ট্রাভেল পোস্ট- "চিড়িয়াখানায় কিছুটা সময়" II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।
.png)
মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে কিন্তু মন্দ হয় না । কারন কোথাও ঘুরতে গেলে মনের সাথে সাথে দেহেও ফিরে আমে প্রাণ চঞ্চলতা আর সতেজতা। তাই তো মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতে চেষ্টা করি। আর এই কারনেই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি একটু ঘুরে বেড়াতে। আর এই কারনেই কিছুদিন আগে আমরা গিয়েছিলাম একটু ঘুরাঘুরি করতে। তাহলে চলুন তো দেখে আসি আমাদের ঘুরাফেরা কেমন হলো।



ছেলেবেলা হতে ঢাকায় বসবাস। কিন্তু তাতে কি? ঢাকার মধ্যেই তো চিড়িয়াখানা অবস্থিত। অথচ এতগুলো বছর পার হয়ে গেল চিড়িয়াখানা আর দেখা হলো না। কিন্তু বেশ কিছু দিন আগে একবার মনে হলো একটু যেয়েই দেখি না কেমন লাগে চিড়িয়াখানা ঘুরে বেড়াতে । যেখানে সব বড় বড় বাঘা বাঘা জীবজন্তুর বসবাস সেই জায়গা কি আর না দেখলে চলে? তাই তো সেদিন একটু চিড়িয়াখানার জীবজন্তু দেখতে বেড়িয়েছিলাম। ওমা আমরা তো আর জানতাম না সেদিন সি এন জি ওয়ালাদের অবরোধ। কারন আমরা নিজেরাই ছিলাম সিএনজিতে। যেই কিনা চিড়িয়াখানার কাছাকাছি চলে আসলাম তখনই আর যেতে পারছিলাম না। প্রায় আধঘন্টা বসে থাকার পর সিএনজি ওয়ালা গাড়ী ঘুরিয়ে আমাদের কে অন্য দিক দিয়ে নিয়ে গেল।


আমরা চিড়িয়া খানায় পৌঁছেই দেখি যে সেখানে বেশ ভিড়। তারপরও আমরা টিকেট করে ভিতরে ঢুকে পড়লাম। বেশ প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে চিড়িয়াখানার ভিতরে। সবুজ গাছ আর ফুল গাছের সমাহার সেখানে। প্রথমে দেখলেই মনে হবে যে এটা কোন ফুলের বাগান। কিন্তু আমরা যখন আস্তে আস্তে ভিতরে প্রবেশ করলাম তখনই দেখতে পেলাম বিভিন্ন রকমের পশুর দেখা। আর সব হলো বাঘা বাঘা জীবজন্তু। একটি কথা না বললেই নয়। আমি কিন্তু আবার জীবজন্তু দেখলে অনেক ভয় পাই। তাই আর সাপের খাঁচার দিকে আমি যাই নি।


গন্ডার, হাতি সব মোটামুটি সব রকমের প্রাণীই আমরা দেখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সব জীবজন্তু দেখার সময় করে আমরা উঠতে পারিনি। কি করে পারবো রাস্তায়ই তো দেরি হয়ে গেছে। যাই হোক যদিও জীবনে গন্ডার দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি সেই কিন্তু সামনা সামনি গন্ডার দেখেছিলাম। সারা জীবন শুনেছি মানুষ মানুষকে বোকার ছলে বলে গন্ডারের চামরা। কিন্তু সেদিন সামনা সামনি গন্ডারের চামড়া দেখলাম সত্যি বেশ মোটা।তারপর দেখলাম মূয়র। বেশ সুন্দর নীল পেখম ওয়ালা ময়ূরগুলো দেখতে কিন্তু দারুন ছিল। এরপর জিরাফ, জেব্রা আর রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখলাম। বেশ দারুন ছিল কিন্তু সামনা সামনী দেখার সময়গুলো।


তারপর আস্তে আস্তে আমরা চলে গেলাম হরিণ দেখার জন্য। সেখানে যেন হরিণের একঝাক পাল রাখা হয়েছে। আমার বেশ ভালো লাগছিল এমন হরিণের পাল দেখে। কি সুন্দর মিল হরিণের পালের মাঝে যা কিনা মানুষের মাঝে নেই। আমি কিন্তু সেদিন সামনা সামিনি এত সব জীবজন্তু দেখে বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম। তবে দুঃখ হলো সব জীবজন্তু আর দেখা হয়ে উঠেনি সেদিন। কারন রাস্তায় দেরি হওয়াতে আমরা সেদিন বেশ দেরি করে সেখানে পৌঁছে ছিলাম। যার কারনে আমাদের ঘুরতে ঘুরতে প্রায় রাত হয়ে যাচিছলো। তাই বাধ্য হয়েই বাসায় ফিরে আসতে হলো।


কেমন লাগলো আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে। আশা করি আপনাদের মন্তব্য দিয়ে ধন্য করবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Vivo y18 |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
লোকেশন | কায়েতপাড়া, বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

চিড়িয়াখানায় ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। আসলে চিড়িয়াখানায় গেলে বিভিন্ন রকমের পশু পাখি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু চিড়িয়াখানায় গেলে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন। হাতে একটু সময় নিয়ে ঘুরলে অনেক জীবজন্তু দেখা যায়। আর চিড়িয়াখানার প্রাকৃতিক পরিবেশে সত্যি অনেক সুন্দর। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু দারুন মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঢাকায় যে এত সুন্দর একটি চিড়িয়াখানা আছে তা আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। চিড়িয়াখানায় গিয়ে বেশ সুন্দর কিছুটা সময় কাটিয়েছেন দেখছি। আসলে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির ভেতর সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। আমিও শীতকালে কলকাতা চিড়িয়াখানায় গিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসি। মানুষের এই বিষাক্ত পরিবেশে থাকতে থাকতে যখন আর ভালো লাগেনা তখন চিড়িয়াখানায় গেলে বেশ ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার আজকের পোস্ট আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগলো। অনেকগুলো প্রাণী দেখতে পেয়েছেন। আমি বেশ কয়েকটা চিড়িয়াখানায় গিয়েছি কিন্তু কোন জায়গায় এমন ভাবে বড় বাঘ দেখিনি। আজকে আপনার পোস্টে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বাঘ থেকে খুবই ভালো লাগলো। অনেকগুলো পশুপাখি আছে দেখছি। খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। তবে সবটা দেখতে পারেননি রাত হয়ে গিয়েছিল। অন্য একদিন আবার যাবেন হয়তো। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মিরপুরের চিড়িয়াখানা আসলেই খুব সুন্দর। আমি তো ছোটবেলায় প্রচুর গিয়েছি সেখানে। কারণ আমার ফুপুর বাসা থেকে হেঁটে চিড়িয়াখানা যাওয়া যায়। যাইহোক হরিণ, জেব্রা এবং জিরাফের ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কই কবে গেলেন চিড়িয়াখানায়? আমাকে তো নিলেন না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে আমারও বেশ যেতে মন চাইছে চিড়িয়াখানায়। ধন্যবাদ আপু আজকের ভ্রমন পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে চিড়িয়াখানা ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। আর আপু চিড়িয়াখানা গেলে জীবজন্তু দেখলে অনেকে ভয় পাই। আমি নিজেও চিড়িয়াখানায় গেলে পশুপাখি দেখলে ভয় পায়। আর চিড়িয়াখানা গেলে সাপের খাঁচার দিকে আমি নিজে যায় না। আর চিড়িয়াখানার মধ্যে গেলে অনেক কিছু দেখা যায় এবং সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।