লাইফ স্টাইল পোস্ট - সোনিয়া আপুর আর্ট করা পেইন্টিং পেয়ে ধন্য হলাম || Written by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো লাইফস্টাইল। আসলে নিজের জীবনের কিছু ঘটনাকে ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে লাইফস্টাইলের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। লাইফস্টাইলের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টটি অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার লাইফ স্টাইল পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।

সত্যি বলতে মাঝে মাঝে মনে হয় আমাকে যদি চাকুরী করতে না হতো। আমি যদি বাসায় থাকতে পারতাম তাহলে হয়তো জীবন টাকে আরও অন্য ভাবে গুছিয়ে নিতে পারতাম। পারতাম মনের মত করে একটু শান্তির ঘুম ঘুমাতে। পারতাম এক কাপ চা হাতে জানালার কিনারে বসে সকালের মিষ্টি রোদে চুপ চুপ করে চা খেতে। পারতাম মনের ইচেছ হলেই যেখানে সেখানে একটু ঘুরে বেড়াতে। আর আমার প্রতিদিনের ভাবনায় এমনটাই থাকে। কিন্তু ঐ যে কপাল বা ভাগ্য বলে তো একটি কথা আছে। চাইলেই সব চাওয়া পূরন হয় না।

আমার বাংলা ব্লগে কমিউনিটিতে এসে পেয়েছি অনেক কিছু। আর সেই সাথে অর্জন করেছি বেশ সুন্দর সুন্দর অভিজ্ঞতাও। তাই তো প্রিয় কমিউনিটির প্রতি রয়েছে এক অন্য রকমের ভালোবাসা। আর এই কমিউনিটির বেশ প্রিয় এক দম্পতি বেশ কিছুদিন আগে আমার বাসায় এসেছিল। ছিল বেশ কিছুদিন। সে সময়ে বেশ ভালোই কেটেছিল দিন গুলো। যা স্মৃতি হয়ে থাকবে অনেক দিন। আর সেই প্রিয় দম্পতি হলো আমাদের সোনিয়া আপু এবং রকি ভাইয়া। তাদের কে পেয়ে আমারও কেন জানি বেশ ভালোই লাগছিল। যদিও ব্যস্ততার মাঝে তাদের কে বেশী সময় দেওয়া হয়ে উঠেনি আমার। তবে যতটুকু সময় দিতে পেরেছি তাতে কিন্তু খারাপও লাগে নি।

সব সময়ই দেখি সোনিয়া আপু বেশ দারুন দারুন পেইন্টিং করে আমাদের মাঝে শেয়ার করে। আর সেই সব পেইন্টিং দেখে কেন জানি বার বার মনে হতো যে এসব পেইন্টিং যদি আমি আমার ঘরের দেয়ালে রেখে দিতে পারতাম তাহলে আমার ঘরটি দেখতে বেশ ভালোই লাগতো। আর এমন ভাবনা কিন্তু আমার বাস্তব জীবনেই কাজে লেগে গেল। মানে সোনিয়া আপু আসার সময় বেশ কিছু পেইন্টিং নিয়ে এসেছে। আমাদের জন্য এবং কুষ্টিয়া বাসির জন্য। তো যেহেতু আমাদের বাসায় আগে উঠেছে তাই আমিই ভাগে আগে ভাগে পেয়ে গেলাম সেই পেইন্টিং গুলোর একটি পেইন্টিং।

