রেসিপি পোস্ট- বুটের ডাল দিয়ে মুরগির কলিজা গিলা ভূনা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। সবাইকে রমজানের মোবারকবাদ জানিয়ে আজকে আপনাদের সবার মাঝে আবারো হাজির হলাম। আশা করছি আমাদের সবার পরিবার পরিজন ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে রোজা গুলো অনেক ভালো কাটবে এবং সবাই সুস্থ ভাবে রোজাগুলো ঈমানের সাথে পালন করতে পারবো। সবাই সবার জন্য এই দোয়াই করছি। আজ আমি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার রেসিপি পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।
আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার রেসিপি পোস্ট থেকে আরো একটি নতুন রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমরা কিন্তু বুটের ডাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গোস্ত অথবা খাসির চর্বি অথবা মুরগির কলিজা গিলা রান্না করে খেতে অনেক পছন্দ করি। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে মুরগির কলিজা গিলা দিয়ে বুটের ডালে দারুন মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে চলে এলাম। আমি কিন্তু এই ধরনের রান্না গুলো খেতে অনেক পছন্দ করি। বেশ কিছুদিন যাবৎ মুরগির কলিজা গিলা গুলো জমিয়ে রেখেছি। আমি সবসময় মুরগির কলিজা গুলো জমিয়ে একসাথে অনেকগুলো হলে এভাবে রান্না করে খাই। আজ যখন রোজার জন্য মুরগি কিনে আনলো তখন এগুলোর সাথে আগে ফ্রিজে জমিয়ে রাখা আরও মুরগির কলিজা গিলা গুলো দিয়ে এই রেসিপিটি রান্না করেছি। হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা কিন্তু প্রতিদিন খাবারের রেসিপির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মজাদার ও নতুন নতুন রেসিপি রাখতে অনেক পছন্দ করি। এতে করে আমাদের খাওয়ার স্বাদগুলোও বেড়ে যায় আর সাথে পরিবারের সবাই কিন্তু নতুন রেসিপি দেখলে অনেক খুশি হয়। আর এই ধরনের রেসিপি গুলো যেমন মজা লাগে গরম গরম ভাতের সাথে খেতে তেমনই ভালো লাগে রুটি পরোটা অথবা তন্দুর রুটি 🍞 দিয়ে গরম গরম খেতে। আজ আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এ রেসিপিটি অনেক ভালো লাগবে।






প্রয়োজনীয় উপকরণ

উপকরণ | পরিমাণ |
---|
মুরগির কলিজা গিলা |পরিমাণ মতো
বুটের ডাল| হাফ কেজি
আলু | ২৫০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণ মতো
কাঁচামরিচ | পরিমাণ মতো
শুকনা মরিচ গুঁড়া| পরিমাণ মতো
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো
আদা রসুন বাটা | পরিমাণ মতো
ধনেপাতা কুচি | পরিমাণ মতো
দারচিনি | পরিমাণ মতো
এলাচ| পরিমাণ মতো
গোলমরিচ | পরিমাণ মতো
লবঙ্গ| পরিমাণ মতো
তেজপাতা | পরিমাণ মতো
লবন | পরিমাণমতো
তেল | পরিমাণমতো
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে চুলায় প্যান্ট বসিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়ে পেঁয়াজ কুচিগুলো যখন একটু লাল হয়ে আসলো তখন তার মধ্যে দারচিনি এলাচ গোলমরিচ ও তেজপাতা দিয়ে সবগুলো একসাথে একটু ভেজে নিলাম।

ধাপ ২ :
এবার এবার ভেজে নেও পিঁয়াজ ও দারচিনি মসলা গুলোর মধ্যে এক এক করে আদা রসুন বাটা হলুদ গুঁড়া মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে তার মধ্যে একটু পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মসলা গুলো লাল লাল করে কষিয়ে নিলাম।

ধাপ ৩ :
এবার কষিয়ে নিয়া মসলা গুলোর মধ্যে মুরগির গিলা মাথা ও গলাগুলো দিয়ে মসলার সাথে নাড়া দিয়ে মিক্স করে নেরে দিলাম এবং প্যানটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে গিলা মাথা গলাগুলো মসলার সাথে একটু কষিয়ে নিলাম।

ধাপ - ৪ :
এরপর দিলাম আশা ও কলিজা গুলো একটু কষে এলে তার মধ্যে মুরগির কলিজা গুলো দিয়ে দিলাম মুরগির কলিজা গুলো নরম তাই এর জন্য একটু পরে দিয়েছি। এরপর সকল উপকরণগুলো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার জ্বালে রেখে অনেকক্ষণ কষিয়ে নিলাম।

