হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে সাদিয়ার জীবনের গল্প শেয়ার করব। সাদিয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, পড়াশোনায় অনেক ভালো। সে বাইরে পড়াশোনা করত যখন ইন্টার থার্ড ইয়ারে পড়তো যখন তার বাবা-মা তার পড়াশোনার জন্য টাকা পাঠাতো ।তখন সে অনেক হিসাব করে চলতো কেননা সে জানত তার বাবা কত পরিশ্রম করে তার জন্য টাকা পাঠাই ।সাদিয়া পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনিও করতো। দুইটা বাচ্চাকে সে পড়াতো তার বিনিময়ে যে টাকা পেত তার পড়াশোনার কাজে লাগতো । টিউশনির টাকা সে যত্ন সহকারে রেখে দিত কেননা তার বাবা টাকা পাঠাতে পাঠাতে প্রায় সাত তারিখ হয়ে যেত। আর তার ম্যাচের রুম ভাড়া প্রায় ৫ তারিখের ভেতর পরিশোধ করতে হতো ।সেজন্য সে অনেক সময় টিউশনি টাকাও দিয়ে দিত ম্যাচের রুম ভাড়ার জন্য। মধ্যবিত্ত সন্তানদের বাইরে লেখাপড়া করতে গেলে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। কেননা বাবারা সব সময় তাদের যা প্রয়োজন লাগে টাকা তা দিতে পারে না। যারা বাইরে পড়াশোনা করে তাদের এমন পরিস্থিতি আসে মাস শেষে তাদের কাছে দশটা টাকাও থাকে না।
Source
সাদিয়া একদিন মার্কেটে যায় ফ্লাক্সি দিবে বলে ।তার কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন ছিল। সেজন্য সে ভাবছিল কেনাকাটা করে ফ্লাক্সি দিয়ে বাড়ি ফিরবে ।ফ্লাক্সির দোকানে যেয়ে হঠাৎ নেটওয়ার্কের সমস্যা ।সেজন্য ফ্লাক্সির দোকানদার বলল আপু আপনার নাম্বারটা দিয়ে যান একটু পরে আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি। সাদিয়ার অনেক প্রয়োজন ছিল ফ্লাক্সির দেওয়ার সেজন্য সে কোন কিছু না ভেবেই নাম্বারটা যে ভাইয়ার কাছে দিয়ে আসছিল ।যার কাছে নাম্বারটা দিয়ে আসছিল তার চাচাতো ভাই দেশের বাইরে থাকে। সে তাকে বলছিল একটা মেয়ের নাম্বার দিতে ।মেয়ের সাথে রিলেশন করবে ।রেশন মানে আপনার তো বুঝতেই পারছেন হয়তো ছেলেটা কোন মেয়ের নাম্বার নিয়ে তার সাথে টাইম পাস করবে ।সেজন্য সে নাম্বার চেয়েছিল । ফ্লাক্সির দোকানদার তার চাচাতো ভাইয়ের কাছে সেই নাম্বারটা দেয়। সাদিয়ার কাছে সেই ছেলেটা ফোন দেয় দিয়ে কথা বলে ।কথা বলতে বলতে সাজিয়া সাথে রিলেশনে জড়িয়ে পড়ে ছেলেটি। সাদিয়া ও আস্তে আস্তে ছেলেটাকে ভালোবেসে ফেলে। তখন সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটা সাদিয়াকে বিয়ে করবে ।হয়তো সে অনেক বেশি ভালোবেসেছিল সাদিয়াকে তা না হলে কেউ নিজের চোখে না দেখে কাউকে বিয়ে করতে চায় না ।সাদিয়া সেই ছেলেটা কে কোনদিন দেখেনি ।আবার ছেলেটাও সাদিয়াকে কোনদিন দেখেনি। কেননা ছেলেটা দেশের বাইরে প্রায় পাঁচ বছর ধরে আছে। দেশে এখনো আসেনি। তখন ছেলেটা তার পরিবারের কাছে সাদিয়ার কথা বল এবং আদেশ দেয় সাদিয়ার বাড়িতে যেয়ে সাদিয়াকে আংটি পরিয়ে আসতে ।আংটি পড়ানোর প্রায় দুই বছর পরে সাদিয়ার সাথে ছেলেটার বিয়ে হয়। তাও আবার মোবাইলে ।ছেলেটা দেশের বাইরে থাকে সাদিয়া পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। ছেলেটার আশা ছিল সাদিয়াকে অনেক বড় কিছু করবে ।সাদিয়া ও তার ভালোবাসার মানুষের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য দিনরাত পড়াশোনা করতো ।
Source
সাদিয়া এখনো পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। সাদিয়া দের বিয়ের প্রায় দুই বছর পর সাদিয়ার সেই ভালোবাসার মানুষ দেশে আসে ।যেদিন সেই ভালোবাসার মানুষ দেশে এসেছিল তখন সাদিয়া অনেক অসুস্থ বোধ করছিল ।কেননা সারা দিন সে ফোনে কথা বলতো কিন্তু নিজের চোখে কখনো দেখিনি ।তাই সামনাসামনি যেতে তার কেমন একটা ভয় ভয় লাগছিল। যেদিন দুজনার সামনাসামনি দেখা হয় সেদিন দুজনে অনেক খুশি ।কেন না তারা দুজনা ফোনে কথা বলতো কোনদিন নিজের চোখে দেখা হয়েছিল না। সামনাসামনি তাই যেদিন দেখা হয়েছিল সেদিন দুজনে অনেক আনন্দিত ছিল ।বিয়ের দু'বছর পর যখন ছেলেটা দেশে ফিরে আসে ।তখন ছেলেটা দেখে বুঝতে পারছিল সব মিলিয়ে সাদিয়ার পড়াশোনার একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই সে বেশিদিন দেশে না থেকেই আট মাস পর আবার বাইরে চলে যায় ।এদিকে সাদিয়া পড়াশোনা করে এখন সে তার ভালোবাসার মানুষের স্বপ্ন পূরণ করেছে। সে এখন ডাক্তার, ডাক্তার হতে পেরে সাদিয়া অনেক খুশি ।কেননা সাদিয়া অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছিল। তার বাবা অনেক কষ্ট করে তার পড়াশোনার খরচ চালাত। সাদিয়া ডাক্তার হয়েছে শুনে সাদিয়ার বাবা অনেক খুশি ।সাদিয়ার সাথে যখন ছেলেটার রিলেশন হয়েছিল তখন সাদিয়ার পড়াশোনা করার জন্য যেসব খরচ লাগতো অনেকটাই সাদিয়াকে ছেলেটা সাহায্য করত । বিয়ের পর সব খরচ ছেলেটাই বহন করত। ছেলেটার জন্য হয়তো সাদিয়া অনেক সাহায্য পেয়েছে। তা না হলে তার বাবার পক্ষে ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য এত টাকা খরচ করা সম্ভব হতো না। আশা করি সাদিয়ার জীবনের গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে ।
|
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | vivo y 12a |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।