জেনারেল রাইটিং পোস্ট || শবে বরাতের শৈশব স্মৃতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আমরা সবাই জানি গতকালকে শবে বরাত ছিলো। তো যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি শবে বরাতে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করার পাশাপাশি, বাড়তি আমল করার জন্য। গতকালকে শবে বরাতের শৈশব স্মৃতি বারবার মনে পড়ছিলো। তাই কালকেই ভেবে রেখেছিলাম, সেই স্মৃতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যাইহোক এই পোস্টের মাধ্যমে মূলত শবে বরাতের শৈশব স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। শৈশবে শবে বরাতের সময় অনেক মজা করতাম। আসলে তখন তো শবে বরাতের মর্মতা ততোটা বুঝতাম না।
তাই মূলত আগে থেকেই প্ল্যানিং করতাম শবে বরাতে কিভাবে মজা করা যায়। আগে থেকেই তারাবাতি সহ বিভিন্ন ধরনের বাজি কিনতাম সন্ধ্যার পর ফুটানোর জন্য। তারপর দুপুর বেলা ২/৩ ঘন্টা ঘুমিয়ে নিতাম। যাইহোক সন্ধ্যার পর গোসল করে মজার মজার খাবার খেয়ে,রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হতাম সারারাতের জন্য। একেবারে ফজর নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরতাম। তো আমরা সবাই একটা জায়গায় জড়ো হতাম। তারপর চলে যেতাম খোলা মাঠের দিকে। অর্থাৎ শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে খোলা মাঠ ছিলো তখন। সেই মাঠে আমরা ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলতাম। তো সন্ধ্যার পর সেখানে একেবারে অন্ধকার থাকতো। আর আমরা সেই সুযোগটা নিতাম। কারণ সেখানে গিয়ে মনমতো তারাবাতি সহ বিভিন্ন ধরনের বাজি ফুটাতে পারতাম। তারাবাতি ফুটাতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগতো।
আমরা সবাই মিলে মোটামুটি দেড় দুই ঘন্টা বাজি ফুটিয়ে মজা করার পর,মসজিদে চলে যেতাম নামাজ পড়ার জন্য। নামাজ পড়ে মসজিদে জিকির করতাম সবাই মিলে। তারপর মোনাজাত শেষ হওয়ার পর,তোবারক হিসেবে আমিত্তি মিষ্টি নিয়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতাম। তারপর বাহিরে দাঁড়িয়ে সবাই বেশ মজা করে আমিত্তি মিষ্টি খেতাম। তখন আমিত্তি মিষ্টি খেতে সত্যিই খুব ভালো লাগতো। তাছাড়া সবাই মিলে একসাথে যেকোনো কিছু খেতে আরও বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আমরা তারপর হেঁটে হেঁটে বিভিন্ন জায়গার মসজিদে চলে যেতাম এবং প্রতিটি মসজিদে ঢুকে ৪ রাকাআত করে নামাজ আদায় করতাম। তারপর মসজিদ থেকে বের হয়ে একটু আড্ডা দিয়ে, আবারও অন্য মসজিদের দিকে যাওয়া শুরু করতাম। তারপর কবরস্থানে যেতাম কবর জিয়ারত করতে। কারণ শবে বরাতে তো কবরস্থান গুলো খুব সুন্দর ভাবে লাইটিং করা থাকে।
তারপর বিভিন্ন এলাকার মসজিদে ঢুকে নফল নামাজ আদায় করতাম এবং আমাদের টার্গেট থাকতো সারারাতে মিনিমাম ৫০ রাকাআত নফল নামাজ আদায় করার। ইচ্ছে করলে আরও বেশি পড়তে পারতাম। কিন্তু ফাঁকে ফাঁকে তো আড্ডা দিতাম হা হা হা। সত্যি বলতে তখন শবে বরাতে ভীষণ মজা হতো। আমার মনে হয় ঈদের সময়ও এতো আনন্দ হতো না। তো বিভিন্ন জায়গার মসজিদে নামাজ আদায় করে, ফজরের আযান হওয়ার আগেই নিজেদের এলাকায় ফিরে আসতাম। তারপর ফজর নামাজ আদায় করে যার যার মতো বাসায় চলে যেতাম। আর বাসায় গিয়ে তো বলতাম সারারাত নামাজ পড়েছি। কিন্তু আমরা যে নামাজ পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি দিয়েছি,সেটা তো বাসায় জানতো না হা হা হা। যাইহোক শবে বরাতের শৈশব স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৫.২.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
ছোটবেলার স্মৃতিগুলো সব সময় মধুর হয়ে থাকে,বিশেষ করে আনন্দ উৎসবের দিনগুলোতে।ছোটবেলায় ঈদ বলেন শবে বরাত বলেন যেকোনো আনন্দ অনুষ্ঠান গুলোই হোক না কেনো সবার জন্য অনেক মজার,যেমন আমাদের ছোটবেলার পুজোর দিনগুলো অনেক মধুর ছিলো এখন আর সে রকম মজা পাইনা।আপনার ছোটবেলার শবে বরাতের মজার স্মৃতিগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।এই স্মৃতিগুলোই সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।শৈশবের স্মৃতিগুলো সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোটবেলার এই স্মৃতি গুলো সত্যিই মনে থাকবে সারাজীবন। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে আপনার শবে বরাতের এই শৈশবের স্মৃতি পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।এটা ঠিক যে যখন ছোট ছিলাম তখন শবে বরাতের দিনে অনেক বাজি ফুটাতাম।যাই হোক আপনাদের টার্গেট ছিল মসজিদে গিয়ে ৫০ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা এটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি স্মৃতিময় পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সেই দিনগুলো সত্যিই খুব মিস করি। ছোটবেলায় শবে বরাতে বেশ মজা করতাম। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।