মিল্ক পুডিং রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

আজ- ২৬ই,মাঘ | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল | | বুধবার |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে মিল্ক পুডিং রেসিপি শেয়ার করব।




1644381619151.jpg


কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে খুবই সহজ এবং সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি খেতে না যত মজা তার থেকে দেখতে বেশি সুন্দর। আমি জীবনে প্রথমবারের মত এইরকম একটি সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছি। যদিও রেসিপিটি পুরোপুরি পারফেক্ট হয়নি কেননা কোথাও ভেঙে গিয়েছে আঁকাবাঁকা হয়ে গিয়েছে। প্রথমবারের কখনো কোন কিছুই পারফেক্ট হয় না তবে পরবর্তী বার ট্রাই করলে নিশ্চয়ই আরো সুন্দর হবে আর এটাই আমার বিশ্বাস। এই রেসিপিটি আমি নিজে করার কারণে ভালো ভাবে ফটো তুলতে পারিনি। ফটোগুলো আঁকাবাঁকা ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। আর সব থেকে বড় হচ্ছে রেসিপিটি বানাতে বেশি কিছু উপকরণের প্রয়োজন হয় না। মোটামুটি রেসিপির সব উপকরণ গুলো সাধারণত বাসায় থাকে। শুধু বাইরে থেকে আগারাগার কিনলেই হয়ে যায়।

আশা করছি আপনাদের সকলে আমরা আজকের এই রেসিপি টা পছন্দ হবে। আসলে গতকাল সারা বিকালটা কাটিয়েছি আমার এই রেসিপির পিছনে।যাই হোক কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটা তার সাথে শেয়ার করি।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ


  • তরল দুধ ।
  • চিনি ।
  • লবণ।
  • আগার আগার ।
  • ফুড কালার ।


প্রস্তুত প্রণালীঃ


ধাপ-১ঃ

  • প্রথমে একটি বাটিতে 2 চা-চামচ আগার আগার পানিতে গুলিয়ে নিব।

IMG_20220208_200305.jpg

ধাপ-২ঃ


  • এরপর একটি পাত্রে দুধ গরম করে নিব। কিছুক্ষণ গরম করার পর দুধে বলক আসলে এর মধ্যে হাফ কাপ চিনি দিয়ে দিব।

ধাপ-৩ঃ


  • এরপর পূর্বে গুলিয়ে রাখা আগার আগার দুধের মধ্যে দিয়ে দিব। আগার আগার দিয়ে দুই মিনিট দুধ আবারো গরম করে নেব।

IMG_20220208_200442.jpg

ধাপ-৪ঃ


  • এরপর একটি বাটিতে গরম গরম দুধগুলো ঢেলে দিব।

ধাপ-৫ঃ


  • 15 থেকে 20 মিনিট পর দুধগুলো জমাট বেধে যাবে।

IMG_20220208_211421__01.jpg

ধাপ-৬ঃ


  • এরপর অন্য একটি পাত্রে 1 কাপ পানি ও এক চামচ আগারাগার দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নেব।

ধাপ-৭ঃ


  • এরপর দু'চামচ ফুড কালার এবং ৪ টেবিল চামচ চিনি দিব।

ধাপ-৮ঃ


  • এরপর এগুলোকে চুলাতে বিসিয়ে দিব।

IMG_20220208_212116.jpg

ধাপ-৯ঃ


  • মিডিয়াম আঁচে কিছুক্ষণ এগুলোকে গরম করে নিব।

IMG_20220208_212429__01.jpg

ধাপ-১০ঃ


  • গরম করা শেষে গরম গরম জমে যাওয়া দুধের মধ্যে ঢেলে দিব ।

IMG_20220208_212752__02.jpg

ধাপ-১১ঃ


  • ঠান্ডা হওয়ার পরে ঢেলে দিবো।

IMG_20220208_214233__01.jpg

ধাপ-১২ঃ


  • ব্যাস এভাবে তৈরী হয়ে গেল মিল্ক পুডিং।

IMG_20220208_215014.jpg

IMG_20220208_214844.jpg

IMG_20220208_214408.jpg

সকলকে ধন্যবাদ।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

মিল্ক পুডিং রেসিপি তৈরি এটা আমার প্রথম দেখা। খুব সহজে এতো সুন্দর একটি খাবার তৈরি করা যায় আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। আপনার প্রথম অভিজ্ঞতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। দেখতে এতো সুন্দর লাগছে খেতেও অনেক সুস্বাদু হবে। একটু আঁকাবাঁকা হলেও মিল্ক পুডিং রেসিপি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। চেষ্টা করবো আপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। 😋😋❤️🌹

