চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত
নমস্কার বন্ধুরা,
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালের জায়গা পাকা করে নিল ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিলো বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় দলের ত্রাস হয়ে দাঁড়ানো অস্ট্রেলিয়া। শেষ যতগুলো আইসিসি টুর্নামেন্টে সেমিতে কিংবা ফাইনালে ভারতকে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে সবগুলোতে প্রতিপক্ষ ছিলো অস্ট্রেলিয়া। তারা ফাইনাল কিংবা সেমিতে উঠে গেলেই ফিনিক্স এর মতন জ্বলে ওঠে। ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বিশ্বকাপে ভারতেরকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া কাপ জেতে। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালটা ছিল বাড়তি টানটান। টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেই। ভারতীয় অধিনায়কের টানা ১৪ তম টসে হার।
বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের হিরো, ট্রাভিস হেড ওপেন করতে নামে দলে নতুন আসা কুপার কনলির সাথে। দুই ওপেনার প্রথম ২ ওভার কিছুটা সামলে চললেও তৃতীয় ওভারে শামির বলে শুন্য রানে উইকেট হারায় কুপার কনলি। যদিও উইকেট হারানোর কোন প্রভাব পড়েনি অস্ট্রেলিয়ার উপরে। ট্রাভিস হেড কিছুটা থিতু হয়েই ব্যাট চালানো শুরু করে দেয়, প্রথম তিন ওভারের রানের কমতি খুব তাড়াতাড়ি রান করে অস্ট্রেলিয়াকে সঠিক রাস্তায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে। হেড নিজের পুরনো ছন্দে ফিরে যাওয়ার ফ্ল্যাশব্যাক শুরু করে তখনই বরুণ চক্রবর্তীর দ্বিতীয় বলে আউট। তারপর অস্ট্রেলিয় অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ল্যাবুসনকে নিয়ে তৃতীয় জুটিতে দলকে বেশ অনেকটা এগিয়ে যায়। অক্ষর প্যাটেলের বলে ল্যাবুসন আউট ভারত খেলায় কিছুটা ফেরত আসে। কিছু সময়ের মধ্যে জশ ইংলিশ জাদেজার বলে আউট হয়। পঞ্চম উইকেটে স্টিভেন্স স্মিথ, আলেক্স ক্যারির সাথে দারুন পার্টনারশিপ তৈরি করতে থাকে। কিন্তু যখনই অস্ট্রেলিয়াকে সাংঘাতিক খেলা শুরু করে, ঠিক তখনই শামির বল অধিনায়ক স্মিথকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে খেলা জমিয়ে দেয়।ম্যাক্সওয়েল ব্যাটে নেমে প্রথম বলে ছক্কা মেরে, পরের বলে আউট হয়ে যায়। ৪০ ওভারে যখন মনে হচ্ছিলো অস্ট্রেলিয়া ৩০০ রান পেরিয়ে যাবে, সেই অস্ট্রেলিয়া হঠাৎ কয়েক উইকেট হারিয়ে নড়বড়ে দেখাতে শুরু করে। ভারতীয় বোলাররা তখন চেপে বসে। ওয়ার্শুইস কে নিয়ে আলেক্স ক্যারি বেশ কিছুটা রান এগিয়ে নিয়ে গেলেও অল্প বিরতিতে দুজন আউট হয়ে গেলে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি ফের কমে আসে। শামি, পান্ডিয়া এবং বরুণ চক্রবর্তীর দারুন বোলিং এর ভর করে অস্ট্রেলিয়া ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায়।
২৬৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে ভারতের অধিনায়ক রোহিত এবং শুভমন গিল। প্রথম দুই ওভার দারুণভাবে শুরু হলেও শুভমন কিছুতেই নিজের ছন্দ খুঁজে পায়নি এবং ৮ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরে যায়। ফিল্ডিংয়ে ধুরন্ধর অষ্ট্রেলিয়া রোহিতের দুটো ক্যাচ মিস করার পরেও, সেই বরদান রোহিত শর্মা লুফে নিতে পারেনি। রোহিতের প্রথম ক্যাচ যে কুপার কনলি মিস করে, সেই কুপারের বলে ধরাশায়ী হয় ভারত অধিনায়ককে। দুই ওপেনার খুব তাড়াতাড়ি প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ভারত চাপে পড়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা তখন রীতিমত আগুন ঝরিয়ে চলেছে। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার ধীরে ধীরে নিজেদের খেলা শুরু করে। দুজনেই বাউন্ডারির দিকে না দৌড়ে, এক - দুই করে রান এগোতে থাকে। দুজনের স্থিরতার উপর ভর করে তৃতীয় জুটিতে ভারত নিজের স্কোরবোর্ডে আরো ৮৯ রান যোগ করে।
অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার জাম্পার ভেলকিতে শ্রেয়স আউট হয়। উল্টোদিকে তখন অক্ষর নেমে আসে। বিরাট কোহলি একদিকে ধরে থাকলে অক্ষর দ্রুত ব্যাট চালানো শুরু করে। দ্রুত ব্যাট চালাতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ২৭ রানে আউট হতে হয়। ভারতের তখন স্কোর ১৭৮-৪। অক্ষরের আউট হওয়ার পর কে এল রাহুল বিরাট কোহলির সাথে জুটি বেঁধে রানের গতি ধরে রাখে। পঞ্চম উইকেটে ভারত অনেকটা দূরে এগিয়ে যায়। যখনই মনে হচ্ছিল ভারত সহজেই ম্যাচ বের করে নিয়েছে, ঠিক তখনই জাম্পার ভেলকিতেই কাবু হয়ে যায় বিরাট কোহলি। নিজের ব্যক্তিগত ৮৪ রানে আউট হতে হয়, বিরাটকে। ভারত কিছুটা মানসিকভাবে চাপে পড়ে যায়। যদিও সেই চাপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, হার্দিক পান্ডিয়ার ২৪ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস ভারতকে খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্যমাত্রাআরও কাছে পৌঁছে দেয়। পান্ডিয়া, ব্যাট চালাতে গিয়ে আউট হয় কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ ভারতের পকেটে। শেষে রাহুল ছক্কা মেরে ফাইনালে ভারতের জায়গা পোক্ত করে ফেলে।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চলে গেলো। বর্তমানে ভারত খুবই শক্তিশালী। চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে একটি ম্যাচও হারে নাই।দেখা যাক ফাইনালে কার হাঁসি দেখা যায়। ধন্যবাদ।
ভারত নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা দল এখন। এই ম্যাচটা সত্যিই বেশ উপভোগ করেছি। অস্ট্রেলিয়া কিন্তু ভালোই ব্যাট করেছিল। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে তারা বেশি দূর যেতে পারেনি। বিশেষ করে স্মিথ এবং ক্যারে এককথায় দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। তাছাড়া বিরাট কোহলি জাস্ট অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আশা করি ভারত ফাইনাল ম্যাচ জিতবে। ভারতের জন্য শুভকামনা রইলো।
ভারত এটা এক প্রকার রিভঞ্জ নিল। গত বিশ্বকাপ ফাইনালের রিভেঞ্জ। তবে এইদিন ব্যাটার দের বেশ ভালো পরীক্ষা দেওয়া লেগেছে। ম্যাচটা লো স্কোরিং ছিল কিন্তু দারুণ লড়াই হয়েছে বলা যায়। আর আইসিসি ইভেন্টে ভারত অস্ট্রেলিয়া মানে অন্য রকম একটা ব্যাপার।