আত্মীয়তা।
আজ- ২রা মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাই হোক গত কিছুদিন যাবত মেহমান রয়েছে বাসায়। মেহমান থাকলে বেশ ভালোই লাগে, বেশ ভালো সময় কাটানো যায়। তবে নিজের কাজে সবকিছুতে একটু এলোমেলো হয়ে যায়। তবে সেগুলো কোন ব্যাপার না কেননা মেহমান আসে কিছুদিনের জন্য তারপর আবার দিন শেষে যে যার জায়গায়। মেহমান আসলে যেমন বাসাটা জমজমাট এবং উৎসবমুখর মনে হয় আবার ঠিক একই ভাবে মেহমানরা যখন চলে যায় তখন বাসাটা কেমন যেন খালি মনে হয়। এবং প্রথম কয়েকদিন মনটা একদম খারাপ থাকে পরবর্তীতে আবার ও দৈনিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যায়।
বর্তমানে পারিবারিক বন্ধন গুলো কেন যেন দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। এখনকার জেনারেশনের বাচ্চারা তারা মেহমান দেখলে নিজেকে সবসময় লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। অনেকে আছে নিজেদের খুব কাছের আত্মীয়-স্বজনদের চেনেনা। তাদের সাথে মিশে না এবং তাদের সাথে একটা দূরত্ব থাকে সবসময়। তারা সবসময় নিজেরা নিজেদের সাথে সময় কাটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এভাবে করে আগেকার জেনারেশনের আত্মীয়তার যে বন্ধ ছিল সেটা এখন অনেকটাই কমে গেয়েছে
আজ তাহলে এখানে বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বর্তমান প্রজন্ম বেশী ডিভাইস মুখী হওয়াতে ও একান্নবর্তী পরিবার গুলো ভেঙ্গে যাওয়াতে পারিবারিক বন্ধন গুলোতে দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে।এজন্য বেশী করে পারিবারিক সদস্যদের পুনর্মিলন দরকার। আপনি ঠিকেই বলেছেন ভাইয়া, আত্মীয় থাকলে বাড়িটি জমজমাট থাকে। আমার বাসায়ও গত একসপ্তাহ আত্মীয় ছিল। গত পরশু চলে গেছে। এখন বাসাটা একদম ফাঁকাফাঁকা! আত্মীয়তার বন্ধন গুলো আবারো সুদৃঢ হোক এই কামনা করি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার লেখা একদম হৃদয় ছুঁয়ে গেল ভাইয়া। পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোর মূল্য এবং আত্মীয়তার বন্ধন ধরে রাখার আহ্বান সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। মেহমানদের প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আল্লাহ আপনাকে সুখী রাখুন,এই কামনাই করি।
ঠিক বলেছেন ভাই, বাড়িতে মেহমান আসলে খুব ভালো লাগে। কিন্তু মেহমান চলে যাওয়ার পর বাড়িটা একেবারে খালি খালি লাগে। যাইহোক বেশিরভাগ মানুষ এখন আত্নীয়ের বাড়িতে আসা যাওয়া একেবারে কমিয়ে দিয়েছে। তাইতো আত্নীয়তার সম্পর্ক গুলো একেবারে ঠুনকো হয়ে গিয়েছে। এখনকার মানুষগুলো নিজেদের মতো করে ব্যস্ত থাকতে বেশি পছন্দ করে। তবে এটা মোটেই উচিত নয়। আত্মীয় স্বজনদের সাথে সবসময়ই যোগাযোগ রাখতে হয়। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
বতর্মান সময়ে পরিবার গুলো বেশ ছোট হয়ে এসেছে। সবাই বেশ দূরে দূরে থাকে। চাইলেও দেখা হয় না। কিন্তু এইরকম ভাবে যখন দেখা হয় তখন বেশ ভালো লাগে। ঈদ বা কোন অনুষ্ঠান ছাড়া চাইলেও সবাই একসঙ্গে হতে পারে না।