ঝুঁকিপূর্ণ কাজে না বলুন।
শুভ রাত্রি 🌃
আজ ২৬ ই নবেম্বর,
মঙ্গলবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
আমরা মানুষ, তাই আমাদের নিয়মিত খাদ্য খেতে হয় এবং চাহিদা গুলো পূরণ করতে হয়। কিন্তু মানুষের চাহিদা অসীম। তার জন্য জীবকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন কাজকর্মে আমরা সকলেই লিপ্ত থাকি। শিক্ষাগত যোগ্যতা কম ও বেকারত্ব সমস্যা থাকার কারনে দেশের বিভিন্ন সেক্টর গুলোতে চাকরি পাওয়া খুবই কষ্টকর। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের মানুষগুলো তাদের চাহিদা পূরনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে থাকে। শুধু টাকার জন্য নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদে ফেলে দেওয়া উচিত নয়। আমরা বিভিন্ন পত্রিকায় অনেক দুর্ঘটনার কথা শুনতে পাই। যেমন কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, এই ধরনের হেডলাইন সংবাদ পত্রিকার মাধ্যমে সব সময় দেখতে পাই।
নিজের চিন্তা না করি অন্তত আমাদের মা বাবা,পরিবার ও সন্তানের কথা ভুলে গেলে চলবে না। আমরা সামান্য কিছু টাকা বেশি পাওয়ার জন্য এবং অধিক লাভের আশায় বিপদ আছে তা জেনেও আমরা সে কাজে ঝাঁপিয়ে পরি। ফলে সৃষ্টি হয় নানা দুর্ঘটনা। পরিবারের সদস্যদের কথা সব সময় আমাদের চিন্তা করতে হবে। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। দুর্ঘটনা ঘটতে বেশি সময় লাগে না। তাই সকল শ্রমজীবী মানুষের উচিত তাদের জীবনের প্রতি ভালোবাসা স্থাপন করা ও গভীর সম্পর্কে কটুক থাকা। মানিকপক্ষ ঝুঁকে আছে তা জেনেও সেখানে কর্মচারী নিয়োগ করেন। মালিকপক্ষ শুধু তাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। তাই কিছুদিন আগেও আমাদের এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই ব্যক্তি ছিল একজন রাজমিস্ত্রি। কাজ করতে গিয়ে প্রায় পাঁচ তলা ভবনের উপরে বিদ্যুৎ স্পর্শ করে মারা যায়।
মালিকপক্ষ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে সবকিছু মিটমাট করে নেয়। কিন্তু যে ব্যক্তি মারা গিয়েছে তার পরিবার এই সামান্য টাকা দিয়ে কি আজীবন চলতে পারবে? আমার প্রশ্ন এখানেই। কেন আমরা জেনে শুনে বিপদের দিকে পা বাড়াবো। যে কাজগুলো আমাদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও বেদনাদায়ক সে কাজ গুলো আমরা এক কথায় না বলে দেব। বেঁচে থাকলে টাকা অনেক ইনকাম করতে পারবো। তাই ঝুঁকিপূর্ণ কাজকে না বলুন সব সময়। টাকার চাইতে নিজের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। মানুষ বেঁচে থাকলে সে এক সময় টাকা ইনকাম করতে পারবো। জীবনের মূল্য কোন কিছু দিয়ে শোধ করা যায় না। তাই পরিবারের একজন কর্তা পরিবারকে পরিচালনা করার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার কিছু হয়ে গেলে পুরো পরিবারটাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
কোথায় আছে লোভে পাপে,পাপে মৃত্যু। তাই লোভ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশির ভাগ সময় প্রবাসী মানুষগুলো অতিরিক্ত লোভের শিকার হয়। এই লোভের কারণে নিজের জীবন বাজি রেখে টাকা উপার্জন করার জন্য পাগল হয়ে যায়। অর্থকে তাদের মূল চাবি হিসাবে গ্রহণ করে। সেজন্য নিজের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ কাছে বিলিয়ে দেয়। ফলে ঘটে যায় প্রানে হাণির মতো বিভিন্ন দুর্ঘটনা। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে টাকার চাহিদা অপরিসীম। সেজন্য টাকাকে জীবনের চাইতে বড় করে তোলা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | ঝুঁকিপূর্ণ কাজে না বলুন। |
লোকেশন | ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং অনার্সে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
https://x.com/nazmulhasanbd01/status/1861441465781755906?t=5Qx_1ZsaYxyOYQ8wGWap_Q&s=19
অর্থের জন্য মানুষকে অনেক রকম কাজ করতে হয়। পেটের দায় বড় দায় যে ভাই। পেট চালানোর জন্য অনেক কঠিন পন্থায় মানুষকে আয় করতে হয়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ খুবই ভয়ানক। কিন্তু আমি মনে করি সব ধরনের কাজেই কমবেশি ঝুঁকি আছে। যিনি ড্রাইভিং করেন সেটিও কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। মানুষ সব সময় কিছু না কিছু ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যায়।
জি ভাই, আপনি ঠিক বলছেন সবাই আমরা ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে চলাচল করি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
এটা আসলে লোভের জন্য না ভাই। সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়ায় যারা নির্মাণ খাতে কাজ করে, তারা আসলে বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে। কারণ চাকরি পাওয়াটা সেখানে এতো সহজ নয়। এমনটা আমি অনেকের মুখ থেকেই শুনেছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ মানুষের জীবনের চেয়ে টাকা বড় না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।