ডাই পোস্ট- রঙ্গিন কাগজ দিয়ে একটি ঘাস ফুলের ফুলদানি তৈরি || made by @maksudakawsar||

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আর তাই তো আবার চলে আসলাম আপনাদের কাছে নতুন করে আরও একটি ব্লগ উপস্থাপন করার জন্য। জ্ঞান অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা এই তিনটি জিনিসের সমন্বয়েই কিন্তু একজন ভালোমানের ব্লগার তৈরি হয় । যার মধ্যে এই তিনটি দক্ষতা যত বেশী বিদ্যমান তিনি ততবেশী ভালো ব্লগার। আর একজন ভালো ব্লগারই পারে প্রতিনিয়ত তার পোস্টের বা লেখার মাধ্যমে পাঠককে আটকে দিতে। এ জন্যই আমাদের প্রত্যেকেরই ‍উচিত ভালো ভালো কিছু কনটেন্ট এর মাধ্যমে নিজেকে ক্রেয়েটিভ করে গড়ে তোলা।

মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। হয়তো তার সেই সকল স্বপ্ন পূরন হয়। আবার কখনও বা হয় না। তবুও মানুষ এগিয়ে যায় সামনের দিকে। এই সব পিছিয়ে পড়া মানুষের ভিড়ে আমিও একজন। জীবনে যখনই কোন কাজ করার ইচেছ জাগে তখনই হয়তো অশুভ কোন সংকেত এসে ভেঙ্গে দিয়ে যায় সেই স্বপ্ন। তারপরও আমি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোর এক পর্যায়ে আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের জন্য আরও একটি ডাই পোস্ট নিয়ে। আশা করি আমার আজকের ডাই পোস্টটি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।

image.png

image.png

image.png

image.png

রঙ্গিন কাগজ দিয়ে
একটি ঘাস ফুলের ফুলদানি তৈরি

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

image.png

রঙ্গিন কাগজ
কাঁচি
আঠা
বোতল
স্কেল
পেন্সিল

রঙ্গিন কাগজ দিয়ে
একটি ঘাস ফুলের ফুলদানি তৈরির ধাপ সমূহ

ধাপ-১

image.png

প্রথমে একটি বোতল কেটে নিয়ে বোতলটির নিচের অংশ টপ বানানোর জন্য সুন্দর করে কেটে নিতে হবে।

ধাপ-২

image.png

image.png

এবার দুই কালার রঙ্গিন কাগজ কেটে গ্লু আঠা দিয়ে বোতলটির চারিধারে সুন্দর করে লাগিয়ে দিতে হবে।

ধাপ-৩

image.png

image.png

এএবার চারকোন করে ছোট করে একটি কাগজ কেটে নিলাম পাতা বানানোর জন্য এবং কাগজটিকে একে একে ভাজ দিয়ে দুটি পাতা বানিয়ে নিলাম।

ধাপ-৪

image.png

এবার দুটি পাতা ও একটি ফুল বানিয়ে বোতলের মধ্যে আঠা দিয়ে পাতা ও ফুল লাগিয়ে একটি টপ বানিয়ে নিলাম।

ধাপ-৫

image.png

এবার একটি রঙ্গিন কাগজ লম্বা করে দু ভাজ করে নিলাম। আর পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে নিলাম।

ধাপ-৬

image.png

image.png

এবার কাগজটিকে কাঁচি দিয়ে পরিমান মত চিকন করে কেটে নিলাম। কাটার পর কাগজটিকে পেচিয়ে সুন্দর করে একটি ঘাসফুল বানিয়ে ফুলদানি বানিয়ে নিলাম।

ধাপ-৭

image.png

image.png

এবার অনেকগুলো ফুল বানানোর জন্য চারকোন ছোট করে কাগজ কেটে নিলাম ও সেটাকে একে একে ভাজ করে কাঁচি দিয়ে ফুল একেঁ নিলাম।

ধাপ-৮

image.png

image.png

image.png

এবার এভাবে কেটে একে একে অনেক কালারের ফুল বানিয়ে নিলাম।

ধাপ-৯

image.png

image.png

এবার ফুলের মাঝে ছোট টিপের মত দেয়ার জন্য কাগজ দিয়ে আরও কতগুলো গোল করে কেটে নিলাম। আর একে একে সবগুলো ফুলের মাঝে বসিয়ে দিলাম।

ধাপ-১০

image.png

এভাবে করে বানিয়ে নিলাম কয়েক কালারের অনেকগুলো ফুল। ফুলগুলো যখন একসাথে করলাম তখন দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল।

ধাপ-১০

image.png

image.png

এবার ফুলগুলো সব এক এক করে আঠার সাহায্যে ঘাসের মধ্যে চারিপাশ সুন্দর করে লাগিয়ে নিলাম। আর এভাবে আস্তে আস্তে সুন্দর একটি ঘাসফুলদানির রূপ দিলাম।

