লাইফস্টাইল পোস্ট || ফ্রেন্ডের সাথে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ডিনার করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। ২/৩ মাস আগে আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক সেদিন সন্ধ্যা বেলা আমার ফ্রেন্ড আমাকে বললো যে, তার নিজের জন্য কিছু ফুল হাতা টি-শার্ট কেনা দরকার। তো সে তখনই বললো যাওয়ার জন্য। আমিও তখন কিছুটা ফ্রি ছিলাম বলে,তার কথায় একমত পোষণ করলাম। তো আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই চিটাগাং রোডে অবস্থিত কাসসাফ শপিং সেন্টারে চলে গিয়েছিলাম।
কোলাজ মেকার অ্যাপ দিয়ে কোলাজ করা হয়েছে
তারপর আমরা বেশ কয়েকটি দোকানে গিয়ে ফুল হাতা টি-শার্ট দেখা শুরু করলাম। কিন্তু আমরা বড় সাইজের অর্থাৎ ডাবল এক্সএল সাইজের ফুল হাতা টি-শার্ট খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আসলে আমার ফ্রেন্ডের উচ্চতা অনেক বেশি এবং স্বাস্থ্যও বেশ ভালো বলে,সে সবসময়ই বড় সাইজের জামা কাপড় পড়ে। তো আমরা আরও কিছু দোকানে ঘুরাঘুরি করে,বড় সাইজের হাতেগোনা কয়েকটি ফুল হাতা টি-শার্ট খুঁজে পেলাম ঠিকই, কিন্তু সেগুলো আবার পছন্দ হচ্ছিলো না আমাদের। তো শেষমেশ আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকা নিউমার্কেট কিংবা এলিফ্যান্ট রোডে গিয়ে টি-শার্ট কিনবো। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ মার্কেটে ঘুরাঘুরি করে,দু'জনেরই ক্ষুধা পেয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা ভাবলাম যে রেস্টুরেন্টে ঢুকে কিছু খাওয়া দরকার।
তো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের প্রিয় চাইনিজ রেস্টুরেন্ট অর্থাৎ চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্টে গিয়ে ডিনার করবো। যেহেতু কাসসাফ শপিং সেন্টারের পাশেই চায়না প্যালেস রেস্টুরেন্ট অবস্থিত,তাই আমরা সাথে সাথেই সেই রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। যেহেতু বেশ ভালোই ক্ষুধা পেয়েছিল আমাদের, তাই দুজনের জন্য সেট মেন্যু অর্ডার করলাম। তো সেই সেট মেন্যুর মধ্যে ছিলো ফ্রাইড রাইস,চিকেন ফ্রাই,চিকেন কারি, ভেজিটেবল এবং কোল্ড ড্রিংকস। খাবার অর্ডার দেওয়ার পর আমরা আড্ডা দিতে লাগলাম এবং ফাঁকে ফাঁকে আমি কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। যদিও ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়নি সেদিন। কারণ এর আগেও এই রেস্টুরেন্টের অনেক ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।
কারণ এই রেস্টুরেন্টে আমাদের প্রায়ই যাওয়া হয়। অল্প কিছুক্ষণ পর আমাদের টেবিলে খাবার চলে আসলো। তারপর আমরা খাওয়া শুরু করলাম। খাবারের স্বাদ বরাবরের মতো এককথায় দুর্দান্ত ছিলো। তো খাবার খেতে খেতে আমরা দু'জনেই সেই সেট মেন্যু অর্ডার করলাম বাসায় পার্সেল নেওয়ার জন্য। তো আমরা খাবার খেতে খেতে ওয়েটার আমাদের পার্সেল দিয়ে গেলো টেবিলে। তারপর আমরা বিল মিটিয়ে,ওয়েটারকে টিপস দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম। মোট বিল এসেছিল ১৪০০ টাকা। সেট মেন্যুর দাম ছিলো ৩৫০ টাকা করে। সবমিলিয়ে আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। আর এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৩.২.২০২৫ |
লোকেশন | চিটাগাং রোড,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.