প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত পরশুদিন রাতে আমরা ৫ জন মি. বাফেটে ডিনার করতে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। ব্যুফে লাঞ্চ কিংবা ডিনার করতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। তবে একা একা বাফেট রেস্টুরেন্টে যেতে ভালো লাগে না। কারণ বাফেট রেস্টুরেন্টে গিয়ে আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি, সময় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার আইটেম টেস্ট করতে হয়। তাই একসাথে কয়েকজন গেলে,দারুণ সময় কাটানো যায়। সেজন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও, সবসময় বাফেট রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় না।

কারণ বাফেট রেস্টুরেন্টে গেলে,হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে যেতে হয়। তাই ব্যস্ততার কারণে সেটা সবসময় সম্ভব হয় না। যাইহোক আমরা চারজন ভাই ব্রাদার গত পরশুদিন বিকেলে সিদ্ধান্ত নিলাম, রাতের বেলা ব্যুফে ডিনার করবো। তো আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম মাগরিব নামাজ আদায় করার পরপরই, মি. বাফেটে প্রবেশ করবো। কারণ বাফেট ডিনার টাইম হচ্ছে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে বাসা থেকে বের হয়ে আমরা চাষাড়া চলে গেলাম। তারপর সেখানে মাগরিবের নামাজ আদায় করে, মি. বাফেটে প্রবেশ করেছিলাম। আমাদের সাথে এক ফ্রেন্ডের শ্যালক জয়েন করেছিল। তো আমরা পাঁচজন একটা টেবিল সিলেক্ট করে বসে পড়লাম। আমরা সন্ধ্যা ৭.৩০ টার দিকে প্রবেশ করেছিলাম এবং প্ল্যান ছিলো রাত ৯টা পর্যন্ত সেখানে থাকবো।

মি. বাফেটে প্রায় সবসময়ই ভিড় হয়ে থাকে। সেদিনও দেখলাম একই অবস্থা। যাইহোক প্রথমে কিছু স্টার্টার আইটেম নেওয়ার চেষ্টা করলাম। যেমন চিকেন কর্ণ স্যুপ,অনথন,চিকেন মোমো। তাছাড়া সাথে বটি কাবাব,চিকেন ফ্রাই,ফিশ ফ্রাই এবং সালাদ নিয়েছিলাম। যে যার মতো করে খাবার নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। তাছাড়া পাশাপাশি আড্ডা দিতে লাগলাম। আমি ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম। বটি কাবাবের স্বাদ ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। ব্যুফে আইটেম ছিলো মোট ১০০টি। যাইহোক তারপর আমি মেইন ডিশ নেওয়ার চেষ্টা করলাম। যেমন মাটন কাচ্চি,চিকেন কাটলেট,হান্ডি মাংস,বুটের ডাল এবং সালাদ। মাটন কাচ্চির স্বাদ দারুণ ছিলো। মেইন ডিশ খাওয়ার পর,রেস্টুরেন্টের ভিতরে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম।

তারপর পিজ্জা,চিকেন কাটলেট এবং ম্যাংগো জুস পান করলাম। তখন প্রায় ৯টা বেজে যাচ্ছিলো। তারপর আমরা ভাবলাম ডেজার্ট আইটেম ট্রাই করে,৯টার দিকে বের হয়ে যাবো। পরবর্তীতে আমি ৩ ধরনের পুডিং নিলাম এবং জর্দা ও কেক নিলাম। তো খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা ৯টার দিকে বের হয়ে গেলাম। যদিও ১০টা পর্যন্ত সময় ছিলো খাওয়ার। কিন্তু কারো পেটেই তখন খালি জায়গা ছিলো না হা হা হা। ইচ্ছে ছিলো ফুচকা ট্রাই করবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফুচকা ট্রাই করিনি। তো ৮৯০ টাকা করে ৫ জনের বিল এসেছিল ৪,৪৫০ টাকা। সবমিলিয়ে খাবারের স্বাদ মোটামুটি ভালো ছিলো। কিন্তু পিজ্জার স্বাদ একেবারে বাজে ছিলো। তবে সবমিলিয়ে আমরা সবাই দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।