 3 years ago 
ভাইয়া কি বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, অনেক সুন্দর ভাবে মিল্ক পুডিং রেসিপি তৈরি করেছেন। প্রথমে দেখে তো আমার জিভে পানি চলে এসেছে। আমি প্রথম আজকে মিল্ক পুডিং রেসিপি তৈরি করা দেখলাম দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এবং মনে হচ্ছে খেতেও অনেক সুস্বাদু হবে। সত্যিই অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার মিল্ক পুডিং রেসিপি।
 3 years ago 

ভাই অস্থির এক মিল্ক পুডিং রেসিপি শেয়ার করেছেন। অসাধারন হয়েছে। এই পুডিং এর ছবি গুলো দেখে আমার বুফে খাওয়ার কথা মনে পরে গেলো। একই ডিজাইন এর পুডিং ছিলো। আপনার টা তো নিজে বানিয়েছেন কতই না মজা হয়েছে।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার মিল্ক পুডিং রেসিপিটি দেখে আমার খুবেই খাইতে ইচ্ছা করতেছে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। সত্যি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

যেকোনো জিনিস প্রথমে একটু সমস্যা হলে পরের বার ঠিক হয়ে যায় ভাই। আসলে এটা কোন ব্যাপার না। আর সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো ঠিক আছে। ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইটেম লক্ষণীয় থাকাটাই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। কেননা প্রতিটি আইটেম প্রতিটি নির্দেশনা অনুসরণ করে।

অনেক চমৎকার ছিল মিল্ক আইটেম টি। জা দিয়ে অসাধারণ মিল্ক পুডিং তৈরি করা হয়েছে।

দেখতে যখন সুন্দর তখন খেতে অবশ্যই মজা হবে এটাই স্বাভাবিক।

ধন্যবাদ অনেক পরিশ্রম করে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য

 3 years ago 

বেশ কালারফুল মিল্ক পুডিং ও দেখতে বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে। দারুণভাবে আপনি প্রত্যেকটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। শেষে মিল্ক পুডিং কি দেখে মনে হচ্ছে এক টুকরো মুখে তুলে নেই। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পুডিং আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার মিল্ক পুডিং রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। এত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন, সত্যিই অসাধারণ। বিশেষ করে উপরের এই সুন্দর লাল জেলির মতো এটি দেখে আমার বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই সুস্বাদু হয়েছে মনে হচ্ছে। যদি খেতে পারতাম তাহলে খুবই ভালো লাগতো। এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার কারণে আমি এই রেসিপিটি ভালোভাবে দেখলাম এবং উপস্থাপন দেখে আমিও শিখতে পারলাম। পরবর্তীতে আমি অবশ্যই তৈরি করব। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমার মনে পড়ে গেল কিছুদিন আগে আমিও এই মিল্ক পুডিং তৈরি করেছিলাম। সত্যিই এটি খাওয়ার চেয়ে দেখতে বেশ দারুন। এটি যখন আমি তৈরি করেছি তখন আমার বাসার সবাই দেখে বললো এটি দেখতে তো খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে খেতে যেমনই হোক না কেন। কিন্তু খেতেও খুব ভাল লেগেছিল ভাইয়া। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার প্রথমদিনের তৈরি মিল্ক পুডিং। পরবর্তীতে এটি ঠিকমতোই তৈরি করতে পারবেন।

 3 years ago 

ছবি দেখে বিশ্বাস করাই মুশকিল যে এটি মিল্ক পুডিং ছিল। মনে হচ্ছে যেনো একটি দামি পেসটিকেক। ফুড কালার ব্যবহার করার কারণে দেখতে সত্যিই অনেক চমৎকার লাগছে। সুন্দর এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

বাজারে অনেকবার পুডিং খেয়েছি। কিন্তু তেমন ভাবে বাড়িতে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আসলে কিভাবে তৈরি করব সেটা জানতাম না। আপনার পোস্ট পড়ে আর আপনার তৈরি রেসিপি দেখে বুঝলাম তা খুব সহজেই তৈরি করা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া এভাবে সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।