হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে পেঁয়াজের কলিও আলু দিয়ে ডিম রান্না রেসিপি শেয়ার করব ।পেঁয়াজের কলি রান্না খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। শীতকালে পেঁয়াজের কুলি হয়তো সবাই রান্না করে থাকি। পেঁয়াজের কলি রান্না খেতে আমার অনেক ভালো লাগে বলে আমি মাঝেমধ্যে রেসিপিটা রান্না করে খেয়ে থাকি ।কিন্তু আজকে একটু ইউনিক ভাবে রান্না করতে ইচ্ছে হলো। তাই ভাবলাম পেঁয়াজের কলি ও আলুর সাথে ডিম দিলে কেমন হয় ।প্রথমে ভাবছিলাম না জানি রান্নাটা খেতে কেমন হবে। যখন রান্নাটা হয়ে গেল তখন খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগছিল। আপনাদের যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে একদিন বাড়িতে রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। রেসিপিটা কেমন লাগে। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক কিভাবে আমি পেঁয়াজের কলিও আলু দিয়ে ডিম রান্নার। রেসিপি তৈরি করেছি।
•••• ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুল••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | পেঁয়াজের কলি | পরিমাণমতো |
২ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
৪ | পেঁয়াজ | তিনটি |
৫ | রসুন | দুইটি |
৫ | হলুদের গুঁড়া | এক চা চামচ |
৫ | ডিম | একটি |
৫ | আলু | একটি |
৫ | সয়াবিন তেল | ২০০ গ্রাম |

প্রথমে আমি পেঁয়াজের কলি আলু একটা ডিম নিয়ে নিয়েছি। আমি এখানে মুরগির ডিম ব্যবহার করেছি আপনারা চাইলে যে কোন ডিম ব্যবহার করতে পারেন ।

এবার আমি আলু ও পেঁয়াজের কলি অনেক সুন্দর ভাবে কেটে নিয়েছি । সাইজ করে কেটে নেওয়ার পর আমি পানি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে অনেকবার ধুয়ে নিব।

এবার আমি পরিমানমতো কাঁচা মরিচ ,পরিমাণমতো পেঁয়াজকুচি ,পরিমাণমতো রসুন কুচি, পরিমাণমতো হলুদের গুড়া,পরিমাণমতো লবণ নিয়ে নিয়েছি ।

এবার আমি কেটে রাখা পেঁয়াজের কলিও আলুর ভেতর পরিমাণমতো কাঁচামরিচ ,হলুদের গুঁড়া, রসুন কুচি পেঁয়াজ কুচি, লবণ দিয়ে দিব ।

এবার আমি সিদ্ধ করার জন্য অল্প একটু পানি দিব ।অনেক সময় পানি না দিলে আলু গুলো তেমন একটা সিদ্ধ হয় না ।

অনেক সুন্দরভাবে আলু পেঁয়াজের কলির সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে ।

এবার আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিব। তেলটা গরম করা হয়ে গেলে ডিম ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিব সাথে অল্প একটু লবণ দিব ।

অনেক সুন্দর ভাবে ডিম ভাজা হয়ে গিয়েছে ।

এবার আমি ভাজা ডিমের ভেতর সিদ্ধ করা আলু পেঁয়াজের কলি দিয়ে দিব ।

এবার আমি অনেকক্ষণ চামচের সাহায্যের নাড়াচাড়ার পর দেখতে পাবেন অনেক সুন্দর ভাবে পেঁয়াজের কলিও আলু দিয়ে ডিম ভাজা হয়ে গিয়েছে ।

রান্না করার পর আমি একটা পাত্রে তুলে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি ।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আল্লাহ হাফেজ...! আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হবে ইনশাল্লাহ ❣️❣️❣️
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | রেসিপি |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।


আসলে এরকম রেসিপি গুলোর শীতের মৌসুমে খেতে খুবই ভালো লাগে। তোমার এই রেসিপি তৈরিতে পেঁয়াজের কলি গুলো কুচি কুচি করে কেটে নেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে সুন্দর এই রেসিপি তৈরি বর্ণনাগুলো খুবই চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছো। দারুন লাগলো তোমার রেসিপি পোস্টটি পড়ে।
শীত আসলে এই রেসিপিটা সবার ঘরেই দেখা যায়। আমাদের ঘরে তো এই রেসিপিটা রান্না করলে অনেক পছন্দ করে। ডিম দিয়ে পেঁয়াজের কলি রান্না করলে গরম গরম ভাতের সাথে অনেক মজা লাগে। আজ আপনার রেসিপিটি দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন। এরকম সবজি জাতীয় রেসিপি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমাদের বাসায় এভাবে রান্না করা হয়েছিল। খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। সুন্দর এই পেঁয়াজকলি আলু ডিম দিয়ে রান্না দেখে ভালো লাগলো, আশা করি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
পেঁয়াজ কলি খুবই সুস্বাদু ও মজাদার একটি সবজি।শীতকালে বেশি পাওয়া যায় এবং তরতাজা ও সুস্বাদু হয়ে থাকে।আপনি চমৎকার সুন্দর করে পেঁয়াজ কলি ওডিম,আলু রান্না করেছেন যা ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী দুর্দান্ত ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
পেঁয়াজের কলি আলু একসাথে রান্না খেয়েছি। তবে পেঁয়াজের কলি আলু এবং ডিম একসাথে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে রান্না করলে যে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হবে সেটা আপনার রেসিপি তৈরি দেখেই বুঝেছি। এ সময় পেঁয়াজের কলি পাওয়া যায়। পেঁয়াজের কলি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।
আপু আপনি পেঁয়াজের কলি ও আলু দিয়ে ডিমের খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। শীতের সময়ে যেকোনো ভাজিতে বেশি করে পেঁয়াজের পাতা দিলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। গরম ভাতের সাথে এই ধরনের ভাজি খেতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া রুটির সাথে খেতেও ভালো লাগে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পেঁয়াজকলি ও আলু দিয়ে মাছ রান্না করে খেয়েছি অনেকবার তবে কখনো ডিম রান্না করিনি।আপনি বেশ সুন্দরভাবেই এই রান্নাটা সম্পন্ন করেছেন। পেঁয়াজকলি নিজেই খেতে এত সুন্দর আশা করি আপনার পদটিও খুব সুন্দর খেতে হয়েছিল। ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের জন্য শেয়ার করে নিলেন বলে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
শীতকালে পেঁয়াজের কলি দিয়ে কিছু রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। আজকে আপনি পেঁয়াজের কলি আলু এবং ডিম দিয়ে মজার রেসিপি করেছেন। এই ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম ভাত এবং গরম ডাল খেতে অনেক মজা লাগে। আবার গরম রুটি দিয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে। মজার রেসিপিটি সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
পেঁয়াজ কলি আমার খুবই পছন্দের। শীতকালে পেঁয়াজকলি দিয়ে যেকোনো রেসিপি রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। পেঁয়াজকলি দিয়ে ছোট মাছ চচ্চড়ি রান্না করলেও খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো ডিম দিয়ে রান্না করা হয়নি। অবশ্যই একদিন রান্না করবো। ধন্যবাদ আপু আলু দিয়ে পেঁয়াজকলি দিয়ে ডিম দিয়ে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পেঁয়াজের কলি আমি অনেক পছন্দ করি। এটি দিয়ে যে সকল রেসিপি তৈরি করা হয় সেগুলো অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আজকে যেভাবে আপনি এই পেঁয়াজের কলি এবং ডিম দিয়ে এত সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷ একই সাথে এভাবে আপনি শেয়ার করেছেন তা খুবই সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয় এবং এখানে যেভাবে আপনি ডেকোরেশনটি শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালোই লাগছে।