লাইফস্টাইল পোস্ট || নাজিরা বাজার গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার গিয়েছিলাম কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসলে নাজিরা বাজার গিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার মজাই আলাদা। সেদিন শুক্রবার ছিলো এবং পুরান ঢাকার আশেপাশে আমার একটু কাজ ছিলো। তো কাজ শেষ করে নাজিরা বাজার গেলাম বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। নাজিরা বাজার গিয়েই প্রথমে চলে গেলাম হাজী বিরিয়ানি হোটেলের সামনে। হাজী বিরিয়ানি হোটেলের সামনে গিয়ে যা দেখলাম, তা দেখে একেবারেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এমন ভিড় কোনো হোটেলের সামনে আমি এই পর্যন্ত দেখিনি।
কোলাজ ম্যাকার অ্যাপ দিয়ে কোলাজ করা হয়েছে
আসলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হাজী বিরিয়ানি বিক্রি করে ঠিকই, কিন্তু বেশিরভাগ হচ্ছে ভুয়া হাজী বিরিয়ানি। কিন্তু পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের হাজী বিরিয়ানি হচ্ছে একেবারে অরিজিনাল। তাইতো সেখানে প্রায় সবসময়ই ভিড় লেগে থাকে। বিশেষ করে শুক্রবারে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় সেখানে। শুক্রবার দুপুরে আমি এর আগে সেখানে যাইনি কখনো। তাই আমার কোনো ধারণা ছিলো না,শুক্রবার দুপুরে কেমন ভিড় হয় হাজী বিরিয়ানি হোটেলের সামনে। তো সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সিরিয়ালে দাঁড়ানোর পর,একেবারে বিরক্ত লাগছিলো। কারণ ভিড় মনে হচ্ছিলো কমছিলো না বরং বাড়ছিলো। এদিকে তখন ক্ষুধাও লেগে গিয়েছিল। তাই ভাবলাম সেখান থেকে হানিফ বিরিয়ানি হোটেলের সামনে চলে যাবো। কারণ হানিফ বিরিয়ানির স্বাদও দারুণ।
তবে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে হাজী বিরিয়ানি এগিয়ে আছে। যাইহোক হানিফ বিরিয়ানি হোটেলের সামনে গিয়ে তো আবারও অবাক হলাম। সেখানেও প্রচুর ভিড় ছিলো। এমন ভিড় দেখে আমার মনে হয়েছিল, ঢাকার সব মানুষ মনে হয় হাজী বিরিয়ানি এবং হানিফ বিরিয়ানি কিনতে এসেছে হা হা হা। হানিফ বিরিয়ানি হোটেলের সামনে এমন ভিড় দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম, সেদিন অন্য কোনো হোটেলে গিয়ে বিরিয়ানি খেতে হবে। তো সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে,আশেপাশে হাঁটাহাঁটি করে ভালো মানের বিরিয়ানির হোটেল খুঁজতে লাগলাম। কারণ তখন প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিল আমার। তখন দেখলাম যে আশেপাশের অনেক হোটেলে কাস্টমার নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র হাজী বিরিয়ানি এবং হানিফ বিরিয়ানি হোটেলের সামনেই প্রচুর মানুষ রয়েছে।
যাইহোক আমি বিসমিল্লাহ কাবাব হাউজ থেকে একটু সামনে গিয়ে মতি বিরিয়ানি হাউজ দেখতে পেলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম সেই বিরিয়ানি হাউজে মোটামুটি ভালোই মানুষ রয়েছে। তাই ভাবলাম বিরিয়ানির স্বাদ মনে হয় ভালোই হবে। তারপর সাথে সাথে মতি বিরিয়ানি হাউজে ঢুকে গেলাম কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। তো আমি খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি এবং বোরহানি অর্ডার দিলাম। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই টেবিলে কাচ্চি বিরিয়ানি এবং বোরহানি দিয়ে গেলো। পেটে যেহেতু ক্ষুধা ছিলো, তাই অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া করে ফেললাম। সত্যি বলতে কাচ্চি বিরিয়ানির স্বাদ এককথায় দুর্দান্ত ছিলো। তাছাড়া বোরহানির টেস্টও ভালো ছিলো। হাজী বিরিয়ানি এবং হানিফ বিরিয়ানি খেতে না পারলেও,ভালো মানের কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। আর এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৪.৩.২০২৫ |
লোকেশন | নাজিরা বাজার,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
মাঝেমধ্যে এরকম কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে ভালোই লাগে। কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বিরিয়ানির সাথে বোরহানি ও দারুন লাগে খেতে। খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে সুস্বাদু ছিল। মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিরিয়ানির সাথে বোরহানি না থাকলে,খাবার খেয়ে ততটা তৃপ্তি পাওয়া যায় না। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কাচ্চি বিরিয়ানিখাওয়ার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে এভাবে খাওয়া দাওয়া করলে মনটাও ভালো থাকে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য।
মাঝেমধ্যে বাহিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে আমার খুব ভালো লাগে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম বিরিয়ানি খেতে অনেক কষ্ট করেছেন। তার উপর আপনার ধৈর্য আছে এই কারণে আপনি দুই জায়গায় ঘুরে অন্য জায়গায় গিয়ে বিরিয়ানি খেলেন । তবে হাজী বিরিয়ানি সব জায়গাতে মানসম্মত। আর যখন খুদা লাগে তখন সবাই চায় তাড়াতাড়ি খাওয়া খেতে। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই নাজিরা বাজারের হাজী বিরিয়ানি হচ্ছে একেবারে অরিজিনাল। তাই এতো ভিড় হয় সেখানে। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।