ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (ষষ্ঠ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের পঞ্চম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা খাসিয়া পল্লী তে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে,তারপর সেখান থেকে বের হয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মেইন গেটের দিকে যাওয়া শুরু করলাম। কারণ আমরা তখন মাধবপুর লেকের দিকে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। খাসিয়া পল্লী থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মেইন গেট পর্যন্ত যেতে হলে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে হয়। তো আমরা হাঁটা শুরু করলাম এবং মাঝপথে থেমে থেমে কয়েকজন রেস্ট নিয়ে নিচ্ছিলো। সেই ফাঁকে আমি কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম।
কোলাজ মেকার অ্যাপ দিয়ে কোলাজ করা হয়েছে
আমরা বেশ কিছুক্ষণ পর মেইন গেটে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর গেট থেকে বের হয়ে গেলাম। গেটের বাহিরে প্রচুর দোকান ছিলো সেখানে। তো আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে হালকা পাতলা নাস্তা করে নিলাম। কারণ হাঁটাহাঁটি করে সবারই কমবেশি ক্ষুধা পেয়েছিল তখন। হালকা নাস্তা করার পর আমি সাত কালারের চা খুঁজছিলাম। কারণ শ্রীমঙ্গলের সাত কালার চা বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সেখানে সাত কালার চা পেলাম না। তারপর সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। সেখানে গাড়ি পার্কিং করা ছিলো অনেক। কারণ সেখানে অনেক পর্যটক ঘুরতে যায়। সেখানকার জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। যাইহোক আমরা গাড়িতে উঠে মাধবপুর লেকের দিকে রওনা দিলাম। মাধবপুর লেকের দিকে যাওয়ার রাস্তাটি খুব সুন্দর। দুই পাশে অনেক গাছগাছালি ছিলো।
আমি গাড়িতে বসেই কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। তারপর একটু সামনে যেতেই দেখলাম যে অনেক সুন্দর সুন্দর চা বাগান। গাড়িতে বসে চা বাগান গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো। সত্যি বলতে চা বাগানের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মোটামুটি ২৫/৩০ মিনিটের মধ্যেই আমরা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের গেটের সামনে থেকে মাধবপুর লেকের দিকে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর গাড়ি পার্কিং করে মাধবপুর লেকের দিকে যাওয়া শুরু করলাম। আমার পরিবারের কয়েকজন হাঁটাহাঁটি করে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল বলে,গাড়িতে বসেই রেস্ট নিচ্ছিলো। তাছাড়া সেখানে প্রচুর রোদ ছিলো তখন। যাওয়ার সময় দেখলাম যে একটি চায়ের দোকানে সাত কালার চা পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেই দোকানে বেশ ভালোই ভিড় ছিলো।
সেজন্য আমার ওয়াইফ বললো যে, মাধবপুর লেকে ঘুরাঘুরি করে তারপর সাত কালার চা পান করবো। তারপর আমরা অল্প একটু হেঁটে মাধবপুর লেকের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আসলে তীব্র রোদ দেখে আমাদেরই ইচ্ছে করছিলো না লেকের পাড় দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে। তাই লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে পেঁপে বিক্রেতার কাছ থেকে পেঁপে কিনে খেলাম এবং কিছুক্ষণ পর ওয়াইফকে নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। মাধবপুর লেকটা আসলেই খুব সুন্দর। এতো সুন্দর লেক এর আগে আমি কখনো দেখিনি। তবে আফসোসের কথা হচ্ছে সেই লেকে বোটে চড়ার কোনো ব্যবস্থা ছিলো না। বোটে চড়ার ব্যবস্থা থাকলে অবশ্যই বোটে চড়তাম। কারণ বোটে চড়ে লেকের সৌন্দর্য দেখার মজাই আলাদা। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২.২.২০২৫ |
লোকেশন | শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গলে দারুন সময় কাটিয়েছেন। আসলে এই জায়গাটিতে আমার যাওয়ার খুবই শখ। অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল। সুন্দর পরিবেশ মাঝে মাঝে এরকম সুন্দর পরিবেশে সময় কাটানো উচিত। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শ্রীমঙ্গলে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। সেখানে গেলে দারুণ সময় কাটাতে পারবেন। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের আগের পর্বগুলোও দেখেছিলাম। আজকের পর্ব টা দেখেও ভালো লাগলো। এটা ঠিক বলেছেন লেকের মধ্যে বোটে চড়ে সময় কাটালে লেকের সৌন্দর্য ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। ভালো লাগলো আপনারা কাটানো মুহূর্তগুলো সম্পর্কে জানতে পেরে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
পরবর্তী পর্ব আগামী সপ্তাহে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি গাড়িতে বসেই অনেকগুলো সুন্দর ফটোগ্রাফি করছেন। ফটোগ্রাফিগুলো একদম ফ্রেশ। ভালো লেগেছে আপনার ভ্রমণ পোস্ট দেখে। শ্রীমঙ্গলের মাধবপুর লাউয়াছাড়া অঞ্চলটা মানুষের আছে অনেক পরিচিত। বেশ কিছু দর্শনীয় এরিয়া থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে চলে এখানে। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফির সাথে আপনার সেই সময়ের অনুভূতিগুলো শেয়ার করেছেন তায়।
আমি সবসময়ই চেষ্টা করি ক্লিয়ার ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে। পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের আপনার পূর্বের পোস্ট গুলো দেখেছি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজ আপনি শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের খুবই দুর্দান্ত কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই দারুণভাবে সবাইকে নিয়ে উপভোগ করেছেন। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। ভ্রমণ পোস্টটি দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
সাত কালারের চা নাম শুনেই খেতে মন চাইছে।আসলেই ভিড় দেখে আপনার স্ত্রী ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।আর পেঁপে খাওয়ার দৃশ্য মনে হয় আগের পোস্টে দেখেছিলাম।সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।