সেফস টেবিল একটি নাগরিক বিনোদন কেন্দ্র
শহর এর নাগরিক জীবনের এক ঘেয়েমিতাকে কাটাতে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পার্ক, রেস্টুরেন্ট । কিন্তু শহরের মধ্যে জায়গার সংকুলান না থাকা ই শহর থেকে কিছুটা দূরে এসব পার্ক বা রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। এমন ই একটি রেস্তোরাঁ হলো সেফস টেবিল ।
সেফস টেবিল ঢাকা শহরের অদূরে ভাটারা নামক থানার মধ্যে পড়ে। ঢাকা শহরে ফাঁকা জায়গা একরকম পাওয়ায় যায় না। অল্প জায়গার মধ্যে এরকম বড়ো ধরণের প্রজেক্ট করাটাও বেশ কঠিন ব্যাপার । এক জায়গায় মধ্যে পার্ক, রেস্টুরেন্ট , বেশ কয়েকটি বড়ো ধরণের জামাকাপড় এর শো রুম, এন্টিক জিনিস পত্রের শো রুম, আর্ট গ্যালারি ,দেশি বিদেশি সকল ধরণের নামকরা খাবারের দোকান , আইস ক্রিম পার্লার কি নেই এখানে।
বাচ্চাদের খেলার জন্য বেশ ধরণের জায়গা রয়েছে এখানে । বাচ্চারাও খুব মজা পায় এখানে আসলে। নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ আর অবাধ ছুটো ছুটি র মজা পায় সেফস টেবিলে এসে।
অনেকদিন দিন ধরেই সেফস টেবিলের কথা শুনে আসছিলাম কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আমাদের এলাকা থেকে সেফস টেবিল যেখানে সেই এলাকা বেশ খানিকটা দূর কিনা তাই। হটাৎ এক শুক্র বার খেয়ালের বাবা ড্রাইভার কে আস্তে বললো সেফস টেবিল এ যাবে তাই।
খেয়াল সকাল থেকে খুব লাফাচ্ছিল যে বাইরে যাওয়া হবে এই আনন্দে । বাচ্চারা আসলে করোনা মহামারীর কারণে ঘর বন্ধি তাই বন্ধি জীবন থেকে মুক্তির একটু স্বাদ পেতে ওরাও ছটফট করে।
যা হোক সকাল সকাল দুপুরের খাওয়া টা শেষ করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম।। পথে জ্যাম ছিল বিধায় যেতে অনেকটা সময় লেগে গেলো । পৌঁছতে পৌঁছতে আমাদের পায় ৪টা বেজে গেল। গিয়েই খেয়াল এদিক ওদিক ছোটা ছুটি শুরু করলো। ওর খুব ভালো লাগছিলো। একটু পর পর এসে আইসক্রিম খেয়ে নিচ্ছিল। মোটামুটি ঘন্টা খানেক দৌড়া দৌড়ি করার পর আমরা বিকেল বেলার হালকা পাতলা কিছু খাবার খেয়ে নিলাম। তার পর আবার খেলা ধুলা শুরু হলো । এর মাঝে আমি ছবি তুলে নিলাম যে গুলো আপনাদের সামনে শেয়ার করছি।
সেফস টেবিল এর সামনে খেয়াল। ঢুকেই সে আমাকে
বললো এখানে একটা ছবি তুলে দাও তো মা।জায়গাটা
যেমন সুন্দর তেমন খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো ,
পরিপাটি।
এই রকম কাঠের কয়েকটি ঘর রয়েছে যেখানে বাচ্চারা উঠে খেলাধুলা করে।
এই একটি কাঠের প্লেন খুবই সুন্দর দেখতে বাচ্চারা
এটিতে খেলতে খুব মজা পায়।
সব মিলিয়ে জায়গা অসাধারণ। যে কারো খুব ভালো লাগবে সেফস টেবিলে গেলে। আমরা রাতের খাওয়াটা ওখানে শেষ করে রাত ৮ নাগাদ বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। ওই দিনের বেড়ানো টা সত্যি খুব ভালো হয়েছিল। খেয়াল খুব মজা পেয়েছিল।
ছবি: সেফস টেবিল
ছবির ডিভাইস: SamsungS20 ultra
ছবির স্থান: ভাটারা, ঢাকা ,বাংলাদেশ
আপনারা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু। আমনে উচিত কাজ করেছেন শহরের একঘেয়েমিতা কেটে উঠানোর জন্য। আপনার মত আমিও মাঝে মাঝেই ঘুরতে বেড়াই। আপনি আপনার পোষ্টটি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর রেস্টুরেন্টে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ঘুরে আসুন আসাকরি ভালো লাগবে।
এই প্লেস এর নাম অনেক শুনেছি, তবে এখনও যাওয়া হয়ে ওঠে নি। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহুর্ত এর দৃশ্য দেখে এবং শুনে খুবই ভালো লাগছে
আর হ্যা আপনার সোনামণি অনেক কিউট 😍😍😍
অনেক ধন্যবাদ। ঘুরে আসুন আশাকরি আপনার ভালো লাগবে।
খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরে এলেন আপু। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন পরিবারের সাথে৷ আপনার মেয়েকেও অনেক সুন্দর লাগতেছে। সবার জন্য ভালোবাসা রইল।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
দিদি খুবই অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে গতকালকে আমি এই জায়গাটার সামনে দিয়ে গিয়েছি। যাওয়ার সময় শেফ'স টেবিল দেখে আমার সেখানে ঢোকার ইচ্ছা হয়েছিল। কিন্তু সাথে থাকা বন্ধুদের এই জায়গাটা সম্বন্ধে খুব একটা অভিজ্ঞতা না থাকায় সেখানে যাওয়া হয়নি। তবে আপনার পোস্টটা পড়ে এখন আবার যাওয়ার খুব ইচ্ছা হচ্ছে। ইনশাল্লাহ একসময় সেখানে যাব। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ, ঘুরে আসুন একবার নিশ্চই ভালো লাগবে।
কাঠের ঘর টি দেখতেও খুব সুন্দর লাগছে। আর খেয়াল বাবুকেও খুব মিষ্টি লাগছে দেখতে।
বাচ্চারা কোথাও গিয়ে এমন খেলাধুলার জায়গা পেলে খুব ভালোই লাগে।
হ্যাঁ, অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন
খুবই সুন্দর একটি জায়গা😍
আপনার এবং আপনার সন্তানের খুব সুন্দর একটি দিন কেটেছে আজকে বূঝাই গেলো।
মেয়েকে মাশাল্লাহ খুব কিউট লাগছে।
মা মেয়ের জন্য শুভকামনা
অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপু। মা মেয়েকে অনেক সুন্দর লাগতেছে। ঢাকার ভিতরে রকম একটু জায়গা পায়া আসলে সৌভাগ্যের ব্যাপার।
শুভকামনা রইল
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।