে সব কিছু নিজের মতো করে নিতে পারলেই বেঁচে যায়। কি বলেন আপনারা?

কেন বললাম জানেন? আমি একবার মুম্বাই তাজ হোটেলের এক শেফের থেকে চিলি চিকেন বানানো শিখেছিলাম। বাড়িতে সেই গল্প করেছি। ওমা! না আছে ক্যাপসিকাম, না আছে সয়া সস না আছে ভিনিগার! সন্ধে আটটার সময় দু'কেজি মাংস হাতে ধরিয়ে শাশুড়ী মা বলেন কি ওই তাজ হোটেলের রেসিপিটা বানাও তো! আমি যখন বললাম কিছু নেই তো, উনি বললেন কেন নেই? এই তো আদা পেয়াজ রসুন আছে এই দিয়ে চালিয়ে দাও, হয়ে যাবে৷ আমি তো হাঁ! আমাকে ভালো করে বোঝালেন কিছু না থাকলে রান্না হবে না এমন নয় সব কিছুই নিজের মতন করে নিতে হয়। নইলে আর বাঙালি কেন! আমি কিভাবে হাসি চাপব আমি নিজেও বুঝিনি। তবে অথেন্টিক রেসিপি শিখতে ও বানাতে আমি বরাবরই ভালোবাসি৷ আর তারজন্য যে কত গ্রামের বউদের সাথে গল্প করেছি রান্নাঘরে বসে থেকেছি তা কেবল আমিই জানি৷

কেন মোমো রেসিপি নিয়ে এলাম? ইফতারে তো ভাজাপোড়া খেতে ভালোবাসেন। আসলে আমার ব্লগ যারা দেখেন তারা খুব ভালো করে জানেন আমি একটু বেশিই স্বাস্থ্যকর খাবার দাবার পছন্দ করি। স্বাদের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই অস্বাস্থ্যকর জিনিসপত্র ব্যবহার করি। এখন আপনারা বলতেই পারেন মোমোর খোলটা তো ময়দার সেটা আর কিভাবে স্বাস্থ্যকর হল! ময়দা মোটেই অস্বাস্থ্যকর নয় জানেন কি? ময়দাতে খারাপ কিছু নেই। কিন্তু ময়দা দিয়ে আমরা সমস্ত অস্বাস্থ্যকর খাবারই বানাই। কেন বলুন তো ময়দা অস্বাস্থ্যকর নয়? আসলে আটা থেকে ভুসি বা ফাইবারটা তুলে রিফাইন করে নিলেই ময়দা তৈরি হয়ে যায়। অর্থাৎ বেশি পরিমানে রিফাইন করা। ময়দার কোন খাদ্যগুণই নেই৷ যেমন বর্তমানে আমরা ধপধপে সাদা চাল দেখি বাজারে, সেটা আসলে চালের ওপরের ফাইবারটা তুলে দিয়ে পলিশ করে দেওয়া হয়। এগুলো দৃষ্টিনন্দিত করার জন্যই মার্কেটে আনা হয়েছে। আর কিছু না।

