হাসির কিছু মুহূর্ত…[১৪]
জীবনে হাসি-ঠাট্টা কতটা দরকারি, তা তো আর বলে দিতে হবে না। মন খারাপের দিনে হুট করে কারো বলা একটা দুষ্টুমি, কিংবা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোনো মজার কাণ্ড মুহূর্তেই আমাদের মন ভালো করে দেয়।তাই ভাবলাম, আগের সপ্তাহের মতো আজকেও আপনাদের জন্য নিয়ে আসি কিছু হাসির মুহূর্ত। মানে পুরাই দম ফাটানো কিছু কৌতুক।
চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক...
মোবাইলওয়ালা হাফিজ ভাই 📱😂
সিরাজগঞ্জ শহরের এক বাজারে থাকেন হাফিজ ভাই। বয়স পঞ্চাশ পেরোলেও তিনি নিজেকে এখনও তরুণ প্রমাণ করতে চান। নতুন জিনিসে আগ্রহ তার একেবারে অন্য লেভেল। গ্রামে যখন প্রথম স্মার্টফোন এলো, তখনই তিনিও একটা কিনে নিলেন।
কিন্তু সমস্যা হলো তিনি ফোন ব্যবহার করতে জানেন না। তার একমাত্র কাজ ছিল, লোকজনের সামনে মোবাইল হাতে নিয়ে খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা। কেউ জিজ্ঞেস করলে গর্ব করে বলতেন,
“এটা কিন্তু টাচ ফোন, বিদেশ থেকে আনা। একে বলে স্মার্টফোন!”
একদিন বাজারে চায়ের দোকানে বসে তিনি মোবাইল বের করলেন। দোকানের সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। হাফিজ ভাই গম্ভীর মুখে স্ক্রিনে আঙুল বুলাচ্ছেন, কিন্তু ফোনটা বারবার লক হয়ে যাচ্ছে।
পাশের এক কিশোর মজা করে বলল,
“ভাই, পাসওয়ার্ড দেননি নাকি?”
হাফিজ ভাই হেসে বললেন,
“আরে না রে, আমি তো পাসওয়ার্ড মনে রাখি না। তাই আমি মোবাইলের জন্য বিশেষ সিকিউরিটি দিয়েছি।”
সবাই কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কী সিকিউরিটি?”
তিনি গর্ব করে উত্তর দিলেন,
“আমি ফোনটা চালু করার সময় মুরগির ডাক দিই কুকড়ু কু। তখনই চালু হয়!”
শুনে সবাই হেসে গড়াগড়ি। কিন্তু হাফিজ ভাই সত্যিই ফোনটা মুখের কাছে ধরে ডাক দিলেন
“কুকড়ু কু!”
ফোন অবশ্যই চালু হয়নি, বরং দোকানের মুরগিটা ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাল।
পরদিন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, ফোনে ইন্টারনেট চালাবেন। দোকানের ছেলেরা তাকে ফ্রি ওয়াইফাই ধরিয়ে দিল। তিনি গুগলে লিখতে চাইলেন “হাসির কৌতুক।” কিন্তু টাইপ করতে না জানার কারণে লিখলেন “হাসির কুকুর।”
ফলাফলে সব কুকুরের ছবি বের হলো। তিনি ছবিগুলো দেখে চমকে উঠে বললেন,
“আরে বাবা, এত হাসিমুখ কুকুর কই থাকত?”
লোকজন হেসে লুটোপুটি খেলো।
সবচেয়ে মজার ঘটনা ঘটল এক শুক্রবারে। জুমার নামাজ শেষে সবাই মসজিদ থেকে বের হচ্ছে। হাফিজ ভাই মোবাইল হাতে দাঁড়িয়ে সবার সামনে ভিডিও চালু করেছেন। হঠাৎ ফোনের স্পিকারে গান বাজতে শুরু করল “বেবি বেবি ওহ…”
ইমাম সাহেব ভুরু কুঁচকে তাকাতেই তিনি গম্ভীরভাবে বললেন,
“আরে না না! এটা আমার রিংটোন না, এটা কানাডার আজান!”
সবাই আবার হেসে গড়াগড়ি।
এরপর থেকে গ্রামের সবাই তাকে নতুন নামে ডাকতে শুরু করল “মোবাইলওয়ালা হাফিজ ভাই”।
আসলে জীবনটা অনেক ছোট। সবসময় সিরিয়াস হয়ে থাকা যায় না। মাঝেমধ্যে এমন হাসি-ঠাট্টা, পাগলামি দরকার। তাতে মনও ভালো থাকে, দিনটাও জমে যায়।তাই বলব - হাসুন, খুশি থাকুন। কারো খারাপ দিনটা একটুখানি ভালো করে দিতে পারলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় আনন্দ।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
X-Promotion
Daily Tasks
Comments Link
https://x.com/mohamad786FA/status/1958590035651174787?t=Zvuc7F6DEPqbuyq5WVjzOA&s=19
https://x.com/mohamad786FA/status/1958589587439460735?t=Zvuc7F6DEPqbuyq5WVjzOA&s=19
ss
🎉 Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem ecosystem.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5