ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (দ্বাদশ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের একাদশ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বাদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা তিনজন সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানার ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমেই বাঘ খুঁজতে লাগলাম। কারণ চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে বাঘ। কিন্তু এখন অনেক চিড়িয়াখানায় বাঘ দেখা যায় না। তো সেই চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি করে দেখলাম যে বাঘ এবং হাতি নেই সেখানে। তো আমরা তারপর বানর দেখতে চলে গেলাম। কিন্তু যেখানে বানর রাখা হয়েছে, সেখানে এতটাই ভিড় ছিলো যে,কোনোভাবেই সামনে যেতে পারছিলাম না।
তো একটু সামনে যেতেই লক্ষ্য করলাম এক পাশে খাঁচার মধ্যে ২টা বানর রাখা আছে এবং অনেকেই দেখলাম বানর দুটির সাথে দুষ্টামি করছে। অর্থাৎ বানরের সামনে মোবাইল রেখেছে এবং বানর ভালোভাবে ধরে, মোবাইল দেখছে হা হা হা। বানরের এসব কাহিনী গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমাদের। তারপর আমরা চলে গেলাম ভাল্লুকের সামনে। ভাল্লুকের কাহিনী দেখে তো আরও বেশি হাসি পাচ্ছিলো। কারণ ভাল্লুক কে এমন ট্রেইনিং দেওয়া হয়েছে,সে বারবার একই কাহিনী করে। অর্থাৎ আমাদের সামনে এসে শরীরের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি করে এবং তারপর আবার খাঁচার শেষ মাথায় চলে যায়। আবার সেখান থেকে আমাদের সামনে এসে একই কাহিনী করে। তো ভাল্লুকের এই কাহিনী গুলো দেখে যেমন হাসি পেয়েছিল,তেমনি মেজাজ খারাপও হয়েছিল।
কারণ একই কাহিনী তো বারবার দেখতে ভালো লাগে না। ভাল্লুক দেখা শেষ করে আমরা গেলাম ময়না পাখির খাঁচার সামনে। কারণ ময়না পাখি আমার খুব পছন্দ। তাছাড়া আমি নিজেও একটি ময়না পাখি পুষে থাকি। সেখানে ছোট একটি খাঁচার মধ্যে দুটি ময়না পাখি ছিলো। কিন্তু ময়না পাখি দুটি কোনো কথাও বলে না,এমনকি তারা তেমন নড়াচড়াও করে না। অর্থাৎ খাঁচার ভিতরে আঙ্গুল দিলে,তারা কিছুই বলে না এবং নড়াচড়া করে না। কিন্তু আমার বাসায় যে ময়না পাখিটা রয়েছে, সেটার সামনে আঙ্গুল দিলে তো সাথে সাথে ঠোকর দেওয়ার চেষ্টা করে এবং সারাদিন কথা বলতে থাকে। তো আমি যে ময়না পাখিটা পুষতেছি,সেটা পাহাড়ি ময়না। তাছাড়া চিড়িয়াখানার ভিতরে যে ময়না পাখি দুটি ছিলো, সেই দুটিও পাহাড়ি ময়না। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো,কথা বলতে পারে এমন ময়না পাখি সেখানে রাখার।
তাহলে মানুষ অনেক বিনোদন পেতো। কারণ ময়না পাখির কথা কিন্তু খুবই সুন্দর। তাছাড়া সেই চিড়িয়াখানায় মূলত বড় কোনো জীবজন্তু নেই। বরং বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে এবং তাছাড়া আরও কিছু জীবজন্তু রয়েছে। যাইহোক এরপর আমরা সাপ খুঁজতে লাগলাম। কারণ চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন ধরনের সাপ থাকে এবং সেগুলো দেখতেও খুব ভালো লাগে। একটু সামনে যেতেই লক্ষ্য করলাম মোটা একটি সাপ রয়েছে একটি বড় খাঁচার মধ্যে। আমি সেই সাপের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার চেষ্টা করলাম। আসলে খাঁচার ভিতরের ফটোগ্রাফি করাটা বেশ ঝামেলার একটি কাজ। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৬.৩.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion