পালং শাক এবং চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি।
"খাদ্য প্রেমিকদের কে স্বাগতম" |
---|
হ্যালো বন্ধুরা 💞
আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। পালং শাক এবং চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
উপাদান | পরিমাণ। |
---|---|
চিংড়ি মাছ | ১০০ গ্রাম। |
পালং শাক | সামান্য। |
পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ। |
কাঁচা মরিচ | ৮টি। |
হলুদ গুঁড়া | আধা চা-চামচ। |
মরিচ গুঁড়া | আধা চা-চামচ। |
তেল | পরিমাণমতো। |
লবণ | স্বাদমতো। |
- প্রথমেই আমি পালং শাক গুলোকে কেটে নিলাম। এর পরে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এর পরে আমি চিংড়ি মাছ গুলোকে ভালো করে পরিষ্কার করে নিলাম। এবার আমি চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে নিলাম। পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ হালকা করে ভেজে নিলাম। তার পরে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিলাম। এবার আমি সমস্ত মসলা গুঁড়া দিয়ে দিলাম।
- মসলা গুলোকে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। এবার আমি চিংড়ি মাছ দিয়ে মিশিয়ে নিলাম। বেশ কিছু সময় চিংড়ি মাছ এবং মসলা গুলোকে ভালো করে কষিয়ে নিলাম। এবার আমি পালং শাক গুলোকে দিয়ে দিলাম। এবার আমি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখলাম। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে নিলাম।
- সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিলাম। তার পরে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখলাম। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে নিলাম। এবার দেখলাম পালং শাক সিদ্ধ হয়েছে এবং ঝোল শুকিয়ে গেছে। এই পর্যায়ে আমি রান্না এখানে শেষ করলাম।
- পালং শাক এবং চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি রান্না করা হয়েছে। এবার আমি পরিবেশন করার জন্য বাটিতে উঠিয়ে নিলাম। পালং শাক গুলো ছিলো কচি এজন্য খেতে অনেক বেশি মজাদার হয়েছিলো। চিংড়ি মাছ দিয়ে এভাবে পালং শাক রান্না করলে খেতে এমনিতেই মজাদার লাগে। আশাকরি আপনাদের সবার রেসিপি দেখে ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | রেসিপি পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | realme 9 |
বিষয় | পালং শাক এবং চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @limon88 |
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
আসলে শীতকাল মানে বিভিন্ন ধরনের সবজির সমাহার। আর এই পালং শাক কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের একটা খুব উপকারী সবজি। বিশেষ করে শীতকালে এই ধরনের সবজি বেশি পাওয়া যায়। আপনি আজকে রেসিপিটা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://x.com/HouqeLimon/status/1878831271448850925?t=gmYUP6Dqmj78VuHRamysTA&s=19
পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি কখনও খাওয়া হয়নি। তবে আপনার এমন লোভনীয় রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাছাড়া চিংড়ি মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মাছ যেভাবে রান্না করি না কেন অনেক ভালো লাগে। তবে পালংশাক দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল।কালারটা দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শীতের সময় পালং শাক খেতে ভীষণ মজা লাগে। শীতকালীন শাক সবজির মধ্যে পালং শাক অন্যতম। চিংড়ি মাছ তো যেকোনোভাবে রান্না করলেই খেতে ভীষণ মজা লাগে। পালং শাকের সাথে এভাবে চিংড়ি মাছ রান্না করেছেন দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে রান্নাটির স্বাদ দুর্দান্ত হয়েছে। পালং শাক রান্না করার প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চিংড়ি মাছ এবং পালং শাকের অত্যন্ত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। সত্যি বলতে এরকম রেসিপিগুলো পরোটা দিয়ে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। আপনার এই রেসিপিতে কাঁচা মরিচ ফালি করে দেওয়াটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
বেশ মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন ভাই। আপনার পালং শাক আর চিংড়ি মাছের দুর্দান্ত রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। রান্নার কার্যক্রমটা অসাধারণ ছিল। বেশ লোভনীয়ভাবে রান্নার কাজ সম্পন্ন করেছেন। রেসিপিগুলো সব সময় ভালো লাগে।
আপনি আজকে আমার মনের মতো একটা গর্জিয়াস রেসিপি শেয়ার করেছেন। পালং শাক এবং চিংড়ি মাছ দুটোই আমার প্রিয় খাবার বলতে পারেন। আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে ভাই। আপনার রেসিপিটি অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
পালং শাক দিয়ে ছোট ছোট চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে ভালোই লাগে। মাঝেমধ্যে এই আম্মু রান্না করে।আমার অনেক প্রিয় রেসিপি।আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।তরকারির কালারটি বেশি ভালো লেগেছে।রেসিপিটি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।