||হাঁসের ডিম ভাজা রেসিপি||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ শুক্রবার, আগস্ট ১৮/২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে পেয়াজ কুচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভাজি রেসিপি শেয়ার করব। ইচ্ছে হলো পেঁয়াজকুচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভাজি খেতে। হাঁসের ডিম ভাজি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।কেননা ডিম থেকে আমরা আমিষ পেয়ে থাকি ,যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারি ।অনেক সময় দেখা যায় শরীর দুর্বল হয়ে গেলে ডিম খেলে শরীরটা অনেক ভালো লাগে। হাঁসের ডিম ভাজি অনেকে ভেঙ্গে ভেজে খাই, অনেকে আলু দিয়ে রান্না করে খাই ,অনেকে আবার ভর্তা করে খাই। কিন্তু আমার রেসিপিটা আজকে একটু অন্যরকম আমি বেশি করে পেয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভেজেছি। রেসিপিটা হয়তো আপনাদের দেখে খেতে ইচ্ছে করছে ,খেতে ইচ্ছে করারিই কথা ।এই রেসিপিটা খেতে অনেক সুসাধু হয়েছিল । পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভাজি মাঝেমধ্যে আমাদের বাড়িতে রান্না করা হয়। সব থেকে আমার রুটি দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। অনেকে আবার গরম ভাতের সাথে খেয়ে থাকে। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আমি কিভাবে ডিম ভাজি করেছি ।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | হাঁসের ডিম | একটি |
২ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
৪ | রসুনকুচি | পরিমাণমতো |
৫ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো |
৬ | হলুদের গুড়া | পরিমাণমতো |
১০ | এলাচ | একটি |
১১ | দারচিনি | পরিমানমতো |
১২ | সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি হাঁসের ডিমটা গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি, সিদ্ধ করার পর হাঁসের ডিমের খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এবার আমি কড়াইয়ে রাখা চুলাইয়ে সয়াবিন তেল দিয়ে তেলটা একটু গরম করে নিব। গরম করা হয়ে গেলে তেলের ভেতরে একটু হলুদ ছিটিয়ে দিব। হলুদ ছিটিয়ে দিলে হাঁসের ডিম লালচে লালচে লাগে। হলুদ না দিলে হাঁসের ডিম ভাজার পর ডিমটা কেমন সাদা হয়ে থাকে ।আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে হলুদ দিতে পারেন।
এবার আমি হাঁসের ডিমটা ভাজার জন্য গরম তেলের উপর দিয়ে দিয়েছি।
এইতো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ভাবে হাঁসের ডিমটা আমি ভেজে ফেলেছি।
এবার আমি বেশি করে পেঁয়াজকুচি ,রসুনকুচি পরিমাণ মতো কাঁচা মরিচ নিয়ে নিয়েছি।
এবার পরিমাণমতো হলুদের গুড়া, পরিমাণমতো লবণ ,পরিমাণ মতো দারচিনি, একটা এলাচ নিয়ে নিয়েছি।
এবার আমি পেঁয়াজকুচি ,রসুন কুচি, কাঁচা মরিচ পাটার সাহায্যে বেটে নিব। বেটে নেওয়া হয়ে গেলে চুলাইয়ে রাখা করাইয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে তেলটা একটু গরম করে নিব ।গরম করা হয়ে গেলে পরিমাণমতো হলুদের গুড়া ,পরিমাণমতো লবণ দিয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো একটু ভেজে নিব।
এবার আমি ভেজে রাখা হাঁসের ডিম ভাজা উপকরণ গুলোর ভেতর দিয়ে পুনরায় আবার সবগুলো ভেজে নিব।
এবার আমি সিদ্ধ করার জন্য একটু পানি দিয়ে দিব।
এইতো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কিছুটা সিদ্ধ হয়ে এসেছে।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ভাবে পেঁয়াজকুচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভাজি হয়ে গিয়েছে।
পেঁয়াজকুচি দিয়ে হাঁসের ডিম ভাজি হয়ে যাওয়ার পরে আমি একটা পাত্রে তুলে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি ।আপনার যদি চান তাহলে আমার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুবই সহজে বাড়িতে বসে পেঁয়াজকুচি দিয়ে ডিম ভাজি রান্না করতে পারবেন।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
ফটোগ্রাফার | @mdemaislam00 |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | vivo12a |
হাঁসের ডিম ভাজা রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। কারন হাঁসের ডিম রান্না করে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আর শরীরের জন্য খুব উপকারী পুষ্টিকর খাবার। তবে এভাবে কখনো আমি খাইনি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বাটায় মশলা বেটে কোন কিছু রান্না করলে খেতে বেশ মজা লাগে। আপনি আজকে হাঁসের ডিম ভুনা রেসিপিটি বাটা মশলায় রান্না করেছেন। তাই খেতেও বেশ মজা হবে। হাঁসের ডিম ভুনা করলে খেতে দারুন লাগে। আপনার রেসিপিটির বিভিন্ন ধাপ দেখে তাই মনে হচ্ছে। মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হাঁসের ডিম কখনো এভাবে ভাজি করে খাওয়া হয়নি।এমনিতে পোচ করে খেয়েছি।আপনি যেভাবে হাসেঁর ডিম ভাজি করেছেন এভাবে আমি দেশি ডিম ভুনা করে খায়। জয় হোক আপনার তৈরি হাঁসের ডিম ভাজি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হয়েছিল। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
হাঁসের ডিম দিয়ে তৈরি পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে। হাঁসের ডিম ভাজা রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। পেঁয়াজ কুচি আর কাঁচা মরিচ কুচি একটু বাড়ি দিয়ে এভাবে ডিম ভাজি করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার হাঁসের ডিম ভাজা রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হাঁসের ডিম ভাজি আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কালার টা অনেক সুন্দর এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
হাঁসের ডিম আমার ভীষণ পছন্দের। আপু আপনার রান্না করা হাঁসের ডিম দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক সুন্দর করে হাঁসের ডিমের রেসিপি তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
হাঁসের ডিম ভাজা রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখতে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
হাঁসের ডিম ভাজা রেসিপিটি অনেক ভালো লাগলো আপু। দেখে তো আমার এক্ষুনি খেতে ইচ্ছা করছে। হাঁসের মাংস খেতেও বেশ ভালো লাগে। পর্যায়ক্রমে অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপু।
হাঁসের ডিম খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে পেঁয়াজকুচি করে হাঁসের ডিম ভাজি করেছেন। যদিও পেঁয়াজ বেশি করে ভাজি করে এবং ডিম দিয়ে খেতে ভালো লাগে । এ ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং গরম ডাল হলে খেতে বেশি ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে হাঁসের ডিম ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে হাঁসের ডিম ভাজির রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে হাঁসের ডিম যদি এভাবে দোপেয়াজি করে ভাজি করে খাওয়া যায় তাহলে বেশ ভালো লাগে। আসলে গরম ভাত দিয়ে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। ডিমের থেকে আমার কাছে পিঁয়াজ গুলো খেতে বেশি মজা লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।