লাইফ স্টাইল- প্রিয় নাশিয়া কে নিয়ে বাড়ীর ছাদ বাগানে ঘুরাঘুরি

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।

প্রতি সপ্তাহেই চেষ্টা করি সবার মত করে একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। আজও তাই একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। অনেক মানুষের মনে অনেক ধরনের সখ থাকে। সবার মত আমারও কিছু নিজের মত করে সখ আছে। যার মধ্যে একটি হলো বাগান করা। তাই তো আমি নিজেই আমাদের বাসার করিডোরে নিজের মত করে একটি বাগান গড়ে তুলেছি। তবে আমাদের বাসার পাশাপাশি আমাদের বাড়ীর ছাদেও একটি বাগান আছে। যেটা কিনা আমাদের বাড়ীর বাড়িওয়ালার। সেই বাগানে কেউ সহজে যেতে পারে না। তবে সেদিন আমি কিন্তু কিছু সময়ের জন্য নাশিয়া কে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আর আজ সেই অনুভূতিই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। তাহলে চলুন দেখে আসি সেদিন ছাদ বাগানে নাশিয়া কে নিয়ে কি করলাম।

image.png

আপনারা সবাই জানেন যে কিছুদিন আগে আমাদের কমিউনিটির রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিল। মানে মাকসুদা কাউছার আপুর বাসায়। তো ভাইয়া আর আপুর একমাত্র মেয়ে নাশিয়া কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ই আমার সাথেই ছিল। নাশিয়া বেশ দুষ্টু। কথায় কথায় বায়না ধরে। আমার বেশ ভালো লেগেছে নাশিয়াকে। তো সেদিন বেশ কান্নাকাটি করছিল। আর ওর কান্না থামানোর জন্যই আমি ওকে নিয়ে বাড়ীর ছাদ বাগানে গিয়েছিলাম যেন ওর কান্না কিছুটা থামে। কিন্তু ছাদ বাগানে যাওয়ার জন্য বাড়ীওয়ালীর পারমিশনও আনতে হয়। তাই অনেক কষ্টে বাড়ীওয়ালীর পারমিশন নিয়ে আমি নাশিয়া কে নিয়ে ছাদ বাগানে ঘুরতে যাই। কিন্তু বেশ চিন্তায় ছিলাম নাশিয়া না আবার বাগানের কিছু ছিড়ে দেয়।

image.png

image.png

তবে নাশিয়া আমার সব ভাবনা কে তুরি দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে ছাদ বাগানে গিয়ে বেশ লক্ষী হয়ে গেল। সে এদিক সেদিক দৌড়ঝাপ করতে লাগলো। আর খেলাধুলা করতে লাগলো বাগানের আড়ালে। আমি ভাবলাম ও খেলাধুলা করুন আর আমি সেই ফাঁকে বাগানের কিছু ফটোগ্রাফি করে নেই। যে ভাবনা সেই কাজ। আমি তো বাগানের ফটোগ্রাফি করলাম, সেই সাথে আমি বাগানেরও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। এত সুন্দর একটি বাগান তার মধ্যে ঘুরাফেরা করে আনন্দ উপভোগ করবো কিন্তু ফটোগ্রাফি করবো না সেটা কি করে হয়।

image.png

image.png

image.png

বাগানে বেশ সুন্দর করে লাগানো আছে
কিছু ফলের গাছ। যে গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে পেয়ারা আর আমরা। গাছের মধ্যে ঝুলে থাকা পেয়ারা আর আমরা দেখে তো আমার বেশ খেতে মনে চাইছিল। কিন্তু বাড়ীওয়ালীর ভয়ে আর খাওয়া হয়ে উঠিনি। আর অন্য দিকে নাশিয়া বার বার এমন তাজা ফলগুলো দেখে খাওয়ার জন্য সেদিকে যাচ্ছিলো। আমি তো ওকে সামলাতেই বেশ হিমশিম খাচ্ছিলাম। সেই সাথে গাছে ঝুলে থাকা এমন টাটকা পেয়ারা আর আমড়া দেখে আমি লোভেও পড়ে গিয়েছিলাম। বাড়ীওয়ালীর হাতে জোস আছে বলতে হয়। যার কারনে তিনি এমন ফল গাছের মালিক হতে পেরেছে।

