লাইফস্টাইল পোস্ট- আপুর জন্মদিনে নিজের হাতে কেক বানানোর অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।
আপনাদের জন্য আমার আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে চলে এলাম বন্ধুরা। আজ লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি। চলুন দেখে আসি আজ আমার লাইফ স্টাইলে কি বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আজ আমি আমার প্রিয় @maksudakawsr আপুর জন্মদিনে নিজের হাতে কেক বানানোর অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
হ্যাঁ বন্ধুরা গত ৯ জানুয়ারি ছিল আপুর জন্মদিন। প্রতিবছর এই দিনকে ঘিরে আপু যদিও কোন অনুষ্ঠান করে না তারপরেও আমাদের নিয়ে প্রতিবছর রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। এবারও ৮ তারিখে আমাদের দাওয়াত করেছে আর বলেছে এবারও বরাবরের মত রেস্টুরেন্টে খাওয়াবে। কিন্তু আমার কাছে বাইরের খাবার থেকে ঘরের খাবারটাই বেশি ভালো লাগে। এটা স্বাস্থ্যসম্মত মনে হয়। আপুকে বললাম আর আপু বলল আপুই বাসায় রান্না করবে। আমাদের শুধু খাবার জন্য চলে যেতে বলল। সব সময় আপুর জন্য জন্মদিনে কোন না কোন গিফট দেই।
এবার ভাবলাম গিফটের পাশাপাশি আপুর জন্য যদি একটু কেক বানানো হয় তাহলে কেমন হয়। আপু খুশি হবে আর আমাদের অনুষ্ঠানটা প্রাণবন্ত হবে। যদিও অনেকদিন অসুস্থতার জন্য কেক বানানো হয় না। আর পরিবারের সবাই অনেকদিন ধরে আমার বানানো কেক খেতে চেয়েছিল। তাই ভেবে দেখলাম এবার আপুকে একটু অন্যরকম ভাবে জন্মদিনে উইশ করব। আর তার সাথে সবার খাওয়াও হয়ে যাবে। আমরা পরিবারের সবাই মিলে ঘরোয়াভাবে জন্মদিন গুলো উদযাপন করি, একটা আনন্দ করা এই আর কি। আর এভাবে বসে গেলাম তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য একটি কেক বানাতে। সেই দিন ছিল আপুর জীবনের একটি ভালো দিন। আর তার সাথে আপু অসুস্থ ছিল। এই অসুস্থতা নিয়ে অফিস করছে। আর ভাবলাম এত ব্যস্ততা ও অসুস্থতা তার পাশাপাশি ভালো এই দিনটিতে তাকে যদি একটু আনন্দ দিয়ে হাসি ফুটাতে পারি তাহলে নিজের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।
বসে গেলাম একটি কেক বানানোর জন্য। যদিও অনেকদিন ধরে কেক বানানো হয়নি। তারপরও চেষ্টা করেছি আমার সর্বোচ্চ ভালোবাসা দিয়ে আপুর জন্য একটি কেক তৈরি করার জন্য। এরপর ছিলনা কেকের অনেক কিছু । সেগুলো আনতে গেলাম আবার শপিংয়ে তার সাথে আপুর জন্য একটা গিফট ও নিয়ে এলাম। এরপর বাসায় এসে কেক ফিনিশিং দিতে বসছি। হাই কপাল এর মধ্যে আমার যখন কেক অর্ধেক বানানো হলো তখনই চলে এলো আপুর একটি ফোন ।ভাবতে পারছেন বন্ধুগণ কি ফোন আসলো ? আপু কি কথা বলল তাই বলছি দাওয়াত দিয়ে ।হিহিহি। আপু বলল সেদিন আপুর আস্তে অফিস থেকে দেরি হবে। তাই আমাকে রান্না গুলো সেরে ফেলতে। এখন আপনারাই বলুন দাওয়াত খেতে গিয়ে যদি নিজে রান্না করে খেয়ে আসি তাহলে সেটাকে দাওয়াত বলে? যাক এ বিষয়টি নিয়ে আরও একদিন আপনাদের মাঝে আরো কিছু পোস্ট নিয়ে হাজির হব।যে সেদিন আপুদের বাসায় কি কি রান্না করেছি।
এরপর আপুদের বাসায় যখন গিয়েছি আর রান্নাবান্না করে সব রেডি করে রেখেছি। এরপর আপু অফিস থেকে আসার পর আপুর জন্য বানানো জন্মদিনের কেকটা দেখে আপু অনেক খুশি হয়েছিল। তার মুখটা দেখে বোঝা গেছে মনে থেকে আপু অনেক খুশি হয়েছিল। আপুর মুখের খুশি দেখে আমার নিজের কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল। এরপর আমরা কেকটি কেটে তারপর গিফট দিলাম। আপু তো প্রচন্ড রাগারাগি করেছে কেন এত কিছু করলাম। যাই হোক এরপর আমরা কেক কাটার পর খাওয়া-দাওয়া ও পরিবেশনটি শেষ করে নিলাম। যা পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। কি রান্না করেছি আর কেমন রিভিউ পেয়েছিলাম।
