নাটক রিভিউ || তোমায় পাবো কি?
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে তোমায় পাবো কি?। এই নাটকটি গত পরশুদিন রিলিজ হয়েছে। মাত্র দুই দিনে এই নাটকের ভিউ বেশ ভালোই। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ইয়াশ রোহান এবং তানজিম সাইয়ারা তটিনী। এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | তোমায় পাবো কি? |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | সাজ্জাদ হোসাইন বাপ্পি |
অভিনয়ে | ইয়াশ রোহান,তানজিম সাইয়ারা তটিনী,এবি রোকন,জাহাঙ্গীর আলম মুক্তা,জাহিদ চৌধুরী,সোহাগ তালুকদার এবং আরও অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |
দৈর্ঘ্য | ৫০ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়,নাটকের নায়ক ইয়াশ রোহান গিটার প্লে করছে এবং সে একজন বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পী। তো তখন তার ফোনে একটি মেয়ের কল আসে এবং মেয়েটি বলে যে,তার সাথে তখন দেখা করতে চায়। কারণ সেই মেয়ে তার অনেক বড় ফ্যান। তবে ইয়াশ রোহান সেই মেয়েকে বলে যে সে খুব ব্যস্ত,তাই দেখা করা সম্ভব নয়। তারপর রোহান ফোনটা কেটে দেয়। ফোন কেটে সে আবারও গিটার প্লে করতে থাকে এবং তখন হঠাৎ করে তার মনে হলো,যে কল দিয়েছিল সে হচ্ছে তার গার্লফ্রেন্ড। অর্থাৎ নাটকের নায়িকা তটিনী। আসলে তটিনী দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে আসে এবং তটিনী রোহানকে ফোন দিয়ে যাচাই করে,রোহান তার কন্ঠ চিনতে পারে কিনা। তো রোহান যখন বুঝতে পারলো তটিনী তাকে ফোন দিয়েছে, তখন সে সাথে সাথে তটিনীকে ফোন করলো। তখন তটিনী বললো তুমি তো প্রচুর ব্যস্ত এবং তুমি আমার কন্ঠও ভুলে গিয়েছো। এমনকি আমাদের সব স্মৃতিও ভুলে গিয়েছো। তো রোহান বললো যে আমি কিছুই ভুলিনি।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
তারপর তটিনী বললো,আমাদের যেখানে প্রথম দেখা হয়েছিল, সেখানে তুমি চলে আসো এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। তবে দেরী হলে আমার সাথে দেখা হবে না। তখন সাথে সাথে রোহান বাইক নিয়ে বের হয়ে গেলো এবং তারা দু'জন যেসব জায়গায় গিয়ে সময় কাটাতো,সেসব জায়গায় খুঁজতে লাগলো তটিনীকে। কিন্তু রোহান নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারেনি। এভাবে তটিনী বেশ কয়েকদিন রোহানকে হিন্টস দিতে থাকে,তবে রোহান সেসব জায়গায় ঠিকই পৌঁছায়,তবে কিছুটা দেরী করে পৌঁছায়। আগেও তারা রিলেশনশিপে থাকা অবস্থায় একে অপরের সাথে দেখা করার সময়, রোহান প্রায়ই দেরী করতো। যাইহোক পরবর্তীতে রোহান ভাবে যে,তটিনীর সাথে মনে হয় তার দেখা হবেই না। তারপর রোহান তাদের দু'জনের পুরনো স্মৃতি কল্পনা করতে লাগলো। আসলে তটিনী পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে, তটিনীর মা বাবা বলেছিল বিয়ে করে যেতে। রোহান তখন কণ্ঠশিল্পী হওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলো,কিন্তু তেমন ভালো কোনো সুযোগ পাচ্ছিলো না।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
অর্থাৎ রোহান তখন স্ট্রাগল করছিলো বলে,তটিনীর পরিবার রোহানকে মেনে নিতে পারছিলো না। তবুও তটিনী রোহানকে বলে যে, তটিনীর বাসায় গিয়ে যাতে রোহান কথা বলে তাদের বিয়ের ব্যাপারে। কিন্তু রোহান তটিনীকে বলে,এই মুহূর্তে সে বিয়ে করতে পারবে না। কারণ রোহান চেয়েছিল সে প্রথমে প্রতিষ্ঠিত হবে, তারপর তটিনীকে বিয়ে করবে। যাতে করে তটিনীকে কোনো কষ্ট করতে না হয়। তারপর তটিনী রোহানকে বলে,আমি সব ধরনের কষ্ট করতে রাজি আছি,কিন্তু তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। তবুও রোহান রাজি হয়নি। তারপর তটিনী রাগ করে বলে তাহলে ঠিক আছে, তার পরিবার যদি অন্য কারো সাথে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়, তাহলে তটিনী বিয়ে করে ফেলবে। তারপর তটিনী অস্ট্রেলিয়া চলে যায়। তটিনী বাংলাদেশে ফিরে আসার পর,একদিন রোহানের সাথে তার দেখা হয়। তখন রোহান তটিনীকে জিজ্ঞেস করে, তোমার হাসবেন্ড কেমন আছে। তখন তটিনী বলে সে ভালো আছে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
