ভ্রমন পোস্ট- সুবর্ণগ্রাম ভ্রমনের ষষ্ঠ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার ভ্রমণ পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে। আজ আমার ভ্রমণ পোস্টের বিষয় হলো সুবর্ণগ্রাম ঘুরতে যাওয়ার ষষ্ঠ পর্ব নিয়ে।
Banner credit --@mahfuzanila
Canva দিয়ে তৈরি
আমার পোস্টগুলো আপনাদের ভাল লাগে বলেই রোজ রোজ কোনো না কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হই। আমার ব্লক গুলোর মাঝে আপনাদের মনমুগ্ধকর মন্তব্য পেয়ে প্রচুর উৎসাহ পাই নতুন ব্লক রেডি করার।ভাবছিলাম আজ আপনাদের মাঝে কি শেয়ার করা যায়। আজ কতদিন ধরে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করা হয় না।ভাবছেন নতুন কোন জায়গার ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম কিনা। নারে ভাই নতুন অনেক জায়গায় গিয়েছি। তবে নতুন জায়গার আগে পুরনো ভ্রমণ পোস্টগুলো তো শেষ করতে হবে।
আমি সেই সুবর্ণ গ্রামের কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছি। আর বাকি পোস্টগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারিনি। তাই ভাবলাম আগে পুরনো ভ্রমণ পোস্ট শেষ করি। কারণ এত কষ্ট করে ফটোগ্রাফি গুলো করে মোবাইল থেকে ফেলে দিব তাও নিজের কাছে খারাপ লাগে। আমি এর আগে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ পোস্টের পঞ্চম পর্ব পর্যন্ত শেষ করেছিলাম। আজ নিয়ে এসেছি এর ষষ্ঠ পর্ব। তবে খুব তাড়াতাড়ি আমি সুবর্ণগ্রামের ভ্রমন পোস্টি শেষ করে আবার নতুন জায়গার ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হব। তাহলে চলুন দেখে আসি ষষ্ঠ পড়বে সুবর্ণগ্রামে আমরা কি কি উপভোগ করেছিলাম।
আসলে সুবর্ণ গ্রামের লেক এত বড় ও সুন্দর। আমি শুধু দেখেই ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম। আর তার মাঝে পুরো লেকের মধ্যে স্পিড বোর্ড দিয়ে সবাই ঘুরছে ও আনন্দ করছে। আর স্প্রিট বোর্ডের ঢেউয়ে পানিগুলো যেন ঢেউয়ের দোল খাচ্ছে। দেখতে অপূর্ব সুন্দর লাগছে। আর এই দৃশ্য দেখে সেখান থেকে কিছুতেই অন্য কোথাও যেতে মন চাইছিল না। তারপরও তো যেতে হবে। তারপর যেতে যেতে আমরা হাটতে থাকলাম। দেখছি, সুবর্ণগ্রামে রাস্তা দিয়ে কি সুন্দর রেল গাড়ির মতো একটি অটো দিয়ে সবাই সুবর্ণগ্রাম ঘুরে দেখছে।
তারপর আমরাও হাঁটতে হাঁটতে সুইমিং পুল এর সামনে গেলাম। সুইমিংপুল এর কাছে গিয়ে দেখি, সুইমিং পুলে নামতে হলে জনপ্রতি ৩৫০ টাকা করে টিকেট কাটতে হবে। তাহলে সুইমিং পুলের ভিতরে যেতে দিবে। কিন্তু আমরা সুইমিং পুলে নামার জন্য কোন প্রিপারেশন নিয়ে যায়নি। কিন্তু সুইমিংপুলে না নামলে কিভাবে সেখানের ফটোগ্রাফি করব। তাই আমাদের সাথে দুজন ছেলে মানুষ ছিল তারা সুইমিং পুলে নামলো। আর কিছু ফটোগ্রাফি করলো। এবার সেখান থেকে আবার বেরিয়ে পড়লাম।ও তার আশেপাশে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
এরপর হাঁটতে হাঁটতে খিদে লেগে গিয়েছিল। আমরা যদিও চোখের কাছে যেটা দেখছি সেটাই খাচ্ছি। কিন্তু আরেকটু সামনে গিয়ে দেখলাম নানারকম পিঠা বানাচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখলাম কি কি পিঠা বানাচ্ছে। তখন কতগুলো ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আর পিঠার অর্ডার দিয়ে বসে গেলাম পিঠা খাওয়ার জন্য। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার অনেক সুব্যবস্থা আছে। তবে আমরা যা খেয়েছি এগুলোর ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গিয়েছিলাম। তোর খাওয়া দাওয়া করছিলাম আর একটু রেস্ট নিচ্ছিলাম। কারণ সুবর্ণগ্রাম অনেক বড় একটি জায়গা ঘুরে আর হেঁটে শেষ করা যায় না।এরপর ভাবছিলাম এখন একটু রেস্ট নেবো আর এই পড়বে যেখানে সমাপ্তি করব। ও সুবর্ণগ্রামের পরের পর্বটি আগামী সপ্তাহে আবার আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হব।
