রেসিপি পোস্ট || 🍲শিমের বিচি এবং টমেটো দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি🍲
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝেমধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক কিছুদিন আগে ২ কেজি সাইজের একটি রুই মাছ কিনে এনেছিলাম। রুই মাছটা খেতে দারুণ লেগেছিল। তাই ভাবলাম শিমের বিচি এবং টমেটো দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করা যাক। শিমের বিচি বড় মাছের সাথে রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। এখন বাজারে শিমের বিচি বেশ ভালোই পাওয়া যাচ্ছে। যাইহোক সাথে ধনিয়া পাতা দিয়েছিলাম বলে, রেসিপির স্বাদ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে রেসিপিটা খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল। তাছাড়া রেসিপির কালারটাও খুব সুন্দর এসেছিল। যাইহোক আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
শিমের বিচি এবং টমেটো দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
রুই মাছের টুকরা | ৪টা |
শিমের বিচি | ৫০০ গ্রাম |
টমেটো | ১টা |
পেঁয়াজ | ৩/৪টা |
কাঁচামরিচ | ৫/৬টা |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
জিরা পেস্ট | পরিমাণ মতো |
রসুন কুঁচি | পরিমাণ মতো |
আদা রসুন পেস্ট | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রধান উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরূপ :
🍲প্রথম ধাপ🍲
প্রথমে হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে মেখে রাখা রুই মাছের টুকরা গুলো সয়াবিন তেল দিয়ে ভেজে নিচ্ছি। ভাজা হয়ে গেলে আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখবো।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
তারপর পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। তেল একটু গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম। পেঁয়াজ হালকা বাদামি কালার হওয়ার পর পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া,আদা রসুন পেস্ট এবং লবণ দিয়ে দিলাম।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
মসলা গুলো ভালোভাবে কষিয়ে শিমের বিচি দিয়ে দিলাম। এরপর একটু নেড়ে নিলাম।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
এই পর্যায়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো পানিতে বলক আসা পর্যন্ত।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
একটু পর ঢাকনা খুলে দেখলাম পানিতে হালকা বলক চলে এসেছে। তারপর ভেজে রাখা রুই মাছের টুকরা গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট ঢেকে রাখবো।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলাম পানিতে বলক চলে এসেছে। তারপর কেটে রাখা টমেটো এবং কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো।
🍲সপ্তম ধাপ🍲
এরপর রসুন কুঁচি এবং জিরা পেস্ট বাগার দিয়ে নিচ্ছি।
🍲অষ্টম ধাপ🍲
তারপর ঢাকনা খুলে বাগার দেওয়া রসুন এবং জিরা পেস্ট দিয়ে দিলাম। এরপর হালকা নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট ঢেকে দিবো।
🍲নবম ধাপ🍲
২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে কেটে রাখা ধনিয়া পাতা দিয়ে,চুলা বন্ধ করে দিলাম। ব্যাস এভাবেই রেসিপিটা তৈরি করে ফেললাম।
🍲পরিবেশন🍲
তারপর একটি বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করলাম। রেসিপিটা খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ২৮.১.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
টমেটো ও শিমের বিচি দিয়ে রুই মাছের চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এরকম রেসিপি খেতে অসাধারণ সুস্বাদু লাগে। আপনার এই রেসিপি তৈরিতে প্রথমেই রুই মাছের টুকরোগুলো ভেজে নেওয়াটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। একই সাথে আপনার এই রেসিপি তৈরিতে ধনিয়া পাতার ব্যবহারটাও দারুন ছিল। অত্যন্ত সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রুই মাছ ভালোভাবে ভেজে নিলে খেতে দারুণ লাগে। রেসিপিটা দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ আপনি অনেক মজার ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। শীতের টমেটো সিমের বিচি দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে অনেক মজা লাগে। আমরাও বাসায় এভাবে রান্না করে খাই। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় মনে হচ্ছে। রেসিপির কালারটাও সেরকম এসেছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছিল।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে শিমের বিচি এবং টমেটো দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে দারুন হয়েছে।
হ্যাঁ ভাই রেসিপিটা বেশ মজাদার হয়েছিল। রেসিপিটা দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এত বড় রুই মাছ খেতে তো দারুণ হবেই। শিমের বিচি আর টমেটো দিয়ে চমৎকার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন ভাই দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। গরম গরম ভাতের সাথে এমন রেসিপি খাইতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই,বড় সাইজের রুই মাছ খেতে দারুণ লাগে। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
শিমের বিচি এবং টমেটো দিয়ে রুই মাছের ঝোল একটি অসাধারণ রেসিপি যা স্বাদে এবং পুষ্টিতে ভরপুর। শিমের বিচি ও টমেটো একসাথে মিশে মাছের ঝোলকে নতুন আভা ও স্বাদ দেয়। আর রুই মাছের মিষ্টি রসালো স্বাদ পুরো খাবারকে আরও জম্পেশ করে তোলে। আপনার প্রতিটি উপকরণের সঠিক মিশ্রণ এবং রান্নার প্রক্রিয়া থেকে বোঝা যাচ্ছে। আপনি একদম নিখুঁতভাবে সবকিছু উপস্থাপনা করেছেন। লোভনীয় রেসিপি দেখেই জিভে পানি চলে এসেছে।😋
শিমের বিচি এবং টমেটোর কম্বিনেশনটা দারুণ। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাই শিমের বিচি এবং টমেটো দিয়ে রুই মাছের সমন্বয় ঘটলে আসলে অনেক সুস্বাদু রেসিপি হয়। রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেল। আশা করছি খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ ভাই রেসিপিটা দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে, খেতেও খুব সুস্বাদু লেগেছিল। এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
রুই মাছের রেসিপির নাম শুনলেই জিহ্বায় জল চলে আসে। সিমের বিচি আর টমেটোর সমন্বয়ে মজাদার রুই মাছের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন অনেক লোভনীয় লাগছে ভাই। বিশেষ করে পরিবেশন করা রেসিপির ছবি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।
রুই মাছ খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে। তাই রুই মাছ প্রায়ই খাওয়া হয় আমাদের বাসায়। যাইহোক আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শিমের বিচি বড় মাছ কিংবা বড় মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে আসলেই বেশ ভালো লাগে খেতে। এটা খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আর খেতেও সুস্বাদু। আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। রেসিপি কালারটা আসলেই খুব সুন্দর এসেছে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুস্বাদু এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,রেসিপির কালারটা সত্যিই দারুণ এসেছে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।