আসলে কাউকে সত্যিকারের ভালোবাসলে,সেই ভালোবাসার মানুষকে অবশ্যই নিজের করে নেওয়া উচিত। নয়তো পরবর্তীতে চরমভাবে আফসোস করতে হয়। কিন্তু অনেক ছেলেরা ভাবে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করলে,ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে সারাক্ষণ কথা শুনতে হবে। তাই তারা প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করতে চায় না। কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠিত হতে হতে, ভালোবাসার মানুষ তাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়। আমি মনে করি ভালোবাসার মানুষ যদি পাশে থেকে সাপোর্ট দেয়, তাহলে প্রতিষ্ঠিত হওয়াটা আরও সহজ হয়ে যায়। তাই ভালোবাসার মানুষকে কখনোই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। বরং যেকোনো মূল্যে ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে নিতে হবে। এই নাটকে রোহান এই ভুলটা করেছে। পরবর্তীতে রোহান যখন প্রতিষ্ঠিত হলো,তখন সে তার খুশির দিনগুলোতে তার ভালোবাসার মানুষকে প্রচন্ড মিস করতো। তটিনী রোহানকে বারবার বলেছিল,আমি কখনোই তোমাকে কথা শোনাবো না। বরং সে সবকিছু মানিয়ে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু রোহান তবুও তটিনীর কথা শোনেনি। বরং তটিনীর হাত ছেড়ে দিয়েছিল। তখন তটিনী একেবারে অসহায় হয়ে গিয়েছিল। কারণ তটিনী প্রচন্ড ভালোবেসেছিল রোহানকে। যাইহোক এবারের ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে রিলিজ হওয়া নাটক গুলোর মধ্যে,আমার মনে হয় এটা বেস্ট নাটক। এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে সম্পূর্ণ নাটকটি।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৪.২.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
ভাইয়া আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আসলে ইয়াশ রোহানের নাটক আমি কমবেশি অনেক দেখেছি তার অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তবে এই নাটকটি আমার এখনো দেখা হয়নি।নাটকের রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে নাটকটি অনেক সুন্দর।সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ইয়াশ রোহান সত্যিই খুব ভালো অভিনয় করে। যাইহোক রিভিউ পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালেন্টাইন ডে উপলক্ষে নাটকটা রিলিজ করা হয়েছে। ওদের জুটিটা আমার এমনিতেই ভালো লাগে। দারুন ছিল নাটকের গল্পটা। খুব সুন্দর ভাবে আপনি পুরো নাটকের গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই নাটকের গল্প আসলেই খুব সুন্দর। এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ইয়াস রোহান আর তটিনির নাটক গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাদের নাটকগুলো তো আমি প্রায় সময় দেখে থাকি। তাদের এই নাটকটা অনেক সুন্দর ছিল। তারা দুইজনেই খুব সুন্দর অভিনয় করেছে পুরো নাটকটার মধ্যে। নাটকটা আমি এখনো পর্যন্ত দেখিনি, তাই ভাবছি আমি সময় পেলে নাটকটা দেখবো।
সময় পেলে অবশ্যই এই নাটকটি দেখতে পারেন। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন "তোমায় পাবো কি?" সুন্দর নাটকটির রিভিউ। এই নায়ক নায়িকা আমার অনেক পছন্দের। তাদের অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। অনেক আগে থেকেই আমি তাদের নাটক দেখি। তাদের দুজনের অভিনয় অনেক সুন্দর হয়। এই নাটকের পুরো রিভিউটা সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করেছি এই নাটকের রিভিউ যথাযথভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে জীবনটা আরও সহজ হয়ে যায়। জীবনের কোন পরিস্থিতিতেই ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে যেতে দেওয়া ঠিক না। পরে আফসোস করার থেকে ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার পরে কষ্ট পেলেও সেটাই ভালো। এই গল্পে তো তটিনি যেহেতু রোহানের পাশে থাকতে চেয়েছিল সেক্ষেত্রে তার তটিনিকে বিয়ে করে নিলেই ভালো হতো। রোহানের একটা ভুলের জন্য সারা জীবন তাকে আফসোস করতে হলো। খুবই সুন্দর একটি নাটক। এই নাটকের কয়েকটি অংশ আমি দেখেছি। সময় পেলে অবশ্যই সম্পূর্ণ নাটকটি দেখব। খুব সুন্দর গুছিয়ে রিভিউ করেছেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আসলে আমি ইচ্ছে করে এই নাটকের শেষ অংশের কথা উল্লেখ করিনি। তবে এই নাটকের শেষের অংশটা ব্যতিক্রম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি সরাসরি দেখতেছি। আমি নাটক যদিও দেখিও না, তবে সময় পেলেই তানজিম সাইয়ারা তটিনী আপুর নাটক গুলো দেখি। উনি খুব সুন্দর অভিনয় করেন।এই নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হলো যে এই নাটকের কাহিনী অনেক সুন্দর।
তটিনী সত্যিই খুব ভালো অভিনয় করে থাকে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ নাটকের ছোট ছোট ক্লিপগুলো আমি দেখেছিলাম এবং তখন ভেবেছিলাম যে নাটকটি অনেক সুন্দর হবে৷ আজকে দেখি যে আপনি এর রিভিউ শেয়ার করে দিয়েছেন৷ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আজকের এই রিভিউ এখানে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অবশ্যই আমি সময় করে পুরো নাটকটি দেখে নেব৷
এই নাটকটি সত্যিই খুব সুন্দর। নাটকটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।