সোনিয়া আপু এক ব্যাগ পেইন্টিং আমার সামনে দিয়ে একটি পেইন্টিং তুলে নিতে বলল। আর আমি কোন রকমের চিন্তা ভাবনা না করেই একটি পেইন্টিং তুলে নিয়েছিলাম সেদিন। ভাবলাম যে ভাগ্যে যা হওয়ার হবে। যেটাই উঠুক না কেন সেটাই আমি গ্রহন করবো মন থেকে। কারন গিফট তো গিফটই । তাই চোখ বুঝে তুলে নিলাম একটি পেইন্টিং। তারপর পেইন্টিংটি হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে খুলে নিলাম। বাহ্ পেইন্টিং দেখে তো আমি মুগ্ধ । দারুন পেইন্টিং করে আপু। এমন পেইন্টিং পেলে তো ঘরের চেহারাই পাল্টে যাবে। তাই আমি দেরী না করে যে গিফট পেয়েছি সেটাই ঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে দিলাম। আমার কাছে দেখতে অসাধারন মনে হচিছলো।
মাঝে মাঝে প্রিয় মানুগুলোর কাছ হতে এমন দারুন গিফট পেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। আর সেদিন পেইন্টিং দেখেই বুঝেছি যে আপু কতটা কষ্ট করে এই পেইন্টিং গুলে করেছে। আর সেই পেইন্টিং হতে আমার ভাগ্যেও একটি পেইন্টিং জুটেছে। যা কিনা আমি আমার ঘরের দেয়ালে রেখে দিয়েছি। তাই ধন্যবাদ জানাই আপু কে এমন সুন্দর পেইন্টিং আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের সুন্দর মতামত জানাবেন । আল্লাহ্ হাফেজ।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফস্টাইল |
---|---|
ক্যামেরা | Vivo y18 |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

আপু সত্যি ই খুব চমৎকার আর্ট করেন।আপু ঢাকা এসে আপনার নিজের ইচ্ছে মতো একটি আর্ট আপনাকে নিতে বলল। আর ভাগ্যে তো সুন্দর একটি পেইন্টিং ই উঠলো।ঘরের সৌন্দর্য বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে আশাকরি।আমার কাছে ও ভীষন ভালো লাগলো আর্টটি।সবাই ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমাদের প্রিয় সোনিয়া আপুর কাছ থেকে আপনি দারুন সুন্দর একটি গিফট পেয়েছেন। এবং ছবিটিও অসাধারণ একটি চিত্রপট। রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু আপনার বাড়িতে গিয়ে আতিথ্য গ্রহণ করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। এভাবেই আমরা সকলে মিলেমিশে একসঙ্গে হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
ধন্যবাদ দাদা সব সময় মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
সোনিয়া আপু আসলেই খুব সুন্দর পেইন্টিং করেন। উনি আপনাকে চমৎকার একটা পেইন্টিং উপহার দিয়েছেন। পিছনের পাহাড় গুলো বেশ দারুন এঁকেছেন। ভার্চুয়ালি যাদের সাথে কাজ করি তাদের কাছ থেকে এরকম গিফট পেতে ভালোই লাগে। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য।
সোনিয়া আপুর করা পেইন্টিং গুলো সব সময় বেশ সুন্দর হয়। আর আপনি সেই পেইন্টিং গিফট পেয়েছেন জেনে বেশ ভাল লাগলো। আসলেই একটি সুন্দর পেইন্টিং ঘরের সৌন্দর্য বহুগুন বাড়িয়ে দেয়। বেশ সুন্দর গিফট পেয়েছেন। আর প্রিয়জনদের থাকে পাওয়া গিফট সব সময় স্পেশাল।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সোনিয়া আপুর আঁকা পেইন্টিং সত্যিই চমৎকার আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে পাহাড়ের ব্যাকগ্রাউন্ডটা অসাধারণ শৈলীতে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভার্চুয়াল জগতে একসাথে কাজ করেও যখন এমন মন ছুঁয়ে যাওয়া উপহার পাওয়া যায়, তখন সেটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে। সুন্দর এই মুহূর্তগুলো আমাদের সবার সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর এবং অসাধারণ মন্তব্যের জন্য।
সোনিয়া আপুর পেইন্টিং মানেই দারুণ কিছু। কারণ আপুর প্রতিটি পেইন্টিং জাস্ট অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনি তো দেখছি দারুণ একটি পেইন্টিং উপহার পেয়েছেন আপু। এই পেইন্টিংটা রুমের দেয়ালে লাগিয়ে রাখলে দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগবে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সু্ন্দর মন্তব্যের জন্য।