যাত্রাপথে।

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

আজ- ১৩ই মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শীতকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000049504.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমাদের চলাচলের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে এমন ঘটনার ঘটে যা আসলে অনেকটা কাকতালীয়। আর ঐ সকল ঘটনাগুলোকে নিয়ে যখন আমরা একটু গভীর ভাবে ভাববো তখনই বুঝতে পারবো যে আমাদের সৃষ্টিকর্তা কতটা পরিকল্পিতভাবে সবকিছু করে থাকেন।

সকাল বারোটা নাগাদ একটা কাজে দুইনাম্বার গেট গিয়েছিলাম। যদিও বেলা বারোটা নাগাদ ওই সময়টাকে সকালবেলা ভুল হবে বরং দুপুর বলা চলে। তবে সকাল-সকাল যাওয়ার বেশ ইচ্ছা ছিল কিন্তু ওই যে নিয়মিত রাত করে ঘুমানো এরপর সকালে দেরিতে করে ঘুম থেকে ওঠা এসবের কারণে মূলত দেরী হয়ে গিয়েছে । তাছাড়া কিছু কাজ ছিল ওগুলো শেষ করতে করতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে তাই মূলত বেলা বারোটা নাগাদই বের হতে হয়েছে । সত্যি বলতে আমি আমার অনেক কাজে পিছিয়ে যে শুধুমাত্র দেরিতে করে ঘুম থেকে ওঠার কারণটাতে।

যাইহোক, দেরি হয়েছে দেখে একটা টেক্সি নিয় চলে যাই। যাওয়ার সময় রাস্তা ভালই ক্লিয়ার ছিলনা তেমন একটা জ্যাম ছিলনা । এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে যায় । এরপর কাজ শেষ করতে করতে প্রায় তিনটা বেজে গিয়েছে। পরবর্তীতে বাসায় যাওয়ার জন্য একটি লোকাল বাসে উঠলাম। আমি যখন বাসে উঠেছি তখন বাসটা মোটামুটি ফাঁকাই ছিল। তবে কিছুটা সামনে যেতে না যেতে পুরো বাসটি একেবারে ভর্তি হয়ে গেল।

বাসে জায়গা না থাকা সত্ত্বেও একের পর এক যাত্রী উঠানো হচ্ছে। একবার যাত্রীরা ক্ষেপে গিয়ে বাস ড্রাইভার এর সাথে বাড়াবাড়ি পর্যন্ত বেঁধে গিয়েছে । আসলে বাড়াবাড়ি হবে নাই বা কেন মানুষ দাঁড়িয়ে থাকার মত এক ফোঁটা জায়গা পর্যন্ত নেই তা সত্ত্বেও তাদের যাত্রী নেওয়া যেন থামছে না। তাছাড়া ওই সময়টাতে স্কুল কলেজ স্কুলের সাথে ছুটি হওয়াতে অনেক বেশি মানুষ হয়ে গেছে।

যাইহোক যাত্রা একেবারে শুরুতে আমার ঠিক পাশে একজন যাত্রী বসেছিলেন। এমনিতে সাধারণত লোকালে আশেপাশে যাত্রীদের সাথে খুব একটা কথা বলা হয় না। তবে লোকটি নিজে থেকেই আমার সাথে কথা বলেন। লোকটি, আমি কোথায় যাবো বাসা কোথায়? এসব জিজ্ঞেস করতে লাগলো। আমিও তার কথার জবাব দিলাম। এরপর তিনি জানালেন তিনি গ্রাম থেকে এসেছেন শহরে একটা কাজে। এখানে তিনি একেবারেই নতুন। ভালো করে রাস্তাঘাট তেমন একটা চিনে না তবে সাহস করে একা বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে রাস্তাঘাট ক্রসিং করা খুব ভালোভাবে পারেনা এবং তার বাড়ির লোকেরা তার জন্য চিন্তা করছিল একা আসতে পারবে কিনা সেই বিষয় নিয়ে।

তিনি মূলত গিয়েছেন ডাক্তারের কাছে এবং ডাক্তারের কাছ থেকে এক আত্মীয়র বাসায় উঠবেন। তবে সব থেকে বড় অবাক করা বিষয় হচ্ছে উনি যে জায়গায় নামবেন ওই একই এলাকায় আমাদের বাসা। পরবর্তীতে আমি উনাকে আশ্বস্ত করলাম যে সমস্যা নেই আমি আপনাকে নিয়ে যাব। এতে ওনিও বেশ স্বস্তি পেলেন। এর পরবর্তীতে আমি ওনার ঠিকানা মত উনার বাসায় পৌঁছে দিয়ে আমি আমার বাসায় চলে আসি।

প্রতিনিয়ত আমাদের লোকালে যাতায়াত করা হয়। আমার নানান সময় নানান মানুষের সাথে পরিচয় হবে নানার ঘটনা সাক্ষী হয়। তবে আজ কেন জানি মনে হল ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 4 days ago 

লোকাল বাসে উঠতে সেজন্যই বিরক্ত লাগে। তাই আমি লোকাল বাসে উঠি না বললেই চলে। যাইহোক বাসের মধ্যে পরিচয় হওয়া লোকটাকে, তার আত্নীয়ের বাসায় পৌঁছে দিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন ভাই। আসলে মানুষের উপকার করার চেয়ে ভালো কোনো কাজ আর হতে পারে না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 days ago 

আপনি ঠিক বলছেন আসলেই রাতে দেরি করে ঘুমালে সকালে সহজে যায় না একটু দেরি হয়ে যায়। আর যে কোন কাজে যদি আগেভাগে যাওয়া যায় তাহলে ভোগান্তি হতে হয় না। আপনি গ্রামের অসহায় মানুষটির সাথে পরিচিত হলেন। অবশেষে আপনার সাথে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট বাসায় পৌঁছায় দিলেন। বেশ ভালো লাগলো শুনে। সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।

 3 days ago 

মূলত গ্রাম থেকে কোন মানুষ যদি শহরে যায় সে ক্ষেত্রে তারা অনেকটাই নার্ভাস ফিল করে তাই হয়তোবা ব্যক্তিটা আপনার কাছে সাহায্য চেয়েছিল। এরকম আমারও অনেক অপরিচিত মানুষের সাথে দেখা হয়েছে তাদেরকে আমিও আমার সাধ্যমত সাহায্য করার চেষ্টা করেছি যাই হোক গল্পটা পড়ে ভালো লাগছে।