প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। বেশ কিছুদিন আগে ওয়াইফকে নিয়ে পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করেছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। মূলত আমরা সেদিন বাসা থেকে বের হয়েছিলাম এলিফ্যান্ট রোড যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কারণ আমার ওয়াইফ এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমল থেকেই বেশিরভাগ সময় শপিং করে থাকে। তো ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে, আমরা দুপুর ২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু বাসা থেকে লাঞ্চ না করেই বের হয়েছিলাম। কারণ আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভুনা খিচুড়ি খাবো। পিঠাঘর রেস্টুরেন্টের ভুনা খিচুড়ি আমাদের দু'জনেরই খুব পছন্দ। যদিও সেই রেস্টুরেন্টের ভুনা খিচুড়ির স্বাদ আর আগের মতো নেই।

কোলাজ মেকার অ্যাপ দিয়ে কোলাজ করা হয়েছে

তাছাড়া আগে ভুনা খিচুড়ির সাথে বেশ মজাদার এক ধরনের আচার দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আর সেই আচার তারা তৈরি করে না। যাইহোক যেহেতু আমার বাসা থেকে গুলিস্তান যেতে ২৫/৩০ মিনিট সময় লাগে, তাই অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা গুলিস্তান পৌঁছে গিয়েছিলাম। তারপর পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে ঢুকে,উপরের তলায় চলে গেলাম। কারণ উপরের তলায় এসি রয়েছে, কিন্তু নিচ তলায় এসি নেই। আর তীব্র গরমে রেস্টুরেন্টের মধ্যে এসি না থাকলে,তৃপ্তি সহকারে খাবার খাওয়া যায় না। উপর তলায় উঠে,আমাদের দু'জনের জন্য খাবার অর্ডার দিলাম। আমার জন্য মাটন খিচুড়ি এবং আমার ওয়াইফ এর জন্য চিকেন খিচুড়ি অর্ডার দিলাম। কারণ সে মাটন খেতে পছন্দ করে না। খাবার অর্ডার দিয়ে আমরা দু'জন গল্প করতে লাগলাম। ১০/১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর,আমাদের টেবিলে খাবার দিয়ে গেলো ওয়েটার।

তারপর দু'জনের জন্য দুই গ্লাস বোরহানি অর্ডার দিলাম। তাছাড়া মাংসের ঝোল দিতে বললাম। কারণ ভুনা খিচুড়ির সাথে মাংসের ঝোল না হলে,খেতে ততোটা ভালো লাগে না। যেহেতু দু'জনেই বেশ ক্ষুধার্ত ছিলাম, তাই অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেললাম। তবে বোরহানির স্বাদ তেমন ভালো লাগেনি সেদিন। কিন্তু মাটন খিচুড়ির স্বাদ ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। তারপর বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। ৫% ভ্যাট সহ সবমিলিয়ে বিল এসেছিল ৬০০ টাকার মতো। যাইহোক তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়ে, আমরা রিকশা নিয়ে এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলে চলে গিয়েছিলাম। তারপর শপিং শেষ করে, সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরেছিলাম। সবমিলিয়ে সেদিন দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। আর এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।