আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে তোমাকে চাই। এই নাটকটি ২/৩ দিন আগে রিলিজ হয়েছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ইরফান সাজ্জাদ এবং কেয়া পায়েল। এই নাটকটি মূলত একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝেমধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, নাটকের নায়ক ইরফান সাজ্জাদ তার গার্লফ্রেন্ডের জন্য পাহাড়ের উপর থাকা একটি বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করছে এবং একই বেঞ্চে কেয়া পায়েলও বসে আছে। তো তারা দু'জন কথায় কথায় বলতে লাগলো,ইরফান সাজ্জাদের গার্লফ্রেন্ড তাকে খুবই চাপে রাখে এবং কেয়া পায়েলের বয়ফ্রেন্ডও তাকে খুব চাপে রাখে। তো সেজন্য কেয়া পায়েল তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকআপ করেছে। হঠাৎ করে সেখানে ইরফান সাজ্জাদের গার্লফ্রেন্ড চলে আসে এবং কেয়া পায়েল ও ইরফান সাজ্জাদকে একসাথে দেখে সন্দেহ করে। তো সেজন্য ইরফান সাজ্জাদের গার্লফ্রেন্ড ব্রেকআপ করে চলে যায়। পরবর্তীতে ইরফান খুব পছন্দ করে ফেলে কেয়া পায়েলকে। ইরফান হচ্ছে মূলত একজন মডেল এবং ফটোশুট করার জন্য ঢাকা থেকে সে সিলেটে এসেছে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

ডিরেক্টর ইরফানের সাথে ফটোশুট করানোর জন্য নতুন একটি মেয়ে খুঁজে এবং পরবর্তীতে কেয়া পায়েলকে খুঁজে বের করে। কেয়া পায়েল ও ইরফান ফটোশুট করে এবং তারা ধীরে ধীরে একে অপরকে ভীষণ পছন্দ করতে শুরু করে। ইরফান যখন কেয়া পায়েলকে প্রপোজ করে, তখন কেয়া পায়েল বলে সে পরে জানাবে। ইরফান সিলেটে আসার পর তার বন্ধুর সাথে দেখা করেনি। ইরফানের সেই বন্ধু ঢাকায় ছিলো এবং তারা দু'জন ইউনিভার্সিটিতে একসাথে পড়াশোনা করেছে। তাছাড়া তারা দু'জন খুবই ভালো বন্ধু। তো কথায় কথায় ফোনের মাধ্যমে ইরফান তার বন্ধুকে বলে, সে একটি মেয়েকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু সেই মেয়েকে সে খুঁজে পাচ্ছে না। ইরফানের বন্ধু ইরফানকে বলে তাদের বাসায় বেড়াতে যেতে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তারপর তার বন্ধু সেই মেয়েকে খুঁজে দিবে। তো ইরফান যখন তার বন্ধুর বাসায় যায়, তখন সেই বাসায় গিয়ে কেয়া পায়েলকে দেখতে পায়। অর্থাৎ কেয়া পায়েল হচ্ছে তার বন্ধুর আপন ছোট বোন। ইরফান যখন এটা জানে,তখন সে খুব কষ্ট পায়। কারণ তার বন্ধুর সাথে সে বেঈমানী করতে পারবে না। তাই কেয়া পায়েলকে খুব ভালোভাবে সবকিছু বুঝিয়ে বলে ইরফান। কিন্তু কেয়া পায়েল কিছুই শুনতে চায় না। কারণ কেয়া পায়েল ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছে ইরফানকে। কেয়া পায়েল এবং ইরফান খুবই কষ্ট পেতে থাকে। এক পর্যায়ে ইরফান ভাবে,কেয়া পায়েলকে কিছু না বলেই বাসা থেকে চলে যাবে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আমি মনে করি বন্ধুর ছোট বোনকে ভালোবাসা দোষের কিছু না। কারণ ভালোবাসা কখন কার সাথে হয়ে যায়, সেটা টের পাওয়া যায় না। তাছাড়া এই নাটকে তো ইরফান সাজ্জাদ এবং কেয়া পায়েল আগে জানতো না এই ব্যাপারটা। তারা দু'জন যখন একে অপরকে খুব ভালোবেসে ফেলে,তখন তারা এই ব্যাপারটা জানতে পারে। আসলে বাস্তবেও কিন্তু মাঝেমধ্যে এই ধরনের কথা শোনা যায়। তবে আমি মনে করি বন্ধু যদি যোগ্য হয়,তাহলে বন্ধুর হাতে যেকোনো ছেলে তার বোনকে তুলে দিতে পারে। কারণ ভালোবাসা হচ্ছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে। তাছাড়া বন্ধুর বোনকে তো কারো না কারো সাথে বিয়ে দিতেই হবে। যাইহোক নাটকের কাহিনীটা মোটামুটি ভালো লেগেছে। তাছাড়া কেয়া পায়েলের অভিনয় সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে নাটকটি মোটামুটি ভালোই উপভোগ করেছি।

আমার রেটিং