ট্রাভেল পোস্ট- "জাদুঘরে ঘুরতে গিয়ে ফুচকা আর চটপট্রি খাওয়ার অনুভূতি" II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।
.png)


যেহেতু চাকুরী করি, তাই সপ্তাহের বেশীর ভাগ সময়টাই কাটাতে হয় দৌড় ঝাপ করে। আর যদিও বা একটু ছুট ছাটা পাই তাও কেন জানি আজকাল আর কোথাও বের হতে মনে চায় না। মনে চায় না নিজেকে বিছানা হতে বের করে দাড় করাতে। তাই তো আজকাল ছুটির দিনগুলো কাটে ঘুম আর ঘুমে। তবুও এত ঘুমের মাঝেও আজ একটু গিয়েছিলাম জাতীয় জাদুঘরের দিকে। ভাবলাম জাদুঘরে নতুন কিছু আসছে কিনা দেখে আসি। আর টিকেট করে আমরা ঢুকে গেলাম ভিতরে। যদিও আমরা গিয়েছিলাম বেশ বেলা করে। একেবারে সন্ধ্যায়। আর তাই তো ভিতরে ঢুকে আর তেমন একটা ভালো লাগলো না।


জাদুঘরের ভিতরে বেশ ভিড় ছিল। মানুষে মানুষে সয়লাভ। আর এত গরমের মধ্যে আর গাদাগাদি করে কেন জানি সেখানে থাকতে মনে চাইলো না। আর তাই তো আমরা তড়িঘড়ি করে বের হয়ে আসলাম জাদুঘর হতে। নিজেদের কে একটু খোলা আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে। যদিও এতগুলো মানুষের বেশ কিছু টাকা দিয়ে টিকেট করতে হয়েছে। তবুও একটু খোলামেলা পরিবেশ দরকার এই গরমে। আর আমরা যখন বের হয়ে আসলাম তখ্ন দেখি সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। ততক্ষনে আমাদের বেশ ক্ষুধা লেগে গেছে। তাই আমরা ভাবলাম একটু কিছু খেয়ে নেওয়া যাক। ও আগে থেকে বলে নেই এখানে কিন্তু বেশ মজাদার ফুচকা আর চটপুট্রি পাওয়া যায়।

আসতে আসতে আমরা ফুচকা ওয়ালার দিকে গেলাম। তারপর আমরা ফুচকা মামা কে ্চটপুট্রি আর ফুচকা দুটোই দিতে বললাম। আর বলে দিলাম একটু বেশী করে ঝাল দেওয়ার জন্য। যাতে করে একটু ও আহা করতে পারি। মামা অবশ্য অনেক পড়ে আমাদের কে আমাদের ফুচ্কা আর চটপুট্রি দিয়েছিল। কারন সেখানে বেশ ভিড় ছিল। তারপরও যে আমরা আমাদের পছন্দ মত ফুচকা আর চটপুট্রি পেয়েছি সেটাই কিন্তু অনেক। যদিও এখানকার সব কিছুই বেশ মজাদার। আর দামটাও একটু বেশী।


এরপর পছন্দ মত ঝাল ঝাল খাবার গুলো খেয়ে যখন বিল দিতে গেলাম তখন তো মাথায় হাত। সবকিছুরই বেশ দাম। কারন এখানে তো অনেক মানুষ আসে। আর কেউ দামাদামি করেও না। তারপর আমরা আমাদের বিল মিটিয়ে দিয়ে বাসার দিকে চলে আসলাম।
কেমন লাগলো আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে। আশা করি আপনাদের মন্তব্য দিয়ে ধন্য করবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | Vivo y18 |
পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
লোকেশন | জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

https://x.com/maksudakawsar/status/1911871976051798086
https://x.com/maksudakawsar/status/1911872166519324808
https://x.com/maksudakawsar/status/1911872466944999798
https://x.com/maksudakawsar/status/1911872812408881210
সাথে আমাকে নিয়ে গেলেই তো পারতেন আপু। তাহলে আমিও আপনাদের সাথে ফুচকা এবং চটপটি খেতে পারতাম। বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। দারুন সময় কাটিয়েছেন আপু।
কেমনে নিবো? আপনি তো ঢাকায় এসে আর দেখা দেন না। দেখা দিলে ঠিকই নিয়ে যেতাম।
জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছেন শুনে খুব ভালই লাগছে এবং জাদুঘরে অনেক কিছুই থাকে যা আমরা সাধারণত দেখিনা৷ আর সেখানে প্রাচীন ঐতিহ্য গুলো দেখার মধ্যে একটি আলাদা আনন্দ কাজ করতে থাকে৷ আর আপনি সেখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