লাইফস্টাইল পোস্ট || গিফট পাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আসলে গিফট পেতে কার না ভালো লাগে। আমি যতটুকু জানি গিফট পেতে সবারই ভালো লাগে। তবে আমার কাছে গিফট পেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি গিফট দিতেও ভালো লাগে। মূলত এই পোস্টে আমি গিফট পাওয়ার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আমার শ্বশুর দীর্ঘদিন যাবৎ মালয়েশিয়ায় থাকেন। তো উনার পরিচিত একজন লোক মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করে,উনি গত শুক্রবার ২০/২৫ দিনের জন্য বাংলাদেশে ছুটিতে এসেছে। তাই আমার শ্বশুর সেই লোকের মাধ্যমে অনেক কিছু কিনে পাঠিয়েছেন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য। যাইহোক সেই লোকের বাসা হচ্ছে চাঁদপুরে। তো সেই লোক চাঁদপুরে যাবে আমাদের মদনপুর হয়ে।
সেজন্য আমি ভেবেছিলাম সেই লোক মদনপুর দিয়ে চাঁদপুর যাওয়ার সময়,আমি জিনিসপত্র গুলো উনার কাছ থেকে নিয়ে নিবো। পরবর্তীতে আমার শ্বশুর বললো যে,সেই লোক নাকি ঢাকা নতুন বাজার ২/৩ দিন থাকবে উনার ব্যবসায়িক কাজের জন্য। যেহেতু সেই লোক অল্প দিনের জন্য বাংলাদেশে ছুটিতে এসেছে। তো আমার শ্বশুর আমাকে বললো যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এয়ারপোর্টে থাকতে এবং সেই লোকের কাছ থেকে জিনিসপত্র গুলো নিতে। অর্থাৎ গিফট পেতে কষ্ট করতে হবে আর কি হা হা হা। তো আমি গত শুক্রবার বিকেল ৪টার আগে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। কারণ আমার প্ল্যান ছিলো পূর্বাচল ৩০০ ফিটের দিকে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে,তারপর এয়ারপোর্টের দিকে যাবো সন্ধ্যা ৭টার আগে। যেহেতু আমি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম,তাই বিকেল ৫টার দিকেই নীলা মার্কেট এর দিকে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
তারপর সেখান থেকে একটু সামনের দিকে গেলাম ভাইরাল শাকিলা আপার পিঠা ঘর থেকে হাঁসের মাংস,রুমালি রুটি এবং দোসা খাওয়ার জন্য। তো আমি সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে,তারপর খাওয়া দাওয়া করলাম। এরপর গাড়ি নিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যেই এয়ারপোর্ট পৌঁছে গেলাম। আমি সন্ধ্যা ৬.৩০ টার আগেই এয়ারপোর্টে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর ঘন্টা খানেক এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করার পর,সেই লোকের কাছ থেকে জিনিসপত্র গুলো নিয়ে, সন্ধ্যা ৭.৩০ টার দিকে এয়ারপোর্ট থেকে রওনা দিলাম। বাসায় আসতে আসতে রাত ৯টা বেজে গিয়েছিল। অর্থাৎ এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় আসতে ১.৩০ ঘন্টা সময় লেগেছিল। তো বাসায় আসার পর আমার ওয়াইফ অস্থির হয়ে যায় লাগেজ খোলার জন্য। কারণ ওয়াইফের জন্য নাকি বিভিন্ন ধরনের চকলেট এবং কসমেটিকস আইটেম পাঠিয়েছে।
মেয়েরা তো এসবের প্রতি একটু দুর্বল হা হা হা। যাইহোক লাগেজ খুলে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের চকলেট, সাবান,শ্যাম্পু,লোশন, ফেস ওয়াশ সহ আরও অনেক কিছু পাঠিয়েছে। তাছাড়া আমার জন্য ২ টা ঘড়ি এবং গার্নিয়ার ফেস ওয়াশ পাঠিয়েছে। এছাড়া আমার পরিবারের জন্য জায়নামাজ,মাথা ব্যথার মলম সহ আরও অনেক কিছুই পাঠিয়েছে। ঘড়ি দুটি হাতে দিয়ে দেখলাম বেশ ভালোই লাগছে। বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র গিফট পেয়ে আমার ওয়াইফ খুব খুশি হয়েছে। তাছাড়া ঘড়ি দুটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কারণ ঘড়ি আমার বরাবরই খুব পছন্দ। আমি বাহিরে গেলে সবসময়ই হাতে ঘড়ি পড়ি এবং বেল্টের ঘড়ি আমি একেবারেই পছন্দ করি না। শুধুমাত্র চেইনের ঘড়ি পছন্দ করে থাকি। যাইহোক গিফট পেয়ে আমি এবং আমার ওয়াইফ খুবই খুশি হয়েছি। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ২৮.১১.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
