সীতাকুণ্ড ভ্রমণ ক্লান্তি ছাপিয়ে আনন্দের গল্প
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- সীতাকুণ্ড ভ্রমন।
- ২৪,জুলাই ,২০২৫
- বৃহস্পতিবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন ধরেই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় হয়ে উঠছিল না। অফিসের কাজ, জীবনের ব্যস্ততা সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যেন শহরের ভেতরেই আমি আটকে আছি। কিন্তু অবশেষে গত শনিবার আমরা আটজন মিলে রওনা দিলাম চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পথে, একটু মুক্তি আর পাহাড়ের ছোঁয়া পাওয়ার আশায়।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
আমার দল আসছিল কুষ্টিয়া থেকে। তাদের ট্রেন ছিল বিকেল ৫টা। আর আমি থাকি উত্তরাতে তাই আলাদা রুটে যাত্রা শুরু করি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে উত্তরার বাসা থেকে বের হই এবং এই শহরের যানজটের দুঃস্বপ্ন থেকে বাঁচতে আমি মেট্রোরেল বেছে নিই। কিন্তু যেহেতু দিনটা ছিল শুক্রবার তাই ভিড় ছিল বেশ ভয়াবহ! শুক্রবারে উত্তরা দিয়াবাড়ি অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে যায় তাই দাঁড়ানো তো দূরের কথা, নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
অবশেষে সময়মতো কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাই। আমাদের ট্রেন ছিল রাত ৯টা ২০ মিনিটে। ট্রেন ছাড়ার পর আস্তে আস্তে শহরের আলো-আঁধারির বাইরে চলে আসছিলাম। জানালার বাইরে তখন শুধুই অন্ধকার, মাঝে মাঝে হালকা বাতাস আর ট্রেনের ঝাঁকি পুরোটাই যেন এক অন্যরকম অনুভূতি।
আমাদের গন্তব্য ছিল কুমিরা স্টেশন। সেখানে পৌঁছাই আমরা গভীর রাতে, ঠিক রাত ৩টা। চারপাশ একেবারে নিস্তব্ধ। স্টেশনে খুব একটা মানুষ নেই, কেবল ট্রেনের শব্দ যেন এখনো কানে বাজে।
Device : pixel 7
What's 3 Word Location :
কুমিরা স্টেশন থেকে বের হয়ে আমরা কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি। তখনো ঠিক করিনি কোথায় যাবো। হঠাৎ পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে দেখি উঁচুতে একটা বড় বিল্ডিং দাঁড়িয়ে আছে। সবার চোখ তখন সেদিকে।এত বড় বিল্ডিং পাহাড়ের ওপর কী করে?" আমরা একে-অপরকে জিজ্ঞেস করি।
জানতে গুগল ম্যাপে খুঁজি। তখনই দেখি ওটা একটা পরিত্যক্ত হাসপাতাল।রাতে নির্জন পাহাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পরিত্যক্ত হাসপাতাল শুনলেই তো গায়ে কাঁটা দেয় তাই না? আমাদের মাঝেও একটু ভয়ের আবেশ ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ মজা করে ভূতের গল্প শুরু করলো আবার কেউ আলো অন্ধকারে হাসপাতালটার দিকে তাকিয়ে কী যেন দেখার চেষ্টা করতে লাগলো।
রাত তখনো ঘন, চারপাশে শুধু ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। সেই মুহূর্তে মনে হচ্ছিল শহরের জীবনের একঘেয়েমি থেকে এতটা দূরে এসে যেন একটা অন্য জগতে পা রেখেছি।
এই ছিল সীতাকুণ্ড ভ্রমণের এক রহস্যময় শুরু। সামনে আরো আছে ঝর্ণা পাহাড় হাঁটাপথ আর বন্ধুত্বের অনেক মুহূর্ত।
চাইলে আমি এই ব্লগের দ্বিতীয় অংশও লিখে দিতে পারি যেখানে থাকবে তোমাদের ভোরবেলার অ্যাডভেঞ্চার, ঘুরে দেখা জায়গাগুলোর বর্ণনা আর মজার মুহূর্ত।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি এবং একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।