শেষ ধাপ

image.png

এবার ফুলগুলো সব এক এক লাগানোর পর আমরা দেখতে পাবো যে রঙ্গিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি ঘাস ফুলের ফুলদানি তৈরি হয়ে গেছে।

উপস্থাপনা

image.png

আজ এই মূহূর্তে একটিই কথা আমি বলবো যে আমরা চাইলেও আমাদের সব মনের ইচ্ছে পূরন হয় না। কিছু না কিছু অপূর্ণতা আমাদের মাঝেই থেকে যায়। তবুও চেষ্টা করলাম আপনাদের জন্য নতুন কিছু করার। বাকীটা আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারবো ইনশাল্লাহ্।

শেষ কথা

<p সব সময়েই চাই আপনাদের জন্য নতুন এবং ভিন্ন রকমের কিছু পোস্ট তৈরি করে উপহার দিতে। তবে সময় আর সুযোগ দুটোই বড় কঠিন বিষয়। তবুও আজও চেষ্টা করলাম নিজের কিছুটা ক্রেয়েটিভিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। আপনাদের ভালো লাগাই কিন্তুু আমার স্বার্থকতা।

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

image.png

Screenshot_1.png

Sort:  
 last year 

আসলে আপু আমাদের সব ইচ্ছে পূরণ হয় না, কিছু না কিছু অপূর্ণতা থেকেই যায় কথাগুলো ঠিকই বলেছেন। আপনার উপরের লেখাগুলো পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ।আজ রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি আপনার ঘাস ফুলের ফুলদানি টি সত্যি চমৎকার হয়েছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ।তবে টাইটেলে লেখা রয়েছে ঘাসফুলের ফুলদানি, আবার ভেতরে এক জায়গায় লিখেছেন দেখলাম পদ্ম ফুলের ধাপসমূহ । একটু ঠিক করে নেবেন । সবকিছু মিলিয়ে আপনার পোষ্টটি চমৎকার ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি ঠিক করে দিয়েছি পোস্টটি।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 
 last year 

আসলে আপনারা আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর ডাই পোস্ট শেয়ার করেন আসলে এইসব পোস্ট দেখে আমাদের সবার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে আমার বাংলা ব্লগে প্রায় প্রতিটি সদস্যই বিভিন্ন রকম ইউনিক টাইপের ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। এছাড়াও আজকে আপনার ডাই পোস্টটি এক কথায় অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ক্রিয়েটিভ ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

দাদা অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 last year 

আপু এমন সুন্দর একটি পোস্ট দেখে কিন্তু চোখ ফেরাতে পারছি না। জাস্ট অসাধারণ হয়েছে আপনার আজকের পোস্টটি। খুব সুন্দর করে আপনি আজরেক ডাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শত ব্যাস্ততার মাঝেও যে সময় দিয়ে এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সেটাই কিন্তু অনেক। ‍ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

কি করবো বলেন আপু? সবাই কে দেখি প্রতিদিন নতুন নতুন ক্রেয়েটিভ পোস্ট শেয়ার করে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

দেখেই বোঝা যাচ্ছে কাজটা করতে আপনার অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। তবে খুব সুন্দর হয়েছে ঘাসফুলের ফুলদানিটি। অনেক রকমের ফুল দিয়ে তৈরি করেছেন দেখে বেশি আকর্ষণীয় লাগছে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে সুন্দর এই ডাই প্রোজেক্টটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

অনেক সময় মানে তিন দিন লেগেছে আমার কাজটি করতে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 last year 

ভালো ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ মানেই একজন মানুষের গুণের বহিঃপ্রকাশ। আপু আপনার পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার তৈরি করা ফুলদানি এবং ফুলগুলো দুর্দান্ত হয়েছে দেখতে। চমৎকার ছিল আপনার পোস্ট। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

আমাদের জীবনের যেকোনো অশুভ সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোটা সত্যি দারুন একটা বিষয়। আপনার প্রথম দিকের লেখাগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আর আপনার তৈরি করা ঘাস ফুলগুলো অসাধারণ লাগছে দেখতে। বিশেষ করে বিভিন্ন কালার পেপার ব্যবহার করে তৈরি করার কারণে খুবই আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে। খুব সুন্দর ভাবে জিনিসটা তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 last year 

চমৎকার একটি ডাই প্রজেক্ট শেয়ার করেছেন। ফুল গুলো দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগতেছে। এধরনের তৈরি জিনিস গুলো ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রাখলে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। আপনার কাজ দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

বেশ অনেক সুন্দর ঘাসফুল তৈরি করে দেখিয়েছেন আপু। আপনার চমৎকার এই ঘাসফুল তৈরি করতে দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। রঙিন কাগজ দিয়ে এমন সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করলে সত্যি খুবই ভালো লাগে দেখতে। এমন সুন্দর প্রতিভা আমাদের মাঝে প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।