কেমন হয়েছে আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্টটি? আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার পোস্টটি পড়েও অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন সে পর্যন্ত আগামীতে আবার নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো ইনশাল্লাহ। আল্লাহাফেজ।
আপনার আপুর আমার পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।আগামী দিনগুলো সুখকর হোক সেটাই কামনা করি। অনেক সুন্দর করে বাড়িতে কেক বানিয়েছেন দারুন লেগেছে আমার কাছে। দিনটি আপনাদের জন্য খুবই স্পেশাল ছিল। আমাদের সাথে এই অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া দিনটা অনেক স্পেশাল ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা বেশ মজার ছিল। আপু আপনাকে দাওয়াত দিয়ে আপনাকেই বলছে রান্না করার কথা। বোঝাই যাচ্ছে আপু অনেক ব্যস্ত থাকে। যাই হোক আপুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনি তো অনেক সুন্দর কেক তৈরি করেছেন। একদম প্রফেশনাল দের মত কেকটা তৈরি করেছেন। আপনার দক্ষতা দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো আপু। কেকটা যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও নিশ্চয় সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আসলে আপু অনেক ব্যস্ত থাকে। অনেক ধন্যবাদ। এত প্রশংসিত মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার বানানো কেক তো অসাধারণ হয়েছে। আপনার আপুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনার আপু আপনাদের রেস্টুরেন্টের খাওয়া এ বিষয়টা কিন্তু বেশ মজার। প্রতিবছরে এই একদিন হলেও জমিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া যাবে হি হি। যাই হোক আপনি আপনার আপুর জন্য কিন্তু দারুণ কেক তৈরি করেছেন। কারো জন্মদিন উপলক্ষে যদি এত সুন্দর কেক দেওয়া যায় নিশ্চয়ই সে ভীষণ খুশি হবে। মাকসুদা কাউসার আপুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার কেকটি আপনার ভালো লেগেছে যেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবদ আপু।
নিজের বাসায় তৈরি যে কোন খাবার অনেক স্বাস্থ্যসম্মত হয়। আপনার আপুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনি নিজের হাতে কেক তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। আপনার তৈরি কেকের ডিজাইন টা সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শুভ জন্মদিন @maksudakawsr আপু। আপনি আপনার আপুর জন্মদিন উপলক্ষে নিজ হাতে কেক তৈরি করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনার তৈরি করা কেক টি অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি বেশ দারুন ভাবে কেক টি তৈরি করেছেন।@maksudakawsr আপুর জন্য দোয়া রইল।
অনেক ধন্যবাদ আমার আপুর জন্য দোয়া করার জন্য। আপনিও ভালো থাকবেন।
https://x.com/mahfuzanila94/status/1878750272622883151
একই সাথে আপনার দুইটা কাজ হয়ে গেছে। একদিকে বোনের যেমন জন্মদিন উদযাপন আরেকদিকে আপনার সুন্দর দক্ষতার প্রকাশ। এত সুন্দর ভাবে আপনি কেক তৈরি করতে পারেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর ছিল আপনার আজকের ব্লগটা।
আমার বানানো দেখতে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি আপনার বোনের জন্মদিন উপলক্ষে নিজের হাতে কেক তৈরি করেছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। প্রথমে আপনার বোনকে শুভ জন্মদিন এর শুভেচ্ছা জানাই আপনার বোন সুখি হোক। আপনার বোনের জন্য শুভকামনা রইলো।
আমার বোনের শুভ কামনা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।