ধাপ - ৫ :
এবার মুরগির কলিজা গিলা মাথা গুলো ভভালোমতো কষে এলে তার মধ্যে ফ্রিজ থেকে বের করে রাখা বুটের ডালগুলো দিয়ে সবগুলো উপকরণ একসাথে মিক্সড করে নেড়ে দিলাম।

ধাপ - ৬ :
এবার মুরগির কলিজা গিলাগুলোর মধ্যে সিদ্ধ করে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিলাম প্রথমে ভেবেছিলাম আলু দিব না পরে বাসার সবাই যেহেতু আলু 🥔 পছন্দ করে তাই কিছু আলু কেটে সিদ্ধ করে তার মধ্যে দিয়ে দিলাম এবং সবগুলো উপকরণ কষিয়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম।

ধাপ - ৭ :
এরপর চুলার জ্বালের মধ্যে তরকারিটি অনেকক্ষণ রান্না করে তার মধ্যে কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ চুলায় জ্বালে রেখে রান্না করলাম।

শেষ-ধাপ -
এবার তরকারি গুলোর নামানোর কিছুক্ষণ আগে তার মধ্যে ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিলাম। আর আরো দুই এক মিনিটের মত রেখে যখন দেখলাম রান্নাটি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে তখন গরম গরম পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নিলাম।

ফাইনাল আউটপুট

বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের রেসিপিটি? আমি কিন্তু বেশ মজা করে খেয়েছি। আশা করি আপনার আমার মত এমন করে রান্না করে বাসা খেয়ে দেখবেন। আজান নয় সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।




বুটের ডাল দিয়ে হাড় মাংস চর্বি কিংবা এভাবে গিলা কলিজা দিয়ে যখন রান্না করা হয় তখন খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এমনিতেই রান্নার স্বাদে অনেকটা ভিন্নতা চলে আসে। মাংস খেতে খেতে যদি এভাবে কখনো ট্রাই করা হয় তখন খুবই ভালো লাগে। দারুণ একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। অনেক দিন এভাবে খাওয়া হয় না।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সঠিক বলেছেন আমরা ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের রেসিপিগুলি টেস্ট করতে ভীষণ ভালোবাসি। বিশেষ করে আমার কাছে তো দারুন লাগে। বুটের ডাল দিয়ে মুরগির কলিজা এবং গিলা দিয়ে মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রিসিপির ফাইনাল আউটপুট খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। মনে তো হচ্ছে খেতে ভীষণ স্বাদ হয়েছিলো। মজাদার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মুরগির কলিজা ভুনা রেসিপি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরি করা যায়। আপনি একদম ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে বুটের ডাল দিয়ে মুরগির কলিজা গিলা ভূনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মুরগির মাংস আলু দিয়ে রান্না করে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপু আপনি বুটের ডাল দিয়ে মুরগির কলিজা ও গিলা ভুনা করেছেন। এভাবে কখনো মুরগির মাংস রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বেশ সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। বুটের ডাল দিয়ে মুরগির কলিজা ভুনা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রেসিপিটা খেতে রুটি পরোটা অথবা তন্দুর রুটি দিয়ে গরম গরম খেতে ভালো লাগে ধন্যবাদ ভাইয়া ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই মজাদার রেসিপিটা যে দেখবে তারই জিভে জল চলে আসবে। আপনি আজকে যে রেসিপিটা তৈরি করেছেন এটা আমার অনেক ফেভারিট। কয়েকদিন আগেও এই মজাদার রেসিপিটা আমার খাওয়া হয়েছিল। আর এখন তো আপনার কাছে দেখে আবারো খেতে ইচ্ছে করছে। এই রেসিপিটা যারা তৈরি করতে পারে না, তারা সহজে আপনার উপস্থাপনা দেখে তৈরি করে নিতে পারবে।
ধন্যবাদ আপনর মন্তব্যের জন্য।
এরকম রেসিপি গুলো মাঝেমধ্যেই তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনি খুবই লোভনীয় ভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন। রেসিপিটা দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই দারুণ লেগেছে। এরকম রেসিপি একটু ঝাল ঝাল করে রান্না করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। এই রোজার সময় রেসিপি টা দেখিয়ে আপনি তো অনেক লোভ লাগিয়ে দিলেন।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।