প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত সপ্তাহে আমি এবং আমার এক ফ্রেন্ড সকাল সকাল ৫ নং ঘাট গিয়েছিলাম বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনতে। তো মাছ কেনার পর, আমরা দু'জন ঐতিহ্যবাহী মাউরা হোটেলে সকালের নাস্তা করেছিলাম। আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রচন্ড ব্যস্ততার কারণে ৫ নং ঘাট যেতে পারিনি মাছ কেনার জন্য। তাই কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম সেখানে মাছ কিনতে যাবো। তবে সেখানে মাছ কিনতে গেলে,সকাল সকাল যেতে হয়।

কোলাজ ম্যাকার অ্যাপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে

কারণ সেখানে মূলত রাস্তার মধ্যেই মাছ বিক্রি করা হয় এবং সকাল ১০ টার পর মাছ তেমন পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে সকাল সকাল সেখানে যেতে পারলে,একেবারে তাজা মাছ কেনা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এতো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে, সেখানে যেতে আমার ভালো লাগে না। কিন্তু বাসার মোটামুটি সবাই সেখানকার মাছ খুব পছন্দ করে। যাইহোক সেদিন বাসা থেকে বলে দিয়েছিল শোল,টাকি,শিং এবং এই জাতীয় মাছ কেনার জন্য। কারণ আমার ওয়াইফের কিছুদিন আগে ডেলিভারি হয়েছে এবং এখন এই ধরনের মাছ খাওয়া খুবই জরুরী। তো বাসা থেকে বের হয়ে, আমার এক ফ্রেন্ডকে ফোন দিয়ে বললাম তাড়াতাড়ি রেডি হতে।

তারপর আমরা দু'জন প্রথমে মাছ কিনতে ৫ নং ঘাট চলে গেলাম এবং প্ল্যান করলাম মাছ কেনা শেষ হলে,দুই বন্ধু মাউরা হোটেলে নাস্তা করে বাসায় ফিরবো। তো প্রথমে আমি শোল মাছ কিনলাম ১.৫ কেজির মতো। তারপর টাকি মাছ কিনলাম ১ কেজি। এরপর শিং মাছ চাষের গুলো ছিলো বলে,শেষ পর্যন্ত শিং মাছ কেনা হয়নি আমার। কারণ চাষের শিং মাছ বাসার কেউ খেতে চায় না। যাইহোক তারপর ১ কেজি তাজা লাল চেউয়া মাছ কিনলাম। এরপর ১.৫ কেজি রুপচাঁদা মাছ কেনার পর, দেখলাম যে আর তেমন ভালো মাছ নেই। কারণ আমরা সেদিন মোটামুটি দেরী করেই সেখানে গিয়েছিলাম। মাছ কেনার পর দুই বন্ধু রিকশা নিয়ে মাউরা হোটেলে চলে গেলাম। তারপর আমরা খাবার অর্ডার দিলাম।

আমার জন্য পরোটা,চিকেন স্যুপ এবং ডিম ওমলেট অর্ডার দিলাম। আর আমার বন্ধুর জন্য পরোটা, খাসির মাংস ভুনা,ডিম ওমলেট এবং ডাল ভাজি অর্ডার দিলাম। অল্প সময়ের মধ্যেই খাবার এসে পড়েছিল আমাদের টেবিলে। যেহেতু দু'জনেই বেশ ক্ষুধার্ত ছিলাম, তাই অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেলেছিলাম। সকালের নাস্তায় চিকেন স্যুপ আমার খুব পছন্দ। মাউরা হোটেলের খাবারের স্বাদ এককথায় দুর্দান্ত। আমরা দু'জন বেশ তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়ে, মাছ গুলো নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই বাসায় চলে গিয়েছিলাম। ৫ নং ঘাট থেকে মাছ কিনে, মাউরা হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে দারুণ অনুভূতি হয়েছিল আমাদের। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।