শৈশবের স্মৃতি, হারিকেন ও কুপিবাতির আলো।
শুভ রাত্রি..🌃
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
শৈশবের স্মৃতিগুলো এখনো খুব মনে পড়ে। মনে পড়ে সেই হারানো সোনালী দিনগুলোর কথা। শৈশবের সোনালী দিনগুলো দুষ্টুমি ও খেলার ছলে কেটে যেত। সারাদিন খেলাধুলার নেশায় থেকে খাবার খাওয়ার কোনো আগ্রহ ছিল না। আমরা সবাই একে একে সহপাটিদের সঙ্গে স্কুলে যেতাম। স্কুল জীবন শৈশব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমার এখনো মনে পড়ে সেই পুরনো দিনগুলোর কথা। ছিল না পরিপূর্ণ বিদ্যুৎ। শতকরা দুই একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অধিকাংশ বাড়িতে ছিল হারিকেন এবং কুপিবাতির আলো। হারিকেনের সামান্য আলো পুরো ঘরকে আলোকিত গড়ে তুলে ছিল। ছোট ছোট কুপিবাতি দিয়ে নিজের পড়াশোনা এবং বাড়ির নানা ধরনের কাজ খুব সহজেই চালিয়ে নিতাম।
অল্প কেরোসিন দিয়ে চলে যেত অনেক সময়। এ সময় আমাদের লেখাপড়ার আগ্রহ ছিল অনেক। ঝড় বৃষ্টি আবহাওয়ার দিনেও লেখাপড়া কোন ক্ষয় ক্ষতি হত না। হারিকেনের অল্প আলো দিয়ে খেলার ছলে এবং ঝিঝিঁ পোকার শব্দ শুনে ঘুমিয়ে যেতাম। গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে একটি করে হারিকেন ছিল ঐতিহ্যের প্রতীক । হারিকেন এবং কুপিবাতি রাত্রি জাপানের প্রধান যন্ত্র ছিল। উনিশ শতাব্দীর থেকে হারিকেন প্রচলন শুরু হয়। তারপর অল্প অল্প করে হারিকেনের বিলুপ্তি ঘটে। তবে এখনো আগের পুরনো বাড়িগুলোতে হারিকেন দেখা যায়। আধুনিক প্রযুক্তির বিশ্বে এখন হারিকেন জাদুঘরে থাকার মত অবস্থা। অনেকে আবার যত্ন করে গুছিয়ে রেখেছে। আমার নানা বাড়িতে এখনো একটি হারিকেন রয়েছে। আমি যখন মাঝে মধ্যে যাই দেখতে পাই।
শৈশবের দিনগুলো আমি এখনো খুবই মিস করি। মনে পরে সেই দিনগুলোর কথা, রাতের সামান্য আলোতে চলাফেরা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজকর্ম এই হারিকেন এবং কুপিবাতির মাধ্যমে করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করলে দেখা যায়। বড় বড় এল ই ডি বাল্ব এবং উজ্জ্বল আলো শৈশব কালের মতো আনন্দ দিতে পারে না। শৈশবের স্মৃতি হিসেবে হারিকেনের আলো মনের আনন্দ ও উল্লাসে মেতে উঠেছিল সারা রাত ভোর। কিন্তু বর্তমান সময়ে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও আধুনিক প্রযুক্তি শৈশবের দিনগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয়। অতিরিক্ত লোডশেডি জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে। অতিরিক্ত আলোতে থেকে অন্ধকার একদমই সহ্য হয় না। তাই হঠাৎ করে শৈশবের স্মৃতিগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়ে গেল সেই অদ্ভুত যন্ত্রের কথা। সেজন্য মনের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছি। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ💞
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | শৈশবের স্মৃতি, হারিকেন ও কুপিবাতির আলো। |
লোকেশন | ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1844445027466154391?t=k0racEmqJoqpcNc0R6TUvw&s=19
কখনো যদি কাউকে দেখি এভাবে স্মৃতি স্মরণ করতে, বেশ ভালো লাগে। আসলে শৈশবের সময় আমরাও হারিকেন ল্যাম্পো জ্বালিয়ে কেরোসিন দিয়ে। সে সময় কষ্ট থাকলেও যেন স্মৃতিগুলো মধুর। আর এখনকার প্রজন্ম এমন কোন স্মৃতি খুঁজে পাবে না।
আপনি ঠিক বলেছ ভাই, এখনকার প্রজন্মে এইসব স্মৃতিগুলো খুজে পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শৈশবের স্মৃতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আগেকার মানুষ কত কষ্ট করে হারিকেন ও কুপিবাতির আলোতে পড়াশোনা করতো।যদিও কষ্ট লাগতো কিন্তু স্মৃতি গুলো মধুর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মধুর স্মৃতিগুলো হারিয়ে গেল। মাঝে মধ্যে আমি খুব মিস করি।
আমরাই মনে হয় লাস্ট জেনারেশন ছিলাম যারা হারিকেন এর লাইট দিয়ে পড়াশোনা করেছি। এখনকার বর্তমানের জেনারেশনরত হারিকেনের নাম ও শুনে নাই। আপনি অনেক সুন্দর এবং অনেক পুরনো একটি স্মৃতি নিয়ে আজকের পোস্টটি করেছেন। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। ❤️❤️
ঠিক বলছেন ভাই, এখনকার প্রজন্ম হারিকেন এবং কুপিবাতির নাম শুনলে অবাক হবে।
আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটি শৈশবের স্মৃতি পড়ে খুবই ভালো লাগছে৷ যেভাবে আপনি আজকের এই সুন্দর শৈশবের স্মৃতি এখানে শেয়ার করেছেন তা পড়ে খুবই ভাল লাগছে৷ একইসাথে এই স্মৃতি আপনার কাছ থেকে পড়ে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ৷ ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
আমার পোস্ট ভিজিট করে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।