(বগুড়া পুনাক শিল্প পণ্য মেলা-২০২২)রিভিউ ||10% beneficiary for shy-fox||
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এবং ঐতিহ্যবাহী শহর বগুড়া। এখানে একদিকে যেমন ঐতিহ্যবাহী লোকেশন এর শেষ নেই, তেমনি অন্যদিকে লোকজন খুবই বিনোদনও প্রিয় বটে। আর বগুড়ার লোকজনের এই বিনোদনপ্রিয়তার তার জন্য এখানে ঐতিহ্যবাহী লোকেশন ছাড়াও করে উঠেছে বিভিন্ন চার তারকা এবং পাঁচ তারকা হোটেল। আর এসব বিনোদনের বাহিরেও মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়। আর আজকে আমি এই ধরনের একটি মেলার রিভিউ এবং আমার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
বগুড়া পুনাক শিল্প পণ্য মেলা-২০২২ এ মাসের ঠিক শুরুতে সম্পন্ন হয়েছে। লোকেশন বগুড়ার আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ। মেলা শুরুর প্রথম দিন থেকেই এখানে লোকজনের ভিড় লেগেই রয়েছে। অন্যান্য অনেক স্থানেই এ ধরনের মেলা শুরু হওয়ার কিছুদিন পরেই লোকজন না আসার কারণে মেলা ভেঙে যায়। কিন্তু বগুড়ার চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা।এখানে লোকজনের ভিড় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকজনের বিনোদনের জন্য প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন দোকান এবং বিনোদনের মাধ্যমগুলো বেড়ে চলেছে। মেলায় প্রথমে প্রবেশের জন্য ২০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট ক্রয় করতে হয়। ওই টিকেটটি মূলত একটি লাকি কুপন যা মেলার শেষ দিনে ড্র করে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হবে। মেলায় প্রবেশের পর ওই টিকিটের একটি অংশ ছিড়ে বক্সে ফেলতে হয়। মেলায় প্রবেশের গেটটিও অনেক সুন্দর। দর্শনার্থীরা গেটের সৌন্দর্য দেখেই ভেতরে প্রবেশের জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবেন। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় ভিড়ের পরিমাণ একটু বেশিই ছিল। মেলার ভিতরে প্রথমেই নানান ধরনের কাপড় এবং কসমেটিক সামগ্রী দোকান। দোকানগুলোতে অবশ্য ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ভিড় বেশি ছিল। কারণ বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক এবং কাপড় কেনাকাটা মেয়েরাই বেশি করে থাকেন। বাণিজ্যমেলার বিক্রেতারা মেয়েদের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের মাধ্যমে এ ফায়দাটা লুটে নিচ্ছেন। এরপর আসা যাক খাবারের দোকান গুলোর দিকে। বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড, সাধারণ খাবার এবং ভাজাপোড়া খাবারের দোকানের পাশাপাশি রয়েছে মুখরোচক আচার সামগ্রীর দোকানও।
মেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হলো ছোটদের এবং বড়দের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলা গুলো। বড়দের খেলার জন্য রয়েছে গুলি দিয়ে বেলুন ফাটানো। যা গুলি প্রতি দুই টাকা করে রাখা হয়। এছাড়াও রয়েছে হাত দিয়ে সূচালো তীর নিক্ষেপ করে বেলুন ফাটানো। এখানে অবশ্য সূচালো তীর প্রতি ৫ টাকা করে রাখা হচ্ছে।৫টাকা করে রাখার কারণও রয়েছে। ৬ টি সূচালো তীর ৩০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে ৪ বা তার অধিক বেলুন ফাটাতে পারলে বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বড়দের অবশ্য আরও একটি খেলনার ব্যবস্থা রয়েছে। তাহলো নৌকা ওঠানামা করা। এবারে নৌকাটিতে না উঠলেও গতবারে উঠেছিলাম।নৌকাটি যখন ওঠানামা করে তখন সবাই বেশ মজাই পায়। ছোটদের খেলনার অভাব নেই। নাগরদোলা, চরকি, বেলুনের ভিতরে এবং পাতলা প্লাস্টিকের খেলনায় উঠে পানিতে ভাসা থেকে করে আরও নানান ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। সব মিলে এক প্রকার উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। আপনাদের সবাইকে বগুড়া পুণাক শিল্পপণ্য মেলায় স্বাগতম জানাই।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@mahamuddipu
Photography | @mahamuddipu |
---|---|
Device | Vivo Y19 |
Location | Link |
Join the Discord Server for more Details
সুন্দরভাবে আপনি বগুড়া পুনাক শিল্প মেলার রিভিউ দিয়েছেন। মেলায় কি কি পাওয়া যায় এবং কি কি আয়োজন করা হয়েছে সব কিছুই খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর করে বগুড়া পুনাক শিল্প মেলার রিভিউ দিয়েছেন। প্রতিবছরের মতো এবারেও মেলা অনেক সুন্দর বসেছে। আমিও মেলা পরিদর্শন করেছি তবে প্রতি বছরের চেয়ে এবার একটু মানুষজনের সমাগম বেশি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মেলা মানে আনন্দ। মেলা যেকোনো ধরনের হোক না কেন সেখানে আনন্দ ও মজা হবে। যেহেতু এটা একটি শিল্প মেলা তাই সেখানে ও পর্যাপ্ত পরিমান বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। মেলায় বেলুনের বিষয়টি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আর তাছাড়া এই বগুড়ার শিল্প মেলায় কখনো যাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনার এই ছবি ও রিভিউ দেখে যাওয়ার ইচ্ছা টা যেন ডাবল হয়ে গেল। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার আনন্দগুলো আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
জী ভাই, মেলায় এসে ঘুরে যাবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
বগুড়ায় শুনেছি অনেক ধরনের মেলা হয়।তবে আমি শুনেছি জামাই মেলার কথা।অনেক বড় মেলা হয় নাকি,যাই হোক আপনার পুনাক শিল্প মেলা সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো ।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর করে গঠনমূলক মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মেলার রিভিউ দেখে অনেক ভালো লাগলো। কারণ মেলায় যেতে অনেক ভালো লাগে। মেলায় ঘুরে অনেক জিনিস দেখার থাকে। ছোটদের খেলার অনেক আকর্ষণীয় বিষয় থাকে। সব মিলিয়ে অনেক কিছু মেলা দেখা যায়। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে বগুড়ার মেলার অনেক দৃশ্য দেখতে পেলাম। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।