চললাম বিহারের কিষানগঞ্জ
নমস্কার বন্ধুরা,
হাতে বেশ কিছু কাজ নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়লাম তবে এইবার কলকাতা নয় গন্তব্য বিহারের কিষানগঞ্জ। কিষানগঞ্জ যাওয়াটা আমার আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলো তবে যে কাজ নিয়ে আমার আসা তার কাগজপত্র বেশ কয়েক বার কলকাতা দৌড়ে তবেই পেয়েছি। আগে দৌড়াদৌড়ি করে কাগপত্রগুলো গুছিয়ে নেওয়ায় আমি কিষানগঞ্জ যাওয়ার জন্য রীতিমতো প্রস্তুত ছিলাম। যেহেতু যাওয়াটা আগে থেকে জানা তাই পরিকল্পনাও করেই রাখা। পরিকল্পনা বলতে অন্যবার যেভাবে কলকাতায় হুড়োহুড়ি করে যাই সেভাবে না গিয়ে, ধীরে সুস্থে হাতে সময় নিয়ে যাওয়া।
বিগত বছরের নভেম্বরে যখন কলকাতা এসেছিলাম তখনই কিষানগঞ্জে যাওয়াটা আমার নিশ্চিত হয়। কাজ একদিনের অথচ তার জন্য বেশ কিছুটা সময় নিয়ে সব কিছু গুছিয়ে রাখতে হয়েছিলো। এমনকি যাওয়ার নির্ধারিত দিন আসার আগে আমি ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়েছিলাম কারণ কিষানগঞ্জের কাজ সেরে ফের আমায় কলকাতার পথে রওনা হতে হবে। তারপর কলকাতার কাজগুলো করলে তবেই আমার তিন মাস ধরে চলা দৌড়োদৌড়ি শেষ।
ব্যাগ পত্র আগের রাতে গুছিয়ে রাখলাম যাতে সকালবেলা উঠে হুড়োহুড়ি না পড়ে যায়। তাছাড়া বিগত কদিন ধরে রোদ্দুর না ওঠার জন্য সকালবেলায় ব্যাগ গোছানোর ঝুঁকিটা নেওয়া যাচ্ছিল না। খুব সকাল হতেই ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। কারণ যেখান থেকে আমার গন্তব্যের ট্রেন পাওয়া যাবে সে জায়গাটা বেশ খানিকটা দূরে। তাই বাধ্য হয়ে হাতে বেশি সময় রেখে বেরিয়ে পড়লাম। আসলে কিছুটা দূরে এক জংশন স্টেশন থেকে ট্রেন, জায়গাটা প্রায় ২ ঘন্টা দূরে। রাস্তা দু ঘন্টার হলেও আমি হাতে তিন ঘন্টা নিয়ে বেরোলাম।
পথে বেগ পেতে হয়নি, সময়ের অনেক আগে স্টেশন পৌঁছে যাই। আর ভর দুপুর বেলায় পৌঁছে দেখি স্টেশনটা ফাঁকা। তখনো ঘন্টাখানেকের উপরে ট্রেনের আসা বাকি। স্টেশন আগে এসে এক অদ্ভুত ধরনের শান্তি আছে সেটা বহুদিন পর বুঝলাম। আগের বার কলকাতা যাওয়ার সময় টিকিট নিয়ে যে ঝামেলা আমাকে পোহাতে হয়েছিল সেটা পোহাতে হলো না। স্টেশনে পৌঁছে আরামসে টিকিট কেটে স্টেশনে বসে পড়লাম, মিষ্টি রোদ গায়ে লাগিয়ে।
ধীরে ধীরে সময় যতো এগোতে থাকলো স্টেশনে মানুষের আনাগোনা ততটাই বাড়তে থাকলো। ঠিক সময়ে ট্রেন এলো আমিও ফাঁকা একটা কামরা দেখে উঠে পড়লাম। রাস্তা ৪ ঘন্টার অল্প বেশি।
ট্রেনের সিটে আরাম করে বসতেই ট্রেন ছেড়ে দিলো। অনেকটা পথ তাই জানলার ধারে বসে বাইরে দিকে তাকিয়ে আগামী কালের ব্যস্ততার কথা চিন্তা করতে শুরু করলাম। যদিও সেটা বেশি সময় স্থায়ী হলোনা। বেশ কয়েকটা স্টেশনে পেরোতেই ফাঁকা কামরা যাত্রীতে ভরে গেল। মানুষের কোলাহলে মন না দিয়ে আমি জানলার দিকে উঁকি দিলাম। লক্ষ্য করতে থাকলাম ধীরে ধীরে কিভাবে রোদের তেজ কমে চলেছে সাথে আমার রাস্তার দূরত্ব।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
কোনো জায়গায় যেতে হলে তার পূর্বেই সবকিছু গুছিয়ে রাখলে যাওয়ার সময় এতো তড়িঘড়ি করতে হয় না, ধীরে সুস্থে যাওয়া যায়। আর এইবার আপনি ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে বের হয়েছেন সেজন্যই হয়তো বা টিকেট পেতে অসুবিধা হয়নি। যাই হোক ট্রেনে চড়তে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আমাদের এখান থেকে সিলেটে ভ্রমণ করেছিলাম ট্রেনে করেই ২০০৯ সালে। কারণ আমাদের দূরের যাতায়াতপথে বাসটাই প্রধান, ট্রেনে মাঝেমধ্যে যাওয়া হয়। তবে আপনার কাজ সেরে সুস্থভাবে ফিরে আসুন সেটাই কামনা করি।
বাসের চল আমাদের দিকেও আছে তবে ট্রেন অনেক বেশি আরামায়ক।
পরিকল্পনা করে কোথাও গেলে আগে থেকেই গুছিয়ে রাখা হয়। হঠাৎ করে গেলে অনেক তাড়াহুড়ো হয়ে যায়। কবে স্টেশনে গিয়ে অপেক্ষা করতে ভালো লেগেছে এটা শুনে একটু অবাক হলাম। কারণ কেউ তো অপেক্ষা করতেই চায় না। আর আপনি দেখছি রোদ পোহাচ্ছেন। বেশ ভালই লেগেছে আপনার কথাগুলো পড়ে।
আগে যাওয়ার মজা আলাদা পেলাম। শেষ যে কটা ট্রেন জার্নি হয়েছে সবই দৌড়ের উপর।
দাদা তাহলে এবার বুদ্ধি করে ধীরে ধীরে ভাল করে গুছিয়ে বের হতে পেরেছেন। আবার টিকেটটি তো দেখি পেয়ে গেছেন। আসলে কোন জায়গায় যাওয়ার হলে মাথা ঠান্ডা করেই যেতে হয়। তবে আমার তো মনে হয় দূরের যাত্রা পথ গুলো ট্রেন করে গেলেই বেশ মজা।
ধীরে সুস্থে গিয়ে বেশ শান্তি পেয়েছি
যাও দাদা সাবধানে যাও কিশানগঞ্জে। কোনো জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করাই ভালো , ধীরে সুস্থে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ট্রেনে উঠলে আমিও সবসময় জানলার কাছে বসার চেষ্টা করি। সেখানে বসে ট্রেনে চলাচল করতে খুবই ভালো লাগে। ট্রেনে কোলাহলের ব্যাপারটা আমার ভালো লাগেনা, ফাঁকা ট্রেন ভালো লাগে কিন্তু ফাঁকা ট্রেন কখনোই পাওয়া যায় না আমাদের এই দিকে।
কোলাহল জিনিসটাই আমার পছন্দ নয় সেটা যেকোনো জায়গাতেই।