আমার বাংলা ব্লগের প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা, প্রতিদিনের মতো আজকে নতুন আরো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সবার মাঝে। আজকের এই পোস্টটিও হচ্ছে একটি ডাই পোস্ট। যা তৈরি করেছিলাম গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে। আসলে আমার বাবা ইন্তেকাল করেছেন আজ ১১ দিন হয়। তারপরেও নিজেকে কেমন যেন মানিয়ে নিতে পারছি না এখনো। এতদিন আমার বাবা বটবৃক্ষের মতো আমাকে ছায়া দিয়ে রাখতেন। কোন প্রকারের সমস্যা আমাকে ধরতে পারতো না। সবকিছুই আমার বাবা একা নিজ হাতে হ্যান্ডেল করতেন। আর সেই বাবা চলে যাওয়ার জন্য আজ সমস্ত কিছুই আমার কাঁধে এসে পড়েছে। আমি আমার বাবাকে আরো ভুলতে পারছি না বাবার শেষ সময়টুকু স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমার সাথেই কাটিয়েছিলেন। যদিও মাঝখানে দুইদিন আমি ঢাকায় এসেছিলাম। কিন্তু আমার বাবা প্রতিনিয়ত আমার সাথে মোবাইলে কথা বলে হাসাহাসি করতেন। আর বাবার কথা বেশি মনে পড়ার জন্য আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ভাবে মনটাকে ধরে রাখতে পারছি না। তারপরেও চেষ্টা করছি নিয়মিত পোস্ট করে আপনাদের সাথে একটিভ থাকতে। যাইহোক আজকের এই ঘর সাজানোর মত ফুলটি তৈরি করার পর আমার কাছে ভালোই লেগেছিল। আমার বিশ্বাস এই ফুলটি দেখার পরে আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে আজকের এই সুন্দর ঘর সাজানোর মতো ফুলটি তৈরি করেছিলাম।

গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে সুন্দর একটি ঘর সাজানোর মতো ফুল তৈরি

আমি গ্লিটার ফোম সিট দিয়ে কিভাবে সুন্দর একটি ঘর সাজানোর মতো ফুল তৈরি করেছিলাম তা ধাপে ধাপে আপনাদের মাঝে এখন উপস্থাপন করলাম।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

১। গ্লিটার ফোম সিট।
২। কেচিঁ।
৩। স্কেল।
৪। গ্লু গান ।
৫। পুরনো কানের দুল ।

প্রথম ধাপ

প্রথমে আমি একটি এ ফোর সাইজের গ্লিটার ফোম সিট থেকে ২.৫ সেন্টিমিটার বাই ৪ সেন্টিমিটার করে ১২ টুকরো।
২ সেন্টিমিটার বাই ৩ সেন্টিমিটার করে ১২ টুকরো। এবং ১ সেন্টিমিটার বাই ২ সেন্টিমিটার ১২ টুকরো গ্লিটার ফোম সিট কেটে নিলাম। এবং প্রত্যেক টুকরোকে মাঝখান দিয়ে ভাজ করে কোনাগুলো কেচিঁ দিয়ে কেটে পাপড়ির আকৃতি করে নিলাম। যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন। তবে আপনাদের বোঝানোর জন্য শুধুমাত্র একটিভ পার্ট এর কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। বাকি সবগুলোই গ্লিটার ফোম সিটের কার্যক্রম একই।

দ্বিতীয় ধাপ

এবার পাপড়িগুলোর চওড়া পাশে গ্লুগানের সাহায্যে গ্লু লাগিয়ে গোলাকার করে নিলাম। যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।

তৃতীয় ধাপ

এবার পাপড়িগুলোর গোলাকার করা অংশে কেচিঁ দিয়ে কেটে সুচালো করে নিলাম। যেন গ্লু গানের সাহায্যে একটার সাথে আর একটা লাগানোর পরে গোলাকার হয়ে যায়। যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।

চতুর্থ ধাপ

এবার প্রত্যেকটা পাপড়ি একটি সাথে আরেকটি গ্লু গানের সাহায্যে লাগিয়ে গোলাকার করে নিলাম। যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।

পঞ্চম ধাপ

এভাবে তৈরি করা তিনটি পার্ট গ্লু গানের সাহায্যে গাম লাগিয়ে একটির সাথে আরেকটি জোড়া লাগিয়ে দিলাম।যেমনটি আপনারা দেখতে পারছেন।

সর্বশেষ ধাপ-

সর্বশেষ ধাপে এসে ফুলটি ঠিক মাঝখানে পরিত্যক্ত একটি কানের দুল গ্লু গানের সাহায্যে লাগিয়ে দিলাম। আর এর মাধ্যমেই ঘর সাজানোর মতো ফুলটি তৈরির শেষের ধাপে এসে পৌঁছাইলাম।

উপস্থাপন

আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন💖