ক্রিয়েটিভ রাইটিং গল্প || একতরফা ভালোবাসায় আরও বেশি কষ্ট পেতে হয় (সপ্তম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের ষষ্ঠ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে সপ্তম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,শিহাবের এক ভাগ্নে তাকে এক ফকির বাবার কাছে নিয়ে গিয়েছে। তো ফকির বাবা শিহাবকে একটি তাবিজ দিয়েছিল শান বাধানো পুকুরে গেঁথে দেওয়ার জন্য। শিহাব সেদিন তাবিজ নিয়ে বাসায় চলে গিয়েছিল এবং তার ভাগ্নে কে বলে গিয়েছিল, দ্রুত শান বাধানো পুকুর খুঁজে বের করার জন্য। কারণ শিহাবের এলাকায় শান বাধানো পুকুর নেই। শিহাবের ভাগ্নে তাদের এলাকায় ভালোভাবে খোঁজাখুঁজি করে, একটি শান বাধানো পুকুর পেয়েছিল এবং শিহাবকে খবর দিয়েছিল।
তো শিহাব তার ভাগ্নের সাথে একেবারে সকাল সকাল গিয়ে,শান বাধানো পুকুরের এক পাশ দিয়ে নেমে,তাবিজটা গেঁথে দিয়েছিল। আসলে শিহাব তার ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার জন্য এতটাই মরিয়া হয়ে গিয়েছিল যে,তাকে যা বলা হয় সেটাই বিশ্বাস করতে শুরু করে। যাইহোক বেশ কষ্ট করে তাবিজটা গেঁথে, শিহাব এবং তার ভাগ্নে ফকির বাবার সাথে দেখা করলো। তো ফকির বাবা বেশ কিছুক্ষণ ধ্যানে বসার পর বললো, এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে। আর এর মধ্যে অবশ্যই কাজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ শিহাবের ভালোবাসায় সুমি সারা দিবে। শিহাব তো প্রথমে এটা শুনে ভীষণ খুশি হয়ে গেলো। পরক্ষণেই আবার সে ভাবে,যদি ফকির বাবার কথায় কাজ না হয়,তাহলে তো আর কোনো আশাই থাকবে না। যাইহোক শিহাব এবং তার ভাগ্নে যার যার বাসায় চলে যায়।
পরবর্তীতে শিহাব আমাদের সবার সাথে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করলো এবং আমরা বললাম হয়তোবা এবার কাজ হতে পারে। কারণ সেই ফকির বাবা সম্পর্কে যা শুনলাম, এতে করে কিছুটা পজিটিভ মনে হলো। তো শিহাব সপ্তাহ খানেক অপেক্ষা করার পরে সুমির কলেজের সামনে গেলো এবং বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সুমির সাথে তার দেখা হলো। তো শিহাবকে দেখে সুমির মেজাজ পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেলো। শিহাব যখন সুমিকে জিজ্ঞেস করলো কেমন আছো,তখন সুমি বললো বাজে কথা বলেন কেনো হা হা হা। শিহাব তো ভেবেছিল সুমি তার সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে। কিন্তু না সুমি তো আগের মতোই আছে। তার মানে ফকির বাবার তাবিজে কোনো কাজ হয়নি। শিহাব সুমির সাথে আর কোনো কথা বলার চেষ্টা না করে বাসায় চলে যায় এবং তারপর তার ভাগ্নের সাথে দেখা করতে, ভাগ্নের বাসায় চলে যায়।
তো তার ভাগ্নে কে সবকিছু খুলে বলার পর,তার ভাগ্নে বললো এমনটা তো হওয়ার কথা না। কারণ সেই ফকির বাবার তাবিজ নাকি ভালোই কাজ করে। তো শিহাবকে তার ভাগ্নে সান্ত্বনা দিলো এবং বললো যে,তারা ফকির বাবার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করবে, তাবিজটা কেনো কাজ করলো না। তো ফকির বাবাকে সবকিছু খুলে বলার পর, সে বললো সুমির শরীরে হয়তোবা কোনো তাবিজ বাঁধা আছে এবং সেজন্যই তার তাবিজ কাজ করেনি। শিহাব প্রথমে ফকির বাবাকে ভন্ড মনে করলেও,তার ভাগ্নে যখন তাকে সবকিছু বুঝিয়ে বললো,তখন শিহাব শান্ত হলো। তারপর ফকির বাবা বললো,সুমির শরীরে যে তাবিজ আছে, সেটা কাটতে হবে তাবিজ দিয়েই। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২১.৩.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক :
https://x.com/mohin3242127/status/1903051783452209481?t=kNYiNOKssJ7yhk677__Gog&s=19
X-promotion