ভ্রমণ পোস্ট || পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ (ত্রয়োদশ ও শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। কয়েকদিন আগে শ্রীমঙ্গল ট্যুরের দ্বাদশ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে ত্রয়োদশ ও শেষ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা সাপের খাঁচার সামনে বেশ কিছুক্ষণ থেকে,হরিণের খাঁচার সামনে চলে গেলাম। খাঁচার ভিতরে বেশ কয়েকটি হরিণ ছিলো। সেগুলো খুব সম্ভবত বুনো হরিণ। এই ধরনের হরিণ গুলো সচরাচর চিড়িয়াখানায় কম দেখা যায়। তবে এই হরিণ গুলো দেখতে কিন্তু আসলেই দারুণ লাগে। তারপর আমরা চলে গেলাম কচ্ছপ দেখতে। সত্যি বলতে সেদিন দীর্ঘদিন পর কচ্ছপ দেখতে পেয়েছিলাম।
কচ্ছপের খাঁচার মধ্যে ছোট ছোট বেশ কিছু গাছ ছিলো। কারণ কচ্ছপ তো এসব খেয়েই বেঁচে থাকে। মূলত সেখানে দুটি কচ্ছপ ছিলো। তাছাড়া ছোট ছোট গাছ গুলোর জন্য কচ্ছপের খাঁচার সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে চিড়িয়াখানায় গেলে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু, পশুপাখি দেখা যায়। সেজন্য চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি করতেও খুব ভালো লাগে। যাইহোক কচ্ছপ দেখার পর আমরা চলে গিয়েছিলাম বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখতে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের রং বেরঙের পাখি ছিলো। যদিও বেশিরভাগ পাখির নাম আমার অজানা। তবে সেখানে কবুতর এবং বক ছিলো। খাঁচার মধ্যে একসাথে অনেক গুলো বক ছিলো বলে,দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো।
বক পাখির মাংস খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। অনেকদিন আগে বক পাখির মাংস খেয়েছিলাম। তাছাড়া সেখানকার কবুতর গুলোও খুব সুন্দর ছিলো। একটি খাঁচার মধ্যে হাঁসের মতো এক ধরনের প্রাণী ছিলো বেশ কয়েকটি। এরপর একটু সামনে যেতেই লক্ষ্য করলাম, একটি খাঁচার মধ্যে বড় সাইজের একটি ময়ূর রয়েছে। ময়ূর দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে ময়ূর যখন পেখম তুলে নাচে,তখন কিন্তু দেখতে জাস্ট অসাধারণ লাগে। তাছাড়া ময়ূর কিন্তু ভারতের জাতীয় পাখি। যাইহোক এরপর একটি খাঁচায় দেখলাম যে, একটি বড় সাইজের কাঠবিড়ালি শুয়ে আছে। যদিও আমি নিশ্চিত না সেটা কাঠবিড়ালি কিনা। তবে দেখে কাঠবিড়ালি মনে হয়েছে।
এরপর খাঁচার মধ্যে দেখলাম যে কুকুর এবং বিড়ালও রয়েছে। যাইহোক সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায় মোটামুটি বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলাম। তারপর আমরা তিনজন চিড়িয়াখানা থেকে বের হয়ে গেলাম। কারণ তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ হেঁটে গাড়িতে উঠলাম। তারপর একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে খাওয়া দাওয়া করলাম। কারণ হাঁটাহাঁটি করে প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল তখন। খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছু কেনাকাটা করে, বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। রাস্তা ফাঁকা ছিলো বলে ৩.৩০ ঘন্টার মধ্যেই বাসায় পৌঁছাতে পেরেছিলাম। পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গল ট্যুর বেশ উপভোগ করেছিলাম। সবমিলিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম আমরা।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৯.৩.২০২৫ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1905760065417826725?t=WMn8EViZboEyC-Z3M7F4RQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1905876542854467588?t=_H11RyB-IdVaEUkUThVkDg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
আপনার পরিবারকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব দেখে আসছি৷ আজকের এই শেষ পর্ব দেখে খুব ভালো লাগছে৷ এখানে আপনি শেষ পর্বের মধ্যে সবকিছু খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ এখানে সবগুলো ফটোগ্রাফি আপনি সবসময় খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করে আসছেন৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। পরবর্তীতে নতুন কোন ভ্রমণের পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