আজ তাহলে আমার সুবর্ণ গ্রামের ভ্রমণ পোস্টটির ষষ্ঠ পর্ব এখানে শেষ করছি। আগামী পর্ব নিয়ে আগামী সপ্তাহে ইনশাল্লাহ্ আবার চলে আসব। সে পর্যন্ত আমার সপ্তম পর্ব দেখার জন্য আপনাদের সবার অপেক্ষা করতে হবে। এ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।
https://x.com/mahfuzanila94/status/1883508483154395502
সুবর্ণগ্রাম ভ্রমণের পোস্ট আজকে অনেকদিন পর পেলাম। যদিও বা এর আগে পাঁচটি পর্ব শেয়ার করেছিলেন। এই পর্বটাও দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু। তবে সুইমিং পুলের টিকিটটা আমার মনে হয় একটু বেশি দাম নিয়েছে। যাইহোক সেখানে যে এত চমৎকার পিঠা পাওয়া যাবে এটা তো আপনার পোস্ট না পড়লে অজানাই থেকে যেতাম। পুরো পোস্ট জুড়ে সুবর্ণগ্রাম ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্বটি খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবো।
হ্যাঁ ভাইয়া সব রিসোটে দেখেছি সুইমিংপুলের টিকিটের দাম বেশি রাখে।
আমি এর আগে যেন দেখেছিলাম সুবর্ণগ্রাম ভ্রমণের বেশ কয়েকটা পোস্ট কে কারা যেন শেয়ার করেছেন। আজকে আপনি সেখানে ভ্রমণ করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন চমৎকার এই স্থানটা। মাঝেমধ্যে এমন সুন্দর সুন্দর পার্ক গুলো ভ্রমন করলে অনেক কিছু দেখতে পারা যায় এবং ভালো লাগে।
আমি এর আগে কয়েক পর্ব শেয়ার করে থেমে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
বর্তমান পার্ক গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় বিষয় সুইমিংপুল। সেখানে জনপ্রতি 500 করে টাকা নেয়। অনেকে সেখানে আনন্দ করে। কিন্তু এই আনন্দটা আমার কাছে একদম অগ্রহণযোগ্য। যাহোক এরপরে পিঠা বানানোর মুহূর্ত টা বেশ ভালো লাগলো। সেখানে অনেক কিছু ব্যবস্থা রয়েছে যা কিনে খাওয়া যায়। সব মিলে বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম সুবর্ণগ্রাম পার্ক সম্পর্কে।
হ্যাঁ ভাইয়া সুইমিংপুলে জন প্রতি বেশী টাকা নেয় এটা আমার ভালো লাগেনা।
ইস্ আমার মোবাইলটা হারিয়ে যাওয়াতে এমন দারুন ফটোগ্রাফি গুলোও হারিয়ে গেছে। তাই তো আজ আপনার পোস্ট দেখে শুধু মায়াই হচ্ছে। যাই হোক খুব সুন্দর করে আপনি সেদিনের কথা গুলো তুলে ধরেছেন। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এমন দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আফসোস করবেন না আপু। আবার আমরা যাব সবাই মিলে।
যদিও আপনার এই ভ্রমণের আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি তবে এই পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। আর সাথে মজার মজার পিঠা দেখে তো ভীষণ লোভ লেগে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ভ্রমণের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
সেখানে গেলে পিঠার পাশাপাশি আরো অনেক কিছু দেখলে আপনার ভালো লাগবে।
আপনি তো দেখছি সুবর্ণগ্রাম ভ্রমনের ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করে ফেলেছেন। সুবর্ণগ্রাম রিসোর্টটি খুব সুন্দর। বিশেষ করে লেকটা দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। তবে সুইমিংপুলে নামা হয়নি সেখানে। শুধুমাত্র একবার গিয়েছিলাম সেখানে। ইচ্ছে আছে আবারও সুবর্ণগ্রাম রিসোর্টে যাওয়ার। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মত আমারও ইচ্ছে আছে আরেকবার ঘুরতে যাওয়ার। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
সুবর্ণগ্রাম রিসোর্ট ভ্রমনের আজকের পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। সুবর্ণ গ্রামে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পিঠা দেখে তো ভীষণ লোভ লেগে গেলো খাওয়া জন্য। সময় গুলো বেশ ভালো কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া এটি এমন একটি রিসোর্ট যেখানে সময় গুলো সুন্দর কেটেছে।