ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে থ্রিডি আর্ট ওয়ার্ল্ড ভ্রমণ
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত বছর আমি এবং আমার ওয়াইফ থ্রিডি আর্ট ওয়ার্ল্ডে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং সেই ভ্রমণ পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসলে এই পোস্টটি অনেক আগেই শেয়ার করার ইচ্ছে ছিলো আমার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেয়ার করা হয়নি। আজকে যখন মোবাইলের গ্যালারি ঘাটাঘাটি করছিলাম, তখন চোখের সামনে সেখান থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো চলে আসলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করা যাক। আসলে ঘুরাঘুরি করতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে এবং সেটা আপনারা অনেকেই জানেন। তো আমি এবং আমার ওয়াইফ মেট্রোরেলে চড়ে,বিজয় স্মরণি মেট্রোরেল স্টেশনে নেমে,অল্প একটু হেঁটেই থ্রিডি আর্ট ওয়ার্ল্ডের সামনে চলে গেলাম।
তারপর ৪০০ টাকা দিয়ে দুটি টিকেট কিনে,আর্ট গ্যালারির ভিতরে প্রবেশ করলাম। তবে ভিতরে প্রবেশ করার আগে, চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। কারণ সেই জায়গাটা খুবই সুন্দর। তাছাড়া কিছু ফটোগ্রাফিও ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম। যাইহোক ভিতরে প্রবেশ করে তো বিভিন্ন ধরনের আর্ট দেখতে পেলাম। আর্ট গুলো একেবারে নিখুঁতভাবে করেছেন গুণী শিল্পীরা। এই প্রথম আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তবে ইউটিউবে থ্রিডি আর্ট ওয়ার্ল্ডের বেশ কিছু ভিডিওগ্রাফি দেখেছিলাম। আসলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের আর্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। যেমন চা বিক্রেতা চা বিক্রি করছে, বাখরখানি বিক্রেতা বাখরখানি বিক্রি করছে। এমন সুন্দর সুন্দর থিমের উপর ভিত্তি করে অসাধারণ কিছু আর্ট করা হয়েছে।
আসলে সামনা-সামনি না দেখলে বিশ্বাস হতো না,এতো নিখুঁতভাবে আর্ট করা যায়। আমরা সেখানে ঘুরাঘুরি করে প্রচুর ফটোগ্রাফি করেছিলাম এবং পাশাপাশি বেশ কিছু ভিডিওগ্রাফিও ক্যাপচার করেছিলাম। দৈত্যের পেইন্টিংটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আমরা মোটামুটি ঘন্টা দুয়েক সেখানে ঘুরাঘুরি করে, তারপর প্ল্যান করলাম বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরে গিয়ে ঘুরাঘুরি করবো। কারণ বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর, থ্রিডি আর্ট ওয়ার্ল্ডের পাশেই অবস্থিত। তো আমরা সেখান থেকে বের হয়ে, নীহারিকা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করেছিলাম এবং তারপর বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরে গিয়ে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করেছিলাম। যদিও তখন বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরের নাম ছিলো বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়াম। যাইহোক সেই পোস্ট আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৬.১০.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1975131358055063909?t=RSHyCwkG0OBK-K1EcuIbrQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1975132274191630664?t=WpGSoTHHK5J8hgNSMVB57Q&s=19
X-promotion