অনেক বকবক করলাম, এবার চলুন রেসিপিতে যাই।

প্রথবেই দেখে নিই কি কি উপকরণ লেগেছে৷


1000213522.png

IMG-20250325-WA0038.jpgIMG-20250325-WA0039.jpgIMG-20250325-WA0040.jpgIMG-20250325-WA0041.jpgIMG-20250325-WA0042.jpg
IMG-20250325-WA0043.jpgIMG-20250325-WA0044.jpgIMG-20250325-WA0045.jpgIMG-20250325-WA0049.jpgIMG-20250325-WA0036.jpg
মোমোর পুরের জন্য
উপকরণপরিমান
বাঁধাকপি (মিহি করে কুচনো)প্রায় দুই বাটি
মুরগির মাংস (কিমা)৩০০ গ্রাম
স্প্রিং অনিয়ন (মিহি করে কুঁচনো)এক বাটি
পেঁয়াজ কুচি(মিহি করে)একটা বড় সাইজের
আদা কুচিএক চা চামচ
রসুন কুচিএক চা চামচ
কাঁচা লংকাপরিমান মতো
মেয়োনিস( ছবিতে নেই)তিন চা চামচ
সরষের তেলদুই থেকে তিল টেবিল চামচ
গোটা জিরেএক চা চামচ
ঝোলের জন্য
উপকরণপরিমান
কিমা বের করে নেওয়ার পর মুরগীর হাড়প্রায় এক বাটি
বড় বড় পিস করে কাটা গাজরঅর্ধকটা
ব্রোকলির ডাটাএকটা গোটা
বড় বড় চৌকো কাটা বাধাকপিবড় বাটির একবাটি
গোলমরিচ গুড়োএক চা চামচ
চাটনির জন্য
উপকরণপরিমাণ
টমেটোদুটো
শুকনো লঙ্কাদুটো
রসুনসামান্য কয়েক দানা
ডো বানানোর জন্য
উপকরণপরিমাণ
ময়দাপ্রায় ৫০০ গ্রাম
গরম জলপরিমাণমতো
  • আর সবকিছুর জন্যই লাগবে পরিমাণ মতো নুন।

চলুন দেখে নিই কিভাবে বানালাম।


1000213536.png


ধাপ-১
IMG-20250325-WA0050.jpgIMG-20250325-WA0051.jpgIMG-20250325-WA0052.jpg
IMG-20250325-WA0048.jpgIMG-20250325-WA0053.jpgIMG-20250325-WA0054.jpg

উপকরণের ছবিতেই দেখেছেন আমি প্রায় সবকিছুই কুচিয়ে রেডি করে নিয়েছি।

  • এখন মেয়োনিস ও নুন সমেত সমস্ত উপকরণ একটা বোলের মধ্যে দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।

  • এবার কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তাতে গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে নিলাম।

  • গরম তেল ফোড়ন সমেত মেখে নেওয়া পুরের ওপর ঢেলে দিলাম।

  • আবারো পুরটা ভালো করে মেখে নিলাম।

ধাপ-২
IMG-20250325-WA0047.jpgIMG-20250325-WA0055.jpg
  • এবার আমি অল্প পরিমাণ নুন দিয়ে ময়দাটি গরম জল দিয়ে বেশ শক্ত করে ডো মানিয়ে নিলাম। মনে রাখতে হবে মোমোর এই ডোটি যেন কোনভাবেই লুচি বা রুটির মত নরম না হয়।

  • ছোট ছোট লেচি কেটে গোল করে নিলাম।

ধাপ-৩
IMG-20250325-WA0056.jpgIMG-20250325-WA0057.jpg
IMG-20250325-WA0058.jpgIMG-20250325-WA0026.jpg

খুব কম সময় ঝটপট ভাবে যাতে তৈরি করে নেওয়া যায় তাই এই সহজ শেপ তৈরীর পদ্ধতিটি দেখালাম।

  • প্রথমেই লুচির আকারে গোল করে বেলে নিয়েছি।

  • এরপর পরিমাণমতো পুর দিয়ে, লুচিটি ভাঁজ করে ধারগুলো আটকে দিলাম।

  • ডো টা যেহেতু খুব শক্ত করে মাখা তাই যদি সহজে না আটকে যায় তাহলে অল্প পরিমাণ জল দিয়ে আটকে নেয়া যেতে পারে।

  • এবার দুই ধার দুটো এক জায়গায় নিয়ে জুড়ে দিলাম।

এই শেপটা তৈরি করতে সবথেকে কম সময় লাগে এবং ঝটপট করে হয়েও যায়।

এইভাবেই আমি প্রায় সবকটি মোমো তৈরি করে নিয়েছি।

ধাপ-৪
IMG-20250325-WA0025.jpgIMG-20250325-WA0027.jpg

বাড়িতে মোমো মেকার থাকলে অবশ্যই মোমো মেকারে ভাপিয়ে নেবেন। আমার যেহেতু নেই তাই হাঁড়িই ভরসা। কারণ একটি ফুটো ওয়ালা বাটি আছে৷ হি হি হি৷