image.png

image.png

তারমধ্যে আমার নজর আরও কেটেছে গাছে ঝুলে থাকা সবজি গুলো। সত্যি বলতে বাজার থেকে সবজি কিনে খাওয়া হলেও তেমন কোন স্বাদ পাওয়া যায় না। কিন্ত বাড়ীওয়ালীর ছাদ বাগানে যেভাবে পেপে, কুমড়ো, শিম আর শিমের ফুল হয়ে আছে তা দেখে তো আমি নিজেও অবাক। মনে মনে ভাবছি আমার যদি একটি বাড়ী থাকতো তাহলে আমিও এমন একটি ছাদ বাগান করতে পারতাম। যেখানে থাকতো হাজারও ফুল ফল আর সবজির সমাহার। আর মজা করে করে সে গুলো আমরা খেতাম। তো যাই হোক বেশ কিছু সময় সেই সবজি গুলো দেখছিলাম আর আফসোস হচিছলো। যদিও নাশিয়া বেশ দুষ্টুমিও করছিল। আমার কিন্তু নাশিয়ার দুষ্টুমিও বেশ ভালো লেগেছিল।

image.png

image.png

তবে বাড়ীওয়ালীর ছাদ বাগান কিন্তু বিশাল। সেখানে রয়েছে সবজি বাগান, ফলের বাগান আর বিশাল সৌন্দর্যও বটে। যা দেখে আমি আর নাশিয়া দুজনেই বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম। আর বাগানের মাঝে দৌড় ঝাপ করে আমাদের প্রিয় নাশিয়ারও কান্না থেমে গিয়েছিল। আমি আর নাশিয়া বেশ কিছু সময় বাগানে খেলাধুলা করে পরে নিচে নেমে আসি। কিন্তু আফসোস হলো আমরা সেই বাগান থেকে একটি ফলও খেতে পারিনি। হি হি হি

কেমন হয়েছে আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্টটি? আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার পোস্টটি পড়েও অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন। আগামীতে আবার নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো ইনশাল্লাহ। আল্লাহাফেজ।

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️

image.png

Sort:  
 last month 

image.png

 last month 

সুন্দর কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। সত্যিই প্রশংসা করতে হয় আপনাদের বাড়িওয়ালির।তিনি যথেষ্ট যত্নশীল একজন মানুষ বলতেই হয়।কতো সুন্দর গাছ তিনি ছাদে লাগিয়েছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো ছাদ বাগান আর নাশিয়ার দুষ্টুমি।

 last month 

জি আপু অনুভূতি গুলো সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last month 

নাশিয়া কে নিয়ে কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে আপনার পুরো পোস্টটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। ফল গাছ সবজি গাছ সবকিছুই খুব ভালো লাগছিল দেখতে। আপনাদের বাসার বাড়িওয়ালী অনেক কিছুই চাষ করেছে। নাশিয়ার দুষ্টামিটাও ভালোভাবে উপভোগ করেছিলেন। ভালো লাগলো পুরোটা পড়ে।

 last month 

ধন্যবাদ আপনা মন্তব্যের জন্য।

 last month 

নাশিয়া কে নিয়ে বাড়ীর ছাদ বাগানে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মাকসুদা কাউসার আপুর পোস্টে পড়েছিলাম, ওনারা আপনাদের বাসায় গিয়েছে। আসলে যারা একসাথে ভার্চুয়ালি কাজ করি তাদের সাথে সামনাসামনি দেখা হলে ভালোই লাগে। ছাদ বাগানে অনেক কিছুই রয়েছে দেখছি। এজন্যই হয়তো বাড়িওয়ালা সহজে যেতে দেয় না। যাইহোক সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last month 

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last month 

আপনার আজকের পোস্টটা দেখেই তো খুব ভালো লেগেছে। নাশিয়ার সাথে অতিবাহিত করা সুন্দর মুহূর্ত সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো। ইনশাল্লাহ একদিন আপনিও আপনার মনের মত করে বাগান করতে পারবেন। দোয়া করি যেন আপনার এই ইচ্ছাটা পূরণ হয়। আসলে সবার ইচ্ছে থাকে নিজের ছাদে বাগান করার। ধন্যবাদ মুহূর্তটা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

 last month 

ধন্যবাদ মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 last month 

নাশিয়া কে নিয়ে বাড়ির ছাদ বাগানে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ছাদ বাগানে অনেক ধরনের ফল এবং শাকসবজি দেখতে পেলাম। রকি ভাইয়ের পরিবার সহকারে সবাই বেশ দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু ‌।

 last month 

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last month 

বাবুটা আমাদের বাড়িতে এসেছিল। অনেক ভালো লেগেছিল রকি ভাই আর বাবুকে দেখে। কিন্তু বাবুটাকে নিয়ে ঘুরতে পারি নাই আমি। তাই আমার মধ্যে আফসোস রয়ে গেছে। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের সাদবাগানে বাবুটাকে দেখে।

 last month 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last month 

আপনি তো দেখছি নাশিয়াকে নিয়ে দারুন সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার পোস্ট পড়ছিলাম আর হাসছিলাম। যাই হোক এমন সু্ন্দর সময় গুলো সত্যি কারের অনেকদিন মনে থাকে। আপনি বেশ দারুন সুন্দর করে আজকের পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 last month 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।