নাটক রিভিউ || সর্বস্ব বাজি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে সর্বস্ব বাজি। এই নাটকটি সপ্তাহ খানেক আগে রিলিজ হয়েছে। অল্প কয়েকদিনে এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহান আহমেদ জোভান এবং তানজিম সাইয়ারা তটিনী। এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | সর্বস্ব বাজি |
---|---|
রচনা | জোবায়েদ আহসান |
পরিচালনা | মাহমুদুর রহমান হিমি |
অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান, তানজিম সাইয়ারা তটিনী,মিলি বাশার,ফারুক আহমেদ এবং আরও অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ৭ই নভেম্বর ২০২৪ |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের নায়ক জোভান তার বোনের বাসায় অর্থাৎ তার দুলাভাই এর বাসায় থেকে চাকরি করে। অপরদিকে নাটকের নায়িকা তটিনী তার মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। যদিও তটিনী এবং তার বাবা চেয়েছিল তটিনীকে হোস্টেলে রেখে পড়াশোনা করাতে, কিন্তু তটিনীর মামা মামীর ইচ্ছাতেই তটিনী সায় থেকে পড়াশোনা করে। এদিকে তটিনীর মামী হচ্ছে জোভানের খালা। তটিনীর মামা জোভানকে বলে যে ফেসবুক কিভাবে ইউজ করবে,সেটা শিখিয়ে দিতে। এদিকে তটিনীর মামী তটিনীকে বলে যে ফেসবুক কিভাবে ইউজ করবে সেটা শিখিয়ে দিতে। তো জোভান প্রতিদিন সন্ধ্যার পর তার খালার বাসায় গিয়ে, তার খালুকে ফেসবুক ইউজ করা শেখায়। তো সেই সূত্রে প্রতিদিন জোভানের সাথে তটিনীর দেখা হয়। এভাবেই একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
তটিনী ইলিশ মাছ পছন্দ করে না বলে,জোভান তটিনীর সাথে বাজি ধরে,তাকে যেভাবেই হোক মাওয়া নিয়ে গিয়ে ইলিশ মাছ খাওয়াবে। কিন্তু তটিনী বলে যে সে কিছুতেই মাওয়া যাবে না। তারপর জোভানকে তার খালু বলে যে তার কিছু ছবি তুলতে, কারণ সে ছবিগুলো ফেসবুকে আপলোড দিবে। তখন জোভান বলে যে রুমের মধ্যে ছবি তুললে ভালো লাগবে না। তারপর জোভান বলে যে মাওয়া গিয়ে ছবি তুললে খুব ভালো হবে। তো জোভানের খালু সাথে সাথে রাজি হয়ে যায় মাওয়া যাওয়ার জন্য এবং সাথে সাথে জোভানের খালা, খালু এবং তটিনী রেডি হয়ে গেলো মাওয়া যাওয়ার জন্য। তটিনী মাওয়া গিয়েও ইলিশ মাছ খেতে চায় না। তার খালু বলার পরেই তটিনী ইলিশ মাছ খায়। যাইহোক তটিনী মাওয়া গিয়ে ইলিশ মাছ খায় এবং এতে করে জোভান বাজিতে জিতে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
যাইহোক এভাবেই তাদের গভীর সম্পর্কের সৃষ্টি হতে থাকে। জোভান হঠাৎ করে তার খালার বাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে করে তটিনী জোভানকে দেখতে পায় না এবং ভীষণ মিস করতে থাকে। জোভান আসলে ইচ্ছে করেই এমনটা করতো। যাতে করে তটিনী তাকে আরও বেশি ভালোবাসে এবং নিজে থেকে জোভানকে ভালোবাসার কথা বলে। যাইহোক কিছুদিন পরে জোভানের দুলাভাই একটা ছেলের সাথে তটিনীর বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এটা শুনে জোভান অনেক কষ্ট পায়। জোভানের মনে হয় যে, সে তটিনীকে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলবে। কিন্তু জোভান অল্প বেতনে চাকরি করে বলে তটিনীকে ভালোবাসার কথা বলতে পারে না। কিন্তু জোভান জানে যে,তটিনী জোভানকে খুব ভালোবাসে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকটি সবমিলিয়ে দারুণ লেগেছে আমার কাছে। কারণ রোমান্টিক নাটক বরাবরই আমার খুব পছন্দ। আসলে কাউকে ভালোবাসলে মুখ ফুটে বলতে হয়। কিন্তু জোভান তটিনীকে এতো ভালোবাসার পরেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেনি। কারণ সে ভাবতো, এতো অল্প বেতন পেয়ে তটিনীকে সে ভালো রাখতে পারবে না। তাছাড়া তটিনী তার ভালোবাসায় সাড়া