আজকে দেখছি দারুন পোস্ট শেয়ার করেছেন। এক সপ্তাহ আগে আপনি গিফট হাতে পেয়েছেন আর সেই গিফট আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। এতদিন লুকিয়ে রেখেছিলেন। বিদেশ থেকে শশুরের দেয়া গিফট জেনে খুবই ভালো লাগলো। কি সুন্দর সুন্দর দুইটা ঘড়ি।
এতদিন লুকিয়ে রাখিনি তো,পোস্ট ভ্যারিয়েশন মেইনটেইন করে পোস্ট করতে হয়। ঘড়ি দুটি আসলেই খুব সুন্দর। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
গিফট পেতে সবার অনেক ভালো লাগে আর যদি প্রিয় গিফট হয় তাহলে তো কথায় নেই। আপনার শশুর বেশ ভালোই উপহার দিয়েছে।আর বিদেশ থেকে সবাই বেশি চকলেট আশা করে। উপহার গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু,পছন্দের জিনিস গিফট হিসেবে পেলে আরও বেশি ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিদেশ থেকে কেউ গিফট পাঠালে ভালোই লাগে আসলে। আমি সব থেকে বেশি এক্সাইটেড থাকি চকলেট এর জন্য। বিদেশ থেকে আর কিছু পাঠাক বা না পাঠাক চকলেট অবশ্যই আসবে। আপনি অনেক কিছু গিফট পেয়েছেন দেখছি। ঘড়ি গুলো খুব সুন্দর। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চকলেট গুলো খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার শশুর আব্বা আপনাদের জন্য সুন্দর গিফট পাঠিয়েছে দেখে। আসলে গিফট পাওয়ার মজা আলাদা। একটু অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। যেহেতু ঐ লোকটার বাসা চাঁদপুরে তাই খুব সহজে মালয়েশিয়া থেকে তার মাধ্যমে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন। আরো ভালো লাগলো জেনে সেখানে আপনার জন্য ঘড়ি ছিল দুইটা। অনেক ভালো লাগলো সুন্দর এই পোস্ট দেখে।
সেই লোকের বাড়ি চাঁদপুরে হলেও আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে জিনিসপত্র গুলো নিতে হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
X-promotion
এত সুন্দর সুন্দর সব গিফট পেতে কার না ভালো লাগে ভাই। ছবিতে যা দেখছি তা তো প্রচুর জিনিসপত্র। ঘড়ি কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এমন সুন্দর গিফট পেয়ে হঠাৎ সে আনন্দের সম্মুখীন হয়েছেন তা কিন্তু মনে রাখবার মতো। আসলে উপহার মানুষকে আকস্মিক আনন্দ দেয়। আপনাকেও এমন উপহার সামগ্রী অনেক আনন্দ দিয়েছে বোঝা গেল।
ঠিক বলেছেন ভাই,ঘড়ি দুটি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বেশ কিছু গিফট পেয়েছেন ভাই দেখে খুব ভালো লাগলো। হাত ঘড়ি খুবই সুন্দর। আপনার শশুর বেশ ভালোই উপহার দিয়েছে। আসলে বিদেশি চকলেট খাওয়ার মজাটাই আলাদা। গিফট পাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
হাত ঘড়ি দুটি পড়তে খুব ভালো লাগছে ভাই। প্রতিনিয়ত এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গিপ্ট দিতে যেমন ভালো লাগে পেতেও ভালো লাগে।রুটি হাঁসের মাংস খেতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।সত্যি আপনাকে মানিয়েছে ভালোই ঘরি।ভাবির জন্য দেখছি সব প্রয়োজনীয় কসমেটিকস পাঠিয়েছে।আমার কিন্তুু চকলেট গুলোতে লোভ লেগেছে হাহা।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য
আপু গিফট বানানটা ভুল রয়েছে। চকলেট গুলো বেশ স্বাদের ছিলো। যাইহোক আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।