বনভোজন ২০২৫: পর্ব ২
নমস্কার বন্ধুরা,
বনভোজন করবার স্পটের বেশ কিছুটা আগেই গাড়ি থেকে নেমে যেতে হলো কারণ যাওয়ার রাস্তা ভাঙা চোরা। মূল পাকা রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা হাঁটা পথে যাওয়ার পরেই ছিল আমাদের স্পট। পিকনিক স্পট কথাটা বলাটা কতটা ঠিক হবে জানিনা, সেটা আদপে একটি বাগানবাড়ি। মূলত পিকনিকের ছোট্ট গ্রুপটির একজনের বন্ধুর স্থানীয়র বাগান। আগে শুনেছিলাম বাগানের কথা তবে আমার সামনে অনেক সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে সেটা পৌঁছেই বুঝতে পারলাম। সকালের ঠান্ডা হাওয়াটা রোদে কিছুটা ম্লান হয়ে গেছিল। রোদের মধ্যে গ্রামের ভাঙা চোরা রাস্তা ধরে হাটতে বেশ ভালই লাগছিল তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য একটু মন খারাপ লাগছিল। সবাই মিলে গল্প করতে করতে স্পটে পৌঁছে গেলাম। প্রায় দেড় কিমি হেঁটে স্পটের পৌঁছলাম।
গ্রাম থেকে অল্প একটু দূরে এই বাগান বাড়ি। সাথে রয়েছে বিশাল নার্সারিটি। বাইরে থেকে যেটা মোটেও বোঝা সম্ভব নয়। ভেতরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল আরো অনেক কিছুই। বাগানটির ভেতর ঢুকতেই সামনে একটা ছোট্ট বাড়ি নজরে এলো। পাশেই খুব সুন্দর একটি ঘেরা মাঠ। ছোটো বাচ্চা কাচ্চা দের খেলাধুলা করার জন্য একদমই আদর্শ। আর সব কিছুই এতো সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো ঢুকেই প্রশান্তি অনুভব করলাম। বাকি সারাটা দিন কাটানোর জন্য মন মেতে উঠলো, দেড় ঘন্টা দেরী করে ঢোকার দুঃখ কিছুটা পুষিয়ে গেলো।
বাগানের বাড়ির পথ ধরে অল্প এগিয়ে যেতে বিশাল নার্সারির দেখা পেলাম। চারিদিকে নানান মাপের, প্রজাতির ও ধরনের চারা পোতা রয়েছে। সেগুলোর কাজকর্মে ব্যস্ত হয়ে আছে কয়েকজন। তাদের পাশ দিয়ে হাঁটতে থাকলাম নার্সারি মাঝ বরাবর। শুধু যে বাগানবাড়ি সেটাই নয়, বাগান বাড়ির পাশাপাশি একটা বিশাল বড় নার্সারি। কর্মরত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম পুরো জায়গাটা প্রায় ১১ একর জমির উপরে বানানো হয়েছে। যেটা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম নার্সারির ঠিক মধ্যিখানে যেখানে পেলাম পাশাপাশি দু দুটো পুকুর। পুকুরের পাড় জুড়ে রয়েছে, অগণিত গাছ। যেগুলো পরের পর্বে আরো খোলসা করবো।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এতো বড় বাগানবাড়ি দেখেই তো খুব ভালো লাগছে দাদা। এমন জায়গায় পিকনিক করে নিশ্চয়ই আপনারা দারুণ সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। এমন খোলামেলা পরিবেশ পিকনিক করার জন্য একেবারে পারফেক্ট। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।