পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ৯
নমস্কার বন্ধুরা,
পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ৮ এর পর....
চিন্তায় রাতুল দরদর করে ঘামতে শুরু করলো। কি করবে সেটা ভেবে কুল পাচ্ছিলো না। ঠিক সেই সময় তার সামনে মানুষের মতো একটা ছায়া এসে দাঁড়ালো। রাতুল যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। তার কান যে এতক্ষণ কিছু ভুল শোনেনি সেটা বুঝতে আর দেরী রইলো না। বারবার তখন সেই দারোয়ানের কথা গুলোই মনে পড়ছিল যে রাতুলকে অফিসের বহুতলের আওয়াজের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু সেসব ভেবে আর কি করবে, নির্ঘাত মৃত্যুর তার সামনে সে দাঁড়িয়ে। অশরীরী ধীরে ধীরে রাতুলের একদম কাছা কাছি চলে এলো। রাতুলের পুরো শরীর তখন কাঁপছে সাথে মাথা বন বন করে ঘুরছে।
রাতুলের কাছাকাছি এসে অশরীরী খুব ক্ষীণ এবং সরু গলায় রাতুলকে বললো,
-অনেক দিন কেউ আমাদের দিকে এলো। তবে তুই চিন্তা করিস না, আমরা তোকে ফিরিয়ে দেবো না। আমাদের সাথে তুই বহাল তবিয়তেই থাকতে পারবি।
অশরীরীর কথা শুনে রাতুলে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে গেলো।
রাতুলের যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখলো তাকে ঘিরে পাঁচজন দারোয়ান দাঁড়িয়ে। তারা ওর মুখে চোখে জলের ঝাপটা দিচ্ছে। রাতুলের জ্ঞান ফিরতে দেখে দারোয়ানরা রাতুলকে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলো আর হাতে এক বোতল খাবার জল দিলো। জল মুখে দেওয়ার আগে রাতুল চারপাশটা একবার দেখে নিলো। রাতুল বুঝলো যে বিল্ডিংয়ের ঠিক বাইরের গেটের মুখে সে বসে আছে। বুকে কিছুটা সাহস পেলো। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো, ১১:২৫ বাজে।
রাতুলকে কিছুটা থিতু দেখে দারোয়ানরা, তাকে জিজ্ঞেস করল যে আপনার কি হয়েছিল। শুরু থেকে সব কথা দারোয়ানদের খুলে বললো। কিন্তু অজ্ঞান হওয়ার পরের কোনো কথাই তার মনে করতে পারলো না।
ভিড়ে রাতুল লিফটের সেই দারোয়ানটিকে দেখতে না পেয়ে বাকি দারোয়ানদের কাছে তার খোঁজ করলো। লিফটে করে নামার সময় পুরো ঘটনাটা তাদের জানালো। কিন্তু বাকিরা কেউই সেই দারোয়ানটিকে চিনতে পারলো না।
রাতুলের দুঃস্বপ্ন যেন শেষ হওয়ার নয়...

আমার তো মনে হচ্ছে রাতুল যেই দারোয়ানের সঙ্গে লিফটে নেমেছে সেই এই অশরীরী শক্তিটি। কিন্তু রাতুল ওখান থেকে কিভাবে বেচে ফিরে আসলো তার রহস্য রয়ে গেল। খুব ভয়ঙ্কর লেগেছে আজকের পর্বটি। আপনিও দাদা খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এরকম কথা বললে চিৎকার করে অজ্ঞান হওয়াটা তো স্বাভাবিক ।গল্প পড়েই তো মনে হচ্ছে আমাকে বলছে অশরীরী।সেই দারোয়ান তাহলে ভালো ভুত ছিল সজাগ করিয়েছিল রাতুলকে।সব ভূতের গল্পেই দেখি ভুত দেখে অজ্ঞান হয়ে গেলে বেঁচে যায় মানুষ।ভবিষ্যতে এরকম হলে অজ্ঞান হয়ে যেতে হবে তাহলে😁😁।গল্পটি ভালো লেগেছে ভাইয়া ভয়ানক ছিল বটে।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
রাতুল এমন কথা শুনে যে ভয়ে স্ট্রোক করেনি এটাই তো অনেক। তবুও ভালো যে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল রাতুল। জ্ঞান ফেরার পর পাঁচজন দারোয়ানকে একসাথে দেখে রাতুল যে কতোটা স্বস্তি পেয়েছে,এটা একমাত্র সে ই ভালো বলতে পারবে। তবে সেই দারোয়ানটিকে চিনতে না পারার কারণটা কি,সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন আমাদের সাথে।