রেসিপি পোস্ট || 🍲কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি🍲
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি মাঝেমধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। যাইহোক সপ্তাহ খানেক আগে বিভিন্ন ধরনের মাছ সহ দুটি ইলিশ মাছ কিনেছিলাম। তাই ভাবলাম ইলিশ মাছের একটি রেসিপি তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তো সেই ভাবনা থেকেই ইলিশ মাছ এবং কচুর মুখী দিয়ে মজাদার রেসিপি তৈরি করেছিলাম। ইলিশ মাছ ভাজি করে কিংবা কষিয়ে রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। তবে এবার ইলিশ মাছ ভেজে, এই রেসিপিটা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। ইলিশ মাছ এবং কচুর মুখীর কম্বিনেশনটা কিন্তু দারুণ। তাছাড়া সাথে একটি আলু দিয়েছিলাম বলে রেসিপির স্বাদ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। রেসিপিটা খেতে আসলেই খুব সুস্বাদু লেগেছিল। তাছাড়া রেসিপির কালারটাও দারুণ এসেছিল। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ইলিশ মাছ | ৬ টুকরা |
কচুর মুখী | ৬০০ গ্রাম |
আলু | ৩ টা |
পেঁয়াজ | ১ টা |
কাঁচামরিচ | ৬ টা |
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
আদা রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রধান উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালী নিম্নরূপ :
🍲প্রথম ধাপ🍲
প্রথমেই পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া এবং লবণ মেখে রাখা ইলিশ মাছের টুকরা গুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম। তারপর আলাদা একটি পাত্রে উঠিয়ে রাখবো।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
তারপর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম। পেঁয়াজ হালকা বাদামি কালার হওয়ার পর, পরিমাণ মতো হলুদ মরিচের গুঁড়া,আদা রসুন বাটা এবং লবণ দিয়ে দিলাম।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
মসলাগুলো কিছুক্ষণ কষিয়ে, আগে থেকে কেটে রাখা কচুর মুখী এবং আলু গুলো দিয়ে একটু নেড়ে দিলাম।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো পানিতে বলক আসা পর্যন্ত।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
একটু পর দেখলাম পানিতে বলক চলে এসেছে। তারপর ভেজে রাখা ইলিশ মাছের টুকরা গুলো এবং কেটে রাখা কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর আবারও ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিবো।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলাম ঝোল অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে। তারপর চুলা বন্ধ করে দিলাম।
🍲পরিবেশন🍲
তারপর একটি প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করলাম। রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ২৪.৯.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে সত্যিই জিভে জল চলে আসলো ভাই। আসলে ইলিশ মাছ দিয়ে যেকোনো সবজি রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই, যেকোনো সবজি দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
X-promotion
ইলিশ মাছ এবং কচুর মুখি দুটোই বেশ পছন্দ। আর এই দুটোর কম্বিনেশন সত্যিই অসাধারণ লাগে খেতে। আপনি খুব মজার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। রেসিপিটা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। এই রেসিপিটা মাঝেমধ্যেই খাওয়া হয়। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই রেসিপিটা আমাদের বাসায়ও মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইলিশ মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর কচুর মুখী দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে দারুন লাগে। তবে ইলিশ মাছ দিয়ে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনি খুব মজাদার একটি রেসিপি তুলে ধরেছেন ভাইয়া। যা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কচুর মুখী চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলেও দারুণ লাগে খেতে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
দুটো ইলিশ মাছ কিনেছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ইলিশ মাছ ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সবজি দিয়ে রান্না করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছের চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু ১ কেজি সাইজের দুটি ইলিশ মাছ কিনেছিলাম। যাইহোক রেসিপিটা দেখে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জাস্ট ওয়াও ভাই আপনি অনেক সুন্দর লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ইলিশ মাছ এমনিতেই আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ। আবার তার সাথে দিয়েছেন কচুমুখী, সবকিছু মিলে অসম্ভব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি হয়েছে। রেসিপির কালারটাও এসেছে অনেক সুন্দর। আপনার রন্ধন প্রণালী এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এরকম সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রেসিপির কালারটা আসলেই খুব সুন্দর এসেছে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মজার মজার খাবার খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো একেবারে কম রয়েছে। আমার তো মনে হয় একটাও নেই। আমরা সবাই কিন্তু মজার মজার খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি। এ ধরনের রেসিপি গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে শুধু। তেমনি আপনার কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি দেখে আমার অনেক লোভ লেগেছে। আর ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই, মজার মজার খাবার খেতে আমরা সবাই খুব পছন্দ করি। যাইহোক রেসিপিটা দেখে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কচুর মুখী দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করলে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি অনেক মজা করে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখেই। রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই রেসিপিটা খেতে সত্যিই দারুণ লাগে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো অনেক কম পাওয়া যাবে। আমরা সবাই জানি, আমরা হচ্ছি মাছে ভাতে বাঙালি। আর বাঙালি মাছ খেতে অনেক বেশি ভালোবাসে। কচুর মুখী দিয়ে এত মজাদার ইলিশের রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখে আমার জিভে জল চলে আসলো। এখন যেহেতু রাত হয়ে গিয়েছে, রাতের খাবারে যদি এই রেসিপিটা পেতাম তাহলে মজা করে খেয়ে নিতাম। খুব সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন আপনি এই রেসিপি।
আসলেই ইলিশ মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এমনিতেও মজাদার রেসিপি গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। তার মধ্যে যদি ইলিশ মাছ হয় তাহলে তো আরো ভালো লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এলার্জির কারণে ইলিশ মাছ খাওয়া নিষেধ আমার এখন। যাইহোক আপনি কচুর মুখে দিয়ে মজাদার ইলিশ মাছ রান্না করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এমনিতে কম বেশি সবাই ইলিশ মাছ খেতে বেশ পছন্দ করে।
এলার্জির জন্য এতো মজার মাছ তাহলে খেতে পারছেন না। যাইহোক রেসিপিটা দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।