  • হাড়িতে বেশ অনেকটা পরিমাণ জল নিয়ে তাতে ঝোল বানানোর জন্য যে উপকরণগুলো কেটে রেডি করেছিলাম সেগুলো দিয়ে দিয়েছি সাথে পরিমান মতো নুনও। এবার এটা ফুটে ওঠার অপেক্ষা।
ধাপ-৫
IMG-20250325-WA0028.jpgIMG-20250325-WA0024.jpg
IMG-20250325-WA0029.jpgIMG-20250325-WA0030.jpg
  • যে ফুটো ওয়ালা বাটিটির কথা বলেছিলাম সেটির ভেতরের অংশে ভালো করে তেল মাখিয়ে নিলাম। অর্থাৎ গ্রিজ করে নিলাম।

  • এবার তৈরি করা মোমো গুলো বসিয়ে দিলাম। ছবিতে খুব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আমি কিসের পর কি করেছি।

  • এবার বাটিটি হাঁড়ির ওপর বসিয়ে ঢাকা দিয়ে দিলাম।

এখন প্রায় ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করব যাতে মাংসটাও ভালো করে সেদ্ধ হয়ে যায়। শুধু সবজির হলে তাড়াতাড়ি হয়ে যায় তবে যেহেতু মাংস রয়েছে, একটু সময় দিয়ে সেদ্ধ করা দরকার। কারণ ননভেজ রান্না সুসিদ্ধ করেই খাওয়া উচিত।

সেদ্ধ হতে হতে ভেতরের ঝোলটাও তৈরি হয়ে যাবে। আর সেই ফাঁকে বাচ্চাদের মনোরঞ্জন করার জন্য আলাদা একটু ব্যবস্থা করেছিলাম। চলুন সেটাও দেখিয়ে দিই।

ধাপ-৬
IMG-20250325-WA0031.jpgIMG-20250325-WA0032.jpgIMG-20250325-WA0033.jpg
IMG-20250325-WA0034.jpgIMG-20250325-WA0035.jpg

একে বলে গোলাপ মোমো।

  • তিনটে লুচি বানিয়ে নিয়েছি।

  • সেগুলোকে পরপর রেখে অল্প জল ব্রাশ করে জুড়েও নিয়েছি

  • লম্বা করে পুর দিয়ে দিলাম।

  • সেটাকে আগের বারের মতনই ভাঁজ করে উপরের অংশের সাথে জুড়ে নিলাম।

  • এবার এক ধার থেকে মাদুর গোটানোর মত করে গুটিয়ে নিলাম।

  • শেষের অংশটাও জল দিয়ে চিটিয়ে নিলাম।

দেখুন কী সুন্দর দেখতে হল। ঠিক গোলাপের মতো না? এইভাবে দুই বোনের জন্য দুটো মোমো বানিয়েছি।

ধাপ-৬
IMG-20250325-WA0023.jpgIMG-20250325-WA0037.jpgIMG-20250325-WA0022.jpg
  • প্রথম ধাপের মোমো তৈরি হয়ে গেছে সেটা দেখতেই পাচ্ছেন ছবিতে। এটি নামিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে গোলাপ মোমোগুলো তুলে দিয়েছিলাম।

  • একদিকে গোলাপ মম সেদ্ধ হচ্ছে আরেক দিকে আমি চাটনিটি তৈরি করে নিচ্ছি।

  • চাটনির জন্য প্রথমে টমেটো দুটো পুড়ে নিলাম।

  • চাটুতে অল্প একটু তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা ও রসুন ভেজে নিলাম।

  • এবার একসাথে মিক্সচার গ্রাইন্ডারে বেটে নিচ্ছি৷ সাথে দিচ্ছি পরিমান মতো নুন।

ধাপ-৭
IMG-20250325-WA0060.jpgIMG-20250325-WA0067.jpgIMG-20250325-WA0064.jpg
  • গোলাপ মোমো হয়ে যাওয়ার পর নামিয়ে নিয়েছি। কি অপূর্ব লাগছে দেখতে তাই না?