দিবে কিনা,সেটা নিয়েও তার মনে দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছিলো। কিন্তু জোভান যেহেতু বুঝতে পারতো তটিনী তাকে ভালোবাসে,তাই এতকিছু না ভেবে তটিনীকে তার মনের কথা বলতে পারতো। কিন্তু জোভান সেটা না করে তটিনীর কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াতো। আসলে এমনটা করলে ভালোবাসার মানুষ অনেক সময় জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে। তাই সময় থাকতে ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে নেওয়ার জন্য সবারই মন থেকে চেষ্টা করা উচিত। যাইহোক জোভান এবং তটিনীর অভিনয় এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৫.১১.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
নাটক আমি অনেক পছন্দ করি ভাইয়া। তাইতো নাটকের বিষয়েও জাতীয় পোস্টগুলো আমার কাছে ভালো লাগে। নতুন একটা নাটক সম্পর্কে অনেকটা ধারণা পেলাম। কিছুটা দেখলাম পরবর্তীতে আর একটু দেখার চেষ্টা করব। অনেক সুন্দর একটা নাটক।
সত্যি বলতে এই নাটকটি খুবই সুন্দর। যাইহোক রিভিউ পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার মনে হলো নাটকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে ফারুক। সে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নাট্যকার। পুরাতন নাটকগুলোতে লক্ষ্য করে দেখেছি তার মুখের কথাগুলো দর্শকের প্রাণের খোরাক। যাইহোক অনেক সুন্দর ছিল এই নাটকটা আর রিভিউ করেছেন বেশ দারুণ।
ফারুক আহমেদ নিঃসন্দেহে দারুণ অভিনয় করেছে। উনার নাটক ছোটবেলা থেকেই দেখছি। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যে মুখ ফুটে তার ভালোবাসার মানুষকে তার মনের কথা বলতে না পারে, সে কখনও তার ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাবে না। জোভানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। রোমান্টিক নাটক গুলো দেখতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আপনি আজ খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। যদিও দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। জোভান আর তটিনীর অভিনয় খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
জোভান এই নাটকে শেষ পর্যন্ত তটিনীকে নিজের করে পেয়েছে। যাইহোক রিভিউ পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমি নাটক দেখতে অনেক পছন্দ করি। আবার নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। রিভিউর মাধ্যমে পুরো কাহিনীটা অনেক সুন্দর ভাবে জেনে নেওয়া যায়। সর্বস্ব বাজি এই নাটকের পুরো কাহিনীটা খুব ভালো ছিল। অনেক সুন্দর করে আপনি শেয়ার করেছেন এই নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী। আমি যদি সময় পাই তাহলে নাটকটা দেখে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো।
নাটকের রিভিউ পড়তে আমারও খুব ভালো লাগে। যাইহোক রিভিউ পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এরকম নাটকগুলো আমি আগে একটু বেশি দেখে থাকতাম। তবে এখন আর খুব একটা নাটক দেখা হয় না। আমি মুভি দেখতে একটু বেশি ভালোবাসি। আর তাই সময় পেলে মুভি বেশি দেখা হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে আবার নাটকও দেখার জন্য চেষ্টা করি। সুন্দর সুন্দর এবং শিক্ষনীয় নাটকগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনি যে নাটকের রিভিউ করেছেন, এটা যদিও দেখি নিই। তবে রিভিউটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
একসময় আমিও প্রচুর মুভি দেখতাম। কিন্তু এখন সময় পাই না মুভি দেখার। যাইহোক রিভিউ পড়ে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।