জেনারেল রাইটিং পোস্ট || শৈশবের ঈদুল আযহার মধুর স্মৃতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,শৈশবের ঈদুল আযহার মধুর স্মৃতি। ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই আনন্দ। রোজার ঈদের সময় অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের সময় এক রকম আনন্দ লাগে এবং কোরবানির ঈদের সময় অর্থাৎ ঈদুল আযহার সময় আরেকরকম আনন্দ লাগে। শৈশবে রোজার ঈদের সময় আগেই প্ল্যান থাকতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করার। কিন্তু কোরবানির ঈদের সময় সকল আনন্দ কোরবানির পশুকে ঘিরেই থাকতো। এখনও আনন্দ লাগে, কিন্তু আনন্দের মাত্রা অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে।
হয়তোবা সামনে আরও হ্রাস পাবে। কারণ বয়স যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আনন্দ গুলো জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এবং দিনদিন দায়িত্ব বেড়েই চলেছে। এবারের কোরবানির পশু ইতিমধ্যেই কেনা হয়ে গিয়েছে আমাদের। তবে হাটে যাওয়া থেকে শুরু করে, কোরবানির পশু কেনার মধ্যে, ছোটবেলার মতো সেই আনন্দ খুঁজে পেলাম না। যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক, ছোটবেলায় কোরবানির পশু কেনা নিয়ে চরম উত্তেজনা কাজ করতো। কোরবানির ঈদের ৭/৮ দিন আগে থেকেই বাসার কাছাকাছি অবস্থিত,বেশ কয়েকটি হাটে চলে যেতাম ঘুরতে। তারপর বিভিন্ন হাটে ঘুরে ঘুরে কোরবানির পশু দেখতাম। মূলত সমবয়সী কয়েকজন মিলেই আমরা প্রতিদিন বিকেলে হাটে যেতাম।
তারপর কোরবানির পশু পছন্দ হলে,বাসায় এসে বলতাম এবং এরপর কোরবানির পশু কিনতে হাটে চলে যেতাম। হাটে গিয়ে ঘুরাঘুরি করে কোরবানির পশু কিনতে আসলেই খুব ভালো লাগতো। তারপর কোরবানির পশু নিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় আসতাম। অনেক সময় ২\১ ঘন্টা হেঁটেও বাসায় আসতাম কোরবানির পশু নিয়ে। আর কোরবানির পশু যদি পাগলামি করতো,তাহলে তো সময় আরও বেশি লাগতো। রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় আসার সময় অনেকেই জিজ্ঞেস করতো কোরবানির পশুর দাম কতো। এই ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগতো। তারপর বাসায় এসে কোরবানির পশু নিয়ে পুরো মহল্লা ঘুরতাম।
কোরবানির পশুকে বেশ কয়েকজন মিলে পুকুরে গোসল করাতাম। তবে কোরবানির আগের দিন রাতে খুব কষ্ট লাগতো। কারণ পরের দিন অর্থাৎ ঈদুল আযহার দিন কোরবানির পশুকে কোরবানি করতে হবে বলে। কোরবানির পশু যখন আগের দিন রাতে কান্না করতো,তখন সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগতো। ইচ্ছে করতো কোরবানি না দিয়ে, পশুকে বাসায় রেখে দিতে। যাইহোক আজকে হঠাৎ করে শৈশবের এই মধুর স্মৃতি গুলো মনে পড়ছিলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে স্মৃতি গুলো শেয়ার করা যাক। আর শৈশবের সেই মধুর স্মৃতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। আশা করি আপনারাও বেশ উপভোগ করেছেন।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ৩১.৫.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
https://x.com/mohin3242127/status/1928725945096998963?t=ILjyhqfn6pI5QB5POr7Dxw&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1928726873808277957?t=9SnfzfeS0XFIJlBwcoVQRg&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1928728408252448789?t=L4ONx_E29nbphwzvoBow2w&s=19
X-promotion
আসসালামু আলাইকুম @mohinahmed!
আপনার "শৈশবের ঈদুল আযহার মধুর স্মৃতি" পোস্টটি পড়ে আমি মুগ্ধ! ঈদের স্মৃতিগুলো সবসময়ই বিশেষ, আর আপনার লেখার মাধ্যমে সেই সোনালী দিনগুলোর ছবি যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো। কোরবানির পশু কেনার উত্তেজনা, বন্ধুদের সাথে হাটে ঘোরাঘুরি, আর পশুটিকে গোসল করানোর স্মৃতিগুলো খুবই জীবন্তভাবে তুলে ধরেছেন।
বিশেষ করে কোরবানির আগের রাতে পশুর কান্না শুনে আপনার কষ্টের অনুভূতিটি হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। শৈশবের আনন্দগুলো যতই ফিকে হয়ে আসুক, স্মৃতির পাতায় সেগুলো সবসময় উজ্জ্বল থাকে, আর আপনার এই পোস্টটি সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়।
আপনার আন্তরিক উপস্থাপনা এবং সাবলীল ভাষায় লেখাটি সত্যিই অসাধারণ। পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার অন্যান্য পোস্টগুলোও দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন!
ওয়ালাইকুম আসসালাম। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।