জেনারেল রাইটিং-সামান্য মিষ্টি কুমড়ার জন্য যখন জীবন দিতে হয়।
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি সামান্য মিষ্টি কুমড়ার জন্য যখন জীবন দিতে হয় এই সত্য ঘটনাটি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি।আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
সামান্য মিষ্টি কুমড়ার জন্য যখন জীবন দিতে হয়:

Source
এই ঘটনাটি একদম সত্য একটি ঘটনা।ঘটনাটিকে ঘিরে অনেক কিছু হয়েছে আমাদের পাশের গ্রামে। যদিও আমি সামনে থেকে দেখিনি তবে।তবে যে ঘটনাটি শুনেছি সেটা শুনে শিহরিত হয়ে উঠেছিলাম।এতটা মর্মান্তিক ছিল ঘটনাটি।এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটছে। সত্যিই খারাপ লাগে এসব ঘটনার কথা শুনলে। সামান্য কিছু নিয়ে যখন অনেক বড় দুর্ঘটনার ঘটে। তখন খুবই ভয় লাগে। তেমনি একটি সামান্য বিষয় নিয়ে পাশের গ্রামে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল।।
ঘটনাটি ঘটেছিল সামান্য মিষ্টি কুমড়া নিয়ে। মিষ্টি কুমড়ার জন্য যে মানুষের জীবন যেতে পারে। সেটা কেউ কখনো কল্পনা করতেও পারবে না। তেমনি একটা ঘটনার গল্প আপনাদের শোনাতে যাচ্ছি। পাশের গ্রামের এক লোক তার তার চাষের ক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়া গাছ লাগিয়েছিল। বেশ ভালোভাবে ক্ষেতের পরিচর্যা করেছিল। তার পাশে আরেকজন তার ক্ষেতেও মিষ্টি কুমড়ার গাছ রোপন করেছিল।
প্রথম লোকটির মিষ্টি কুমড়ার গাছের কিছু অংশ পাশের ক্ষেতে চলে যায়। সেই ক্ষেতে যাওয়া গাছটি মিষ্টি কুমড়া ধরে ও সেটি বড় হয়।কিন্তু যার ক্ষেতে মিষ্টি কুমড়ার গাছসহ মিষ্টি কুমড়া ধরেছিল সেই লোকটি কিছুতেই সে মিষ্টি কুমড়া দিবেনা।কিন্তু যার গাছ সহ মিষ্টি কুমড়া সেও ছাড়বে না।সে বলছে এটা আমার গাছের মিষ্টি কুমড়া।কিন্তু পাশের লোকটি বলছে তোর গাছের তো কি হয়েছে।ধরেছে তো আমার ক্ষেতে। এসব থেকে কথা কাটাকাটি হতে হতে তাদের মধ্যে একসময় মারামারি লেগে যায়।
এমনকি পরিবারের লোকজন দৌড়ে আসে। হাতে যে যা পেয়েছিল সেসব নিয়ে মারামারি শুরু করে। ঘটনা স্থলে একজনের জীবনও চলে যায়।একসময় পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে। মূলত গাছের মালিক যে ছিল সে সেখানেই মৃত্যুবরণ করে।আর বাকি যারা ছিল তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।কারো মাথা ফেটেছে, কারো কপাল ফেটেছে সকলেরই কিছু না কিছু হয়েছে। এক মুহূর্তের মধ্যেই কি থেকে কি হয়ে গেল। যদি তারা ভালোভাবে বোঝাপড়া করে নিত। তাহলে হয়তো বা একটি প্রাণ বেঁচে যেত। এটা থেকে একটাই কথা বলতে চাই। কোন কিছু নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি না করে বোঝাপড়া করাটা সবথেকে বেশি জরুরী। যারই জিনিস হোক না কেন ঝগড়া না করে সমাধান করতে হবে হিংসা বিভেদ না করে। এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
https://x.com/Maria182143171/status/1929044984461930946?t=rhRrGxzE9kgWF2BYeD3T1w&s=19
দিনে দিনে মানুষ হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। তাই হিংসা বিদ্বেষ বেড়ে গেছে। আসলে সামান্য বিষয় নিয়েও তারা ঝগড়াঝাটি শুরু করে। কিংবা অনেক বড় কিছু ঘটে যায়। সবাইকে সাবধান হওয়া উচিত।