"চান্দা মাছ ভর্তা" ঘরোয়া স্বাদের সহজ রেসিপি
কিছুদিন হলো সিরাজগঞ্জে এসেছি।বাসায় এসে পছন্দের সব খাবার খাচ্ছি।গতকাল বিকেলে ফ্রিজ খুলে দেখলাম একটা চান্দা মাছের টোপলা।আম্মুকে সাথে সাথে বললাম আজকে চান্দা মাছ ভর্তা খাব।কেননা চান্দা মাছ ভর্তা খেতে আমি খুব পছন্দ করি।আম্মুকে বলার পর আম্মুর সাথে সাথে চান্দা মাছের টোপলা বের করে ভিজিয়ে রাখলো।রাতে যখন ভর্তা বাড়ানো শুরু করবে,আম্মু তখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে।এরপর কি আর করার,আম্মুকে বললাম তুমি শুয়ে থাকো। পরে আমি আর আমার ছোট বোন মিলে চান্দা মাছ ভর্তা করলাম।
আমি আমার ছোট বোনকে বললাম,"তুই পেঁয়াজ, মরিচ এগুলো কেটে দে, বাকি সব আমি দেখছি"।এরপর সব প্রস্তুত করে চান্দা মাছ ভর্তা তৈরি করে ফেললাম।আমি আর আমার ছোট বোন মিলে কিভাবে চান্দা মাছ ভর্তা তৈরি করলাম তা এখন আপনাদের মাঝে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করব।আশা করছি আজকের রেসিপি পোস্ট আপনারা সবাই উপভোগ করতে পারবেন।তাহলে আজকের চান্দা মাছ ভর্তা রেসিপি শুরু করা যাক...
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
চান্দা মাছ | ২৫০ গ্রাম । |
মরিচ কুচি | ৪ টি। |
পেঁয়াজ কুচি | ৫ টি। |
রসুন | ৩ টি। |
তেল | পরিমাণমতো। |
লবণ | পরিমানমতো। |
হলুদের গুঁড়া | পরিমানমতো। |
- প্রথমে একটি কড়াইয়ের মধ্যে সয়াবিন তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি এবং রসুন ভেজে নিলাম।
- এরপর পরিষ্কার করে রাখা চান্দা মাছগুলো ভেজে রাখা পেঁয়াজ কুচি এবং মরিচের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
- এরপর পরিমাণমতো অল্প পরিমানে হলুদের গুঁড়া দিলাম।
- প্রত্যেকটা উপকরণের সাথে এবার মাছগুলো খুব ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিলাম।
- চান্দা মাছ, পেঁয়াজ,মরিচ,রসুন ভালোভাবে পোড়া পোড়া করে ভেজে নিলাম।
- মাছ ভাজা শেষ হয়ে গেলে একটি বাটির মধ্যে রেখে দিলাম।
- এরপর ব্লাইন্ডারে ব্লেন্ড করার পালা।সকল উপকরণ ব্লেন্ডারের মধ্যে দেওয়ার পর পরিমাণ মতো লবণ দিলাম।
- ব্লাইন্ড করতে থাকলাম। একদম ফিনিশ হওয়া না পর্যন্ত ব্লাইন্ড করতে হবে।
- যখন দেখবেন একদম ফিনিশ হয়ে গেছে তখন বুঝবেন ভর্তা রেডি।আর এভাবে আমার চান্দা মাছ ভর্তা তৈরি হলো।
আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার অত্যন্ত প্রিয় চান্দা মাছ ভর্তা রেসিপি শেয়ার করলাম। গরম ভাতের সাথে কিংবা পান্তা ভাতের সাথে চান্দা মাছ ভর্তা খেতে খুবই মজা লাগে।আমি এবং আমার ছোট বোন মিলে যে চান্দা মাছ ভর্তা তৈরি করলাম, তা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।আম্মু খেয়ে অনেক প্রশংসা করেছিল।মজাদার এই চান্দা মাছ ভর্তা রেসিপি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।রেসিপিটির প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লেগেছে।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
মোবাইল | Samsung A33 (5G) |
---|---|
ধরণ | "চান্দা মাছ ভর্তা" ঘরোয়া স্বাদের সহজ রেসিপি |
ক্যমেরা মডেল | A33 (48+8+5+2) |
ক্যাপচার | @mohamad786 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
ভর্তা আমার খুব পছন্দের। চান্দা মাছের ভর্তা তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। আপনার চান্দা মাছ ভর্তা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার ভর্তা তৈরি প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
X-Promotion
এই চান্দা মাছের ভর্তা আমিও খেতে অনেক ভালোবাসি।গরম ভাতের সাথে যে খেতে কি ভালো লাগে। ভর্তাটি দেখেই খাওয়ার খুব লোভ হচ্ছে ভাই।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ভাই।আমি সাধারণত পাটায় বেটে করি আজকে আপনি ব্লেন্ডারে করেছেন ব্যাপারটা আমার কাছে নতুন।
পাটায় বাটা খুব কষ্টের,এই যুগে আর কেউ কষ্ট করতে চায় না।
চান্দা মাছের ভর্তা আমার কখনো খাওয়া হয়নি।তবে চান্দা মাছের শুঁটকি ভর্তা অনেক খেয়েছি।যেকোনো ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে আমার।গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খুবই ভালো লাগবে। আপনি আপনার পছন্দের ভর্তা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চান্দা মাছের ভর্তা একদিন খেয়ে দেখবেন চান্দা মাছের শুটকি থেকে এটি আরো বেশি মজা লাগে।আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমি এমনিতে চান্দা মাছ খেয়েছি কিন্তু আপনার মতো এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভর্তা খাওয়া হয়নি কখনো। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আসলে সত্যি বলতে আপনার প্রতিটি রেসিপি অনেক লোভনীয় হয় এবং আমার কাছে আপনার প্রতিটি রেসিপি অনেক বেশি ভালো লাগে।
আমার রেসিপিগুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লাগে জেনে খুবই খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
খুব সহজে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। চান্দা মাছ এভাবে কখনো ভর্তা করে খাইনি। তবে দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। আমার কাছে যে কোন ভর্তা দিয়ে ভাত খেলে মনে হয় একটু বেশি খেয়ে ফেলি। আপনার রেসিপিটা ভীষণ ভালো লাগলো। বাড়িতে একদিন তৈরি করার চেষ্টা করব।
জ্বী আপু বাড়িতে একদিন এভাবে চান্দা মাছ ভর্তা তৈরি করে গরম ভাতের সাথে খেয়েন।খেতে মজা লাগবে।
এই চান্দা মাছ কাটার জন্য বেশি একটা খাওয়া হয়না। তবে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই চান্দা মাছ দিয়ে ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু একদিন এভাবে ট্রাই করে দেখবেন, এভাবে চান্দা মাছ ভর্তা বলে খেতে খুবই মজা লাগে।
চান্দা মাছ ভর্তা অসাধারণ সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে। দারুণ ভর্তা করেছেন ভর্তা খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।আপনি চান্দা মাছের ভর্তা টি ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। খেতে অনেক লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি তা দেখেই বুঝতে পারছি।ধাপে ধাপে চান্দা মাছ ভর্তা পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
আপনাদের দেশের নানান জিনিসের ভর্তা আমার ভীষণ অভিনব লাগে৷ এতো রকম ভর্তা আমি তো ভাবতেই পারি না৷ চাঁদা মাছের সাধারণত তেঁতুল টক হয় আমাদের বাড়িতে তবে এই রেসিপিটি বেশ লাগল। এবার চাঁদা মাছ এলে অবশ্যই বানাবো।