  • হাঁড়ির মধ্যে দেখুন আমার ঝোলটা বেশ সুন্দরভাবে তৈরি হয়ে গেছে।

  • সবজি এবং মাংসের হাড়ের টুকরো বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ঝোলটা আমি তুলে নিলাম বাটিতে। তাতে ওপর থেকে অল্প পরিমাণ মরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিলাম। ব্যস ঝোলও তৈরি।

মোমো তৈরি, ঝোল তৈরি চাটনিও তৈরি। আর কি? এবার মোমোগুলোকে একবার চাটনি দিয়ে আর একবার ঝোলে দিয়ে সুড়ুৎ সুড়ুৎ করে খাওয়ার অপেক্ষা। তাই না? মনে রাখবেন মোমো ঠান্ডা হয়ে গেলে একেবারেই ভালো লাগে না। আর মোমোর লুচি যত পাতলা হবে তত খেতে সুস্বাদু লাগবে।

1000225073.png


IMG-20250325-WA0069.jpg

IMG-20250325-WA0062.jpg

IMG-20250325-WA0068.jpg

IMG-20250325-WA0070.jpg

IMG-20250325-WA0071.jpg

IMG-20250325-WA0021.jpg

InShot_20250325_161550800.jpg

সারাদিন না খাওয়ার পর ভাজা পোড়া খেয়ে শরীরকে ব্যতিব্যস্ত না করে এমন স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে দেখুন, মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকবে। আর এই যে ঝোল? মানে সুপ আসলে৷ এইটি গরম গরম খাওয়া মানে মাংস হজমেও সুবিধে আর পেটে যদি কোথাও কোন অ্যাসিডিটি বা গ্যাস জমা থাকে সেটাও গায়েব হয়ে যাবার পাক্কা সম্ভবনা। কি বুঝছেন? আসলে পাহাড়িরা একটু স্বাস্থ্যকর তো খায়ই। কারণ পাহাড়ে হাঁটাচলা করার জন্য তাদের আমাদের থেকে অনেক বেশি শক্তি প্রয়োজন এবং বাঁচার জন্য প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকাও দরকার।

তাহলে বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকে আমার এই রেসিপিটি? ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও কমেন্ট করবেন।

টাটা

1000205476.png


1000216462.png

পোস্টের ধরণরেসিপি পোস্ট
ছবিওয়ালানীলম সামন্ত
মাধ্যমস্যামসাং এফ৫৪
লোকেশনপুণে,মহারাষ্ট্র
ব্যবহৃত অ্যাপক্যানভা, অনুলিপি, ইনশট


1000216466.jpg


১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে


1000192865.png


~লেখক পরিচিতি~

1000162998.jpg

আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিত গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।

🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾


1000205458.png

7YHZyBadGPMHF2XKgfZXx3oMrJwWNvgxqAsBdVAuTc61TPYubb3EKwXArUs8px2rcXjNb6iVQVgemgChuhshQrWBRCW7LQZQZ3WfSCZu59...7RXnSdt1xtwewzwECPos59BvXhwRCEZbFGeJZANH797Myt2PwK4Nx9hoT5jHzQwn64qwq2RASbmzkybJoLTpXgHC8myST5TdPpyWz43WcYhCFYF43Mddhcf75.webp

45GhBmKYa8LQ7FKvbbMYpD9Jk8xRAPYHXNPwBa5Q6aNRBWA3yjiNShPnzB1obfkiS4HtHfV38Cyw4oh4izhsFr532Nnivd34o6cHCkCiQi...e8d5wckHhMKGprxzmnAyKiugofeXwgrT9DesFuZXkJGTWVpxTpd3g2DDqSPcgULk8gjE81RGg2aCbRpjYfiMhvHsGHpx7ur8JupTsarimE5PNrv5W1CUU2XHcR.png

Vs68WyhR4ueWguiqU5CbbyMd2eBafmyPRcYVv3LiYRs71UXq9fEqpbeAVPzHYduBype2HWE8Nhc1iC2fZdQmNHVnyomUxfT2f8gJkFTGVsdAbziGqZsTcCpkVxmy38gEphtpBx25Td6PBXv3n7M3DUcaQJiZM6VZAvKYHR2uej34KbBr9d4q5vE1j24yyFXG9aS.webp

1000205505.png

Sort:  
 16 days ago 

আরে বাহ,আমার তো মোমো দেখেই খেতে মন চাইছে দিদি।কি সুন্দর করে বানিয়েছ,তবে আমি তো মাংসই খাই না।যাইহোক ডিজাইনটি সুন্দর হয়েছে।প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছো দেখে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।

 16 days ago 

তোমার জন্য এরপর একদিন মাছের মোমো তৈরি করে রেসিপি দেব। ভালো লাগবে খেতে।

 16 days ago 

হুম, একদম

 16 days ago 
1000420784.jpg1000420782.jpg1000420781.jpg
1000420780.jpg1000420779.jpg1000420778.jpg
 16 days ago 

মোমো আমার খুবই পছন্দের।খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে আমাদের এদিকে পাওয়া যায় না। বাসায় বেশ কয়েকবার বানিয়ে খাওয়া হয়েছে। আপনি প্রতিযোগিতার জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর একটি আইটেম বেছে নিয়েছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি দেখে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 16 days ago 

আমিও শুনেছি বাংলাদেশে মোমো খুব একটা বেশি পাওয়া যায় না। আসলে এই খাবারটি তিব্বত নেপাল ভুটান এইসব দেখে বেশি বিখ্যাত। আর ভারতবর্ষের উত্তর দিকের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতেও পাওয়া যায়।

যেহেতু ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার তাই আমি নিজেই বানাতে শিখে নিয়ে মাঝে মধ্যে বাড়িতে বানাই। তবে আমি যেখানে থাকি এই সমস্ত এলাকাতে মোমো ভালোই পাওয়া যায়। যদিও স্বাদ একই রকম হয় না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করলেন।

 16 days ago 

স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগু্ন সমৃদ্ধ খাবার হলো এই মোমো। আমারতো বেশ পছন্দ।তবে আজ আপনার কাছ থেকে অথেন্টিক মোমো বানানো রেসিপি শিখতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।আমি কখনও মোমোর পুরে মেয়োনিজ ব্যবহার করিনি। এর জন্যই নেপালের মোমো এতো জুসি।

 16 days ago 

ওই যে তেলের মধ্যে জিরা গরম করে তেলটা দেয় আর বাঁধাকপির রসটা ফেলে দেয় না বার করে এটাও একটা কারণ জুসি মোমো হওয়ার৷ আপনি একবার এইভাবে রান্না করে দেখবেন ভীষণ ভালো লাগবে খেতে।

 16 days ago 
1000420955.jpg1000420801.jpg
 16 days ago 

1000420956.jpg

 15 days ago 

রেসিপিটি অসাধারণ! নেপালি স্টাইলে ঝোল মোমো আর টমেটোর চাটনি দুটোই স্বাস্থ্যকর ও মজাদার অপশন, বিশেষত ইফতারের জন্য। আপনি যেভাবে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটা ব্যাখ্যা করেছেন, তাতে একদম স্পষ্ট হয়ে গেছে কীভাবে তৈরি করতে হবে। গোলাপ মোমোর আইডিয়াটা খুবই ইউনিক আর দেখতে দারুণ লেগেছে।ঝোল মোমোর যে পুষ্টিগুণের দিকটা উল্লেখ করেছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিই, গরম গরম ঝোলসহ খাবার হজমের জন্য ভালো, বিশেষ করে সারাদিন না খেয়ে থাকার পর। আপনার লেখা পড়তে পড়তে যেন রান্নাঘরে গিয়ে নিজে বানিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে।

 15 days ago 

অবশ্যই বানিয়ে ফেলুন আপু। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে হবে। আর কিভাবে যে অনেকগুলো খেয়ে ফেলবেন তা নিজেও বুঝতে পারবেন না। আমার এই রেসিপিটি যে আপনার এতখানি ভালো লেগেছে তাই জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু সময় নিয়ে রেসিপিটি দেখার জন্য।

 14 days ago 

মোমো আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। দিদি আপনার রেসিপিটি অনেক ইউনিক মনে হচ্ছে। মজাদার ও ইউনিক একটি রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন সেই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে রেসিপিটি বাসায় একদিন ট্রাই করবো। ধন্যবাদ দিদি ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 13 days ago 

আপু আপনি তো দেখছি একেবারে নতুন ধরনের রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। নেপালী স্টাইলে ঝোল মোমো ও টমেটোর চাটনি অসাধারণ হয়েছে।

 13 days ago 

ধন্যবাদ আপু, সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকলেন। খুব খুশি হলাম। ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানাই।