হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কাদামাটি দিয়ে দইয়ের হাড়ি বানানো শেয়ার করব। কিছুদিন আগে আমি কাদামাটির জিনিস বানিয়েছিলাম ।সেদিন আমি হাড়ি বানিয়ে ছিলাম ।গত সপ্তাহে শরীরটা তেমন একটা ভালো ছিল না ।সেজন্য আপনাদের সাথে হাড়ি বানানোর শেয়ার করতে পারিনি ।শরীর ভালো থাকা আল্লাহ তায়ালার বড় নিয়ামত। শরীর ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা ।এই কয়দিন ধরে এত শরীর খারাপ করছে যে ইচ্ছা করলেও কিছু করতে ইচ্ছে করছে না। যেমন সর্দি কাশি তেমন জ্বর ।সব মিলিয়ে কিছুই ভালো লাগছে না। তাই নিয়মিত আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের জিনিস শেয়ার করতে পারছি না ।গতকাল রাতে শরীর এত খারাপ করছিল যে মনে হচ্ছিল কখন সকাল হবে আর আমি ডাক্তারের কাছে যাব। কাদামাটির জিনিস তৈরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে ।তাই যখন সুযোগ পাই বিভিন্ন ধরনের জিনিস বানাতে শুরু করে দিই ।কিছুদিন আগেই দইয়ের হাড়ি বানিয়েছিলাম। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে সেই কাদামাটির হাড়ি বানানো দেখে আসা যাক।।
•••• ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুল••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | কাদামাটি | পরিমাণমতো |
২ | পানি | যেটুকু লাগবে |
প্রথমে আমি পরিমাণমতো কাদা নিব। কাঁদাটা পানি দিয়ে অনেকবার ছেনে নিব ।পানির পরিমাণ ঠিক দিতে হবে তা না হলে পানির পরিমাণ বেশি হলে কাদামাটি দিয়ে জিনিস বানাতে গেলে সম্ভবত সেগুলো ঠিকমতো তৈরি করা হবে না। তাই পানির পরিমাণ খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে ।
কাদাটুকু অনেক সুন্দর ভাবে ছানা হয়ে গেলে আমি তালুর সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে কাদাটা গোল করে নিব। ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে কাটাটুকু গোল করে নিতে হবে।
এবার আমি গোল করা কাদার ঠিক মাঝখান থেকে অনেকটা কাদা তুলে নিব যাতে দেখতে কিছুটা বাটির মতো মনে হয় ।
এবার আমি অল্প একটু কাদা নিব । কাদাটা নেওয়া হয়ে গেলে পানি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ছেনে নিব ।
পানি দিয়ে ছানা কাদাটুকু আমি কোন শক্ত জায়গায় রেখে গরিয়ে গরিয়ে লম্বা আকৃতি করে নিব। ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক এরকম ভাবে লম্বা আকৃতি করে নিবেন ।
আবারো অল্প একটু কাদা নিব । কাঁদাটা পানি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ছেনে নিব। কাদাটা ছানা হয়ে গেলে আবারো কাদাটুকু লম্বা আকৃতি করে নিব।
এবার আমি লম্বা আকৃতি কাদাগুলো ,কাদা দিয়ে তৈরি করা বাটির ওপর অনেক সুন্দর ভাবে বসিয়ে নিব ।ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ।
এবার আমি নখের সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে হাড়ি আকৃতি করে নিব ।যখন দইয়ের হাড়ি আকৃতি করব তখন নখের সাথে পানি ব্যবহার করব ।তাহলেহাড়ি বানাতে অনেক সুবিধা হয়ে থাকবে ।
অনেক সুন্দর ভাবে কাদামাটি দিয়ে দইয়ের হাড়ি বানানো হয়ে গিয়েছে । আসলেই হাড়ি বানানোর পরে যে এত সুন্দর হবে দেখতে আমি কল্পনাও করতে পারিনি। আপনাদের যদি হাড়ি বানানো ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন ।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | ড্রাই |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
দইয়ের হাড়ি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। মাটি দিয়ে কোনকিছু বানানো সত্যি অনেক কঠিন। আপনি অনেক পরিশ্রম করে এই সুন্দর দইয়ের হাড়ি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। দারুন হয়েছে আপু।
জি আপু মাটি দিয়ে জিনিস তৈরি করতে অনেক কঠিন। কিন্তু যদি তেমন একটা ভালো না হয় তাহলে আবারো ভেঙ্গে নতুন করে তৈরি করা যযাই এইদিকে অনেক সুবিধা আছে।
কাঁদা মাটি দিয়ে দইয়ের চমৎকারভাবে হাঁড়ি তৈরি করেছেন। আসলে আমি ছোট বেলায় এই রকম কাঁদা মাটি দিয়ে মার্বেল তৈরি করেছিলাম বেশ ভালো লাগতো।আর ঐ মার্বেল আগুনে পুড়িয়ে যখন মার্বেল খেলতাম তখন আরো অনেক বেশি ভালো লাগতো আর অনেক মজাও লাগতো। আপনি এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলায় আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মার্বেল তৈরি করতেন শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
দি এর শোবা। বেশ দারুন হয়েছে তৈরি করা। এই মৃত শিল্প গুলো আমি খুব পছন্দ করি। ছোটবেলায় কত আঁকা তৈরি করেছি। মাটি দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর আঁকা তৈরি করতাম। যেন সেই ছোটবেলা খুঁজে পেলাম আপনার এই মৃৎশিল্প তৈরি করতে দেখে।
আমিও অনেক সুন্দর ভাবে আঁকা তৈরি করতে পারি ভাবি
প্রাচীন কালের প্রতিটি মানুষ কাদার তৈরি করা জিনিস পত্র ব্যবহার করতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষেরা আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে সব কিছু পরিবর্তন করে নিয়েছে। যাইহোক, আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কাদা মাটি দিয়ে দইয়ের হাড়ি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা হাড়ি টি অসাধারণ হয়েছে আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রাচীনকালের প্রতিটি মানুষ কাদার তৈরি করা জিনিসপত্র ব্যবহার করত কিন্তু এখন সবকিছুই বদলে গিয়েছে ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু শরীর ভালো না থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা। সুস্থতা হচ্ছে আল্লাহর বড় নেয়ামত। আজকে আপনি দেখতেছি কাদা মাটি দিয়ে সুন্দর দইয়ের হাড়ি তৈরি করেছেন। তবে আগের মানুষ গুলো মাটির তৈরি এই জিনিসপত্র ব্যবহার করতেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে কাদা মাটি দিয়ে দইয়ের হাড়ি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।