লাইফস্টাইল পোস্ট || বছরের প্রথমবার খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। মূলত এই পোস্টের মাধ্যমে বছরের প্রথমবার খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক খেজুরের কাঁচা রস বরাবরই আমার খুব পছন্দ। তাই প্রতি বছর শীতকালে খেজুরের কাঁচা রস অবশ্যই খাওয়া হয় আমার। যদিও খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার আগ্রহ এখন অনেকটা কমে গিয়েছে। কারণ আমাদের এদিকে নির্ভেজাল খেজুরের কাঁচা রস একেবারেই পাওয়া যায় না। তাই এই বছর ভেবেছিলাম খেজুরের কাঁচা রস খাবো না। তাছাড়া এই বছর নাকি বিভিন্ন জেলার মানুষ খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে খুবই বাজেভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার প্ল্যান এই বছর বাদ দিয়েছিলাম।
তাছাড়া খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে খেতে আমার একেবারেই ভালো লাগে না। যাইহোক আমরা থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম এবার। বন্ধু বান্ধব এবং পরিচিত ভাই ব্রাদার সহ আমরা মোট ৭ জন গিয়েছিলাম কুয়াকাটা। তো আমাদের এক বড় ভাইয়ের আত্মীয় রয়েছে কুয়াকাটাতে। কুয়াকাটা বীচ থেকে তাদের বাসার দূরত্ব একেবারেই কম। তো সেখানে নাকি খেজুরের একেবারে খাঁটি রস পাওয়া যায়। তো আমাদেরকে বলেছিল সন্ধ্যার পর সেখানে যেতে। তাহলে তৃপ্তি সহকারে খেজুরের কাঁচা রস খেতে পারবো। আমরা ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যার পর হোটেলে ফিরে, তারপর চলে গেলাম খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার জন্য। যদিও আমাদেরকে প্রথমে বলেছিল ভোরবেলা খেজুরের কাঁচা রস খেতে যাওয়ার জন্য।
কিন্তু আমরা যেহেতু রাতের বেলা কুয়াকাটা থেকে রওনা দিবো বাসার উদ্দেশ্যে,তাই আমরা সন্ধ্যার পরেই সেখানে চলে গিয়েছিলাম খেজুরের কাঁচা রস খেতে। যাইহোক কুয়াকাটা থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর দেখলাম যে আমাদের বড় ভাইয়ের আত্মীয়, এক লোকের মাধ্যমে খেজুর গাছ থেকে খেজুরের কাঁচা রসের হাঁড়ি নামাচ্ছে। আমাদের হাতে সময় কম ছিলো বলে,আমরা সেই আত্মীয়ের বাসায় প্রবেশ না করে,বরং সেখানকার এক মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে খেজুরের কাঁচা রস খেয়েছিলাম। খেজুরের কাঁচা রস মুখে দিয়েই মনটা একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিলো যে এর চেয়ে স্বাদের কিছু আর হতে পারে না। আসলে নির্ভেজাল খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার মজাই আলাদা। আমাদের এখানে ছোটবেলা এমন নির্ভেজাল খেজুরের রস পাওয়া যেতো।
আমি তো ৩ গ্লাস খেজুরের কাঁচা রস সাথে সাথে খেয়ে ফেললাম। পেটে জায়গা থাকলে আরও খেতে পারতাম হা হা হা। যাইহোক সবাই মিলে বেশ তৃপ্তি সহকারে খেজুরের কাঁচা রস খেয়েছিলাম সেদিন। খেজুরের কাঁচা রস খেতে খেতে ফটোগ্রাফি করার কথাও মনে ছিলো না। পরবর্তীতে ২/৩ টা ফটোগ্রাফি করেছিলাম আর কি। যাইহোক খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে,আমরা ১২টা ডাব নিয়ে হোটেলে ফিরে এসেছিলাম। ১২টা ডাবের মধ্যে আমাকে ৭টা ডাব দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু আমি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম,তাই ডাব সহ সবকিছু বাসায় আনতে কোনো ঝামেলা হয়নি। যাইহোক খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে ভীষণ ভালো লেগেছিল সেদিন। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৬.১.২০২৫ |
লোকেশন | কুয়াকাটা,বরিশাল,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খেজুরের রস পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। এ রস জ্বাল দিয়ে পান করতে আমারও ভালো লাগেনা। জ্বাল দেওয়ার পর আসল স্বাদ যেন মরে যায়। কিন্তু বাইরে থেকে খেজুরের রস কিনে খাওয়াটা আমি একেবারে পছন্দ করি না। কারণ কতটা নোংরা থাকে সেটা তো বোঝা যায় না। তাই একদম গাছ থেকে দেখে পেড়ে খেতে পারলে সেটা